বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কর্পোরেট

বিশ্বব্যাংকের উচ্চ সুদের ঋণ প্রস্তাবে সম্মতি

প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে তুনলনামূলক উচ্চ সুদে ঋণ নিতে নীতিগত সম্মত হয়েছে সরকার। ‘স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটি’র আওতায় বিশ্ব ব্যাংক বাড়তি সুদের প্রস্তাব দেয়। অর্থ মন্ত্রণালয় এ ধরনের ঋণ গ্রহণে প্রথমে অনীহা প্রকাশ করলেও সম্প্রতি সম্মতি দিয়েছে। চলমান নমনীয় শর্তের ঋণের পাশাপাশি বাড়তি সুদের এ ঋনের কথা বলে সংস্থাটি। বর্তমানে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ) হতে শূন্য দশমিক ৭৫ ভাগ সুদে ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ। এ ধরনের ঋণে ৬ বছর রেয়াতকালসহ ৩৮ বছরে ঋণ পরিশোধের সময় পাওয়া যাচ্ছে। স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটির আওতায় ঋণ নিলে এর সুদ হার হবে প্রায় ৪ শতাংশ। এর বাইরে সুদ ও অন্যান্য শর্তের কারণে এ ধরনের ঋণ না নেওয়ার পক্ষে মতামত দিয়েছিল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইআরডির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দেশের অবকাঠামোসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মসূচিতে বড় বিনিয়োগ প্রয়োজন রয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশ এখনও সহজ শর্তে বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণ পাচ্ছে তাই প্রায় ৪ শতাংশ সুদসহ তুলনামূলক কঠিন শর্তে ঋণ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা ভেবে দেখতে হবে। তিনি বলেন, বিদায়ী অর্থ বছরে (২০১৫-১৬) বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ হতে বাংলাদেশ সরকার রেকর্ড ৬ বিলিয়ন ডলারের উপর ঋণের প্রতিশ্রæতি আদায় করেছে। বিশ্বব্যাংকের স্কেল আপ ফ্যাসিলিটি হতে ঋণ গ্রহণ করা হলে পরবর্তীতে সহজ শর্তের ঋণ প্রকল্পের ক্ষেত্রেও তারা চাপ সৃষ্টি করতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বিশ্বব্যাংক স্কেল-আপ ফ্যাসিলিটির আওতায় উচ্চ সুদে অর্থায়নের জন্য ইতোমধ্যে চারটি প্রকল্প নির্বাচন করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে বাস্তবায়নাধীন ইনভেস্টমেন্ট প্রোমশন অ্যান্ড ফাইন্যান্সিং ফ্যাসিলিটি প্রজেক্ট-২ (আইপিএফএফ-২) ও রয়েছে। এ প্রকল্পে ইতোপূর্বে বিশ্বব্যাংক আইডার আওতায় নমনীয় শর্তে দুই দফায় ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছিল। নতুন করে স্কেল আপ ফ্যাসিলিটির আওতায় আরো ৩৫ কোটি ডলার ঋণ গ্রহণে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে সরকার। এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আলোচনাও হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন