স্টাফ রিপোর্টার : চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোট ৬১৯ কোটি ৮ লাখ ৯৪ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করেছে। এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসে দেশের সীমান্ত এলাকাসহ অন্যান্য স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ১৩৩ কোটি ৯৫ লাখ ১৩ হাজার টাকা মূল্যের বিভিন্ন প্রকারের চোরাচালান ও মাদকদ্রব্য জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরে বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ মোহসিন রেজা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক মাদকের মধ্যে রয়েছে ৬ লাখ ৬২ হাজার ৫৯৭ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ২০ হাজার ৫৪ বোতল ফেনসিডিল, এক হাজার ৬৩৫ কেজি গাঁজা, ২২ হাজার ১৩৮ বোতল বিদেশি মদ, ৪ কেজি ৩২৮ গ্রাম হেরোইন, ৬ হাজার ৮০৯টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন ও ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭০৯ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট।
অন্যান্য চোরাচালান দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-১৪ হাজার ১৯১টি শাড়ি, ৪ হাজার ৪৭০টি থ্রিপিস ও শার্টপিস, ৭ হাজার ৯১৮ মিটার থান কাপড়, ২ হাজার ৯১৭ সিএফটি কাঠ, এক কেজি ৩২৯ গ্রাম স্বর্ণ, দুটি তক্ষক এবং দুটি কষ্টি পাথরের মূর্তি।
এতে আরও জানানো হয়েছে, আগস্ট মাসে বিজিবির অভিযানে উদ্ধার অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে ৩টি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ১৬ রাউন্ড গুলি ও ৩ কেজি গান পাউডার। মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৩৫ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ১৮৪ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে ৯৮ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে জব্দকৃত মাদকদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে-৪৩ লাখ ৯১ হাজার ৮৬ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, এক লাখ ৬৩ হাজার ৩৬৯ বোতল ফেনসিডিল, ১৩ হাজার ৭৬ কেজি গাঁজা, এক লাখ ৮৩ হাজার ৫৩৩ বোতল বিদেশি মদ, ১৯ কেজি ২৪৮ গ্রাম হেরোইন, ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১২৩ পিস বিভিন্ন প্রকারের উত্তেজক ট্যাবলেট, ৪১ হাজার ৬৫২টি নেশা জাতীয় ইনজেকশন, এক কোটি ১০ লাখ এক হাজার ৭৪৪ পিস বিভিন্ন প্রকারের অবৈধ ট্যাবলেট।
এ সময়ে জব্দ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ৫৬৩টি শাড়ি, ৩৬ হাজার ৭০টি থ্রিপিস ও শার্টপিস, ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৪৬৭ মিটার থান কাপড়, ৩৯ হাজার ৯৯৫ সিএফটি কাঠ, ৬ কেজি ৫৬ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৫টি কষ্টি পাথরের মূর্তি। এছাড়া ৪৮টি পিস্তল, ৩১টি বিভিন্ন প্রকারের বন্দুক, ৩ হাজার ৯৬১ রাউন্ড গোলাবারুদ, ৪৯টি ম্যাগজিন, ৭টি ইলেক্ট্রনিক ডেটনেটর এবং ৫২ কেজি ৭০০ গ্রাম গান পাউডার উদ্ধার করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
এই সময়ে বিজিবি’র অভিযানে মাদক পাচারসহ অন্যান্য চোরাচালানে জড়িত থাকার অভিযোগে এক হাজার ১৪৩ জন এবং অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রমের দায়ে ৯৬৬ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে দুই হাজার ৮০৫ জন মায়ানমার নাগরিকের অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিহত করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন