কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থিদের তৎপরতা থাকলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ স্বাধীনতা চায়
ইনকিলাব ডেস্ক : কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে সবসময় সোচ্চার থাকা ভারতীয় বুদ্ধিজীবী অরুন্ধতী রায়কে আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছে পাকিস্তানের পাঞ্জাবের প্রাদেশিক আইনসভা। তাকে আমন্ত্রণ জানানোর ব্যাপারে পাঞ্জাব আইনসভায় আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন খবরটি নিশ্চিত করেছে। প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের স্বাধীনতার প্রশ্নে সরব খোদ ভারতীয় বুদ্ধিজীবীরাও। এ প্রসঙ্গে বিশ্বখ্যাত বুদ্ধিজীবী এবং বুকার পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক অরুন্ধতি রায় স্পষ্ট করে বলেন, সেখানে আসলে ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসন চলছে। অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে কাশ্মীরবাসীকে। কাশ্মীর সমস্যার একমাত্র সমাধান স্বাধীনতা। গত শুক্রবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মীর ইস্যুতে কথা বলার জন্য অরুন্ধতিকে যেন আমন্ত্রণ জানানো হয় সে ব্যাপারে আইনসভায় প্রস্তাব দেন পাঞ্জাবের আইনসভার সদস্য শেখ আলাউদ্দিন। শ্রম ও মানবসম্পদবিষয়ক মন্ত্রী আশফাক সারোয়ার তার প্রস্তাবের প্রশংসা করেন এবং এব্যাপারে উদ্যোগ নিতে আইনসভার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন, এব্যাপারে পররাষ্ট্র দফতরকে জানানো যেতে পারে। আর পররাষ্ট্র দফতরের পরামর্শের আলোকে পরবর্তী উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
কাশ্মীরে পাকিস্তানপন্থিদের তৎপরতা থাকলেও সেখানে সরাসরি কাশ্মীরের স্বাধীনতার দাবিতে লড়াইকারীরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। তবে ভারতের দাবি, কাশ্মীরে যারা লড়াই করছেন তারা আসলে জঙ্গি। বিচ্ছিন্নতাবাদী। কাশ্মীর প্রশ্নে সমগ্র ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সেখানকার সমস্যাকে বিচ্ছিন্নতাবাদ আর জঙ্গিবাদের সমস্যা আকারে দেখা হয়ে থাকে। অন্যদিকে কাশ্মীরিদের কাছে সেখানকার লড়াই আদতে ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকার পাওয়ার ন্যায়সঙ্গত লড়াই। কাশ্মীরিরা যে আন্দোলন করছে তা আসলে স্বাধীনতার আন্দোলন এবং ভারতীয় আগ্রাসন থেকে নিজেদের মুক্ত করার আন্দোলন। তাদের এই স্বাধীনতার আন্দোলনকে দিল্লি সরকার বলছে জঙ্গিদের সহিংসতা। কিন্তু নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকরা মনে করেন, জঙ্গিবাদ কিংবা সন্ত্রাসবাদ বলে কিছু দিন আগ্রাসন চালানো সম্ভব হলেও স্বাধীনতার আন্দোলন বেশিদিন দমিয়ে রাখা যায় না। ডন, ওয়েবসাইট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন