শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

মালয়েশিয়ায় স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত প্রথম জিকা রোগী শনাক্ত

প্রকাশের সময় : ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা দেশটির সাবাহ প্রদেশে ৬১ বছরের এক পুরুষ জিকা রোগীকে চিহ্নিত করেছেন যিনি স্থানীয়ভাবে এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। অত্যধিক দুর্বলতার কারণে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ব্যক্তি একই সঙ্গে উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, জটিল কিডনি রোগ, কিডনিতে পাথরসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। মন্ত্রণালয় তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, এই ব্যক্তির দুর্বলতা জিকা সংক্রমণের কারণে নয়। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে আরো বলা হয়, রক্ত ও প্রশ্রাব পরীক্ষায় জিকা শনাক্ত এই ব্যক্তি সম্প্রতি বিদেশ সফর করেননি এবং স্থানীয় এডিস মশার কামড়েই তার সংক্রমণ বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশটিতে প্রথম জিকা শনাক্ত হবার পর এর সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, ব্যক্তিগত বা সামগ্রিকভাবে এডিস মশা প্রতিরোধে এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ায় আমদানি করা জিকার প্রথম ঘটনা ধরা পড়ে ৫৮ বছরের একজন নারীর দেহে যিনি সম্প্রতি সিঙ্গাপুর সফর করেছেন। মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, পরীক্ষায় ওই নারীর শরীরে জিকার জীবাণু পজেটিভ পাওয়া গেছে। কয়েক দিন ধরে জ্বর ও শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ ফুটে উঠলে তার মূত্র পরীক্ষায় বিষয়টি শনাক্ত হয়। এছাড়া সিঙ্গাপুরে অবস্থানরত ওই নারীর মেয়ের শরীরেও জিকা ভাইরাস পজেটিভ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম।
নগর রাষ্ট্রটি গত শনিবার দেশটিতে প্রথম জিকা ভাইরাস শনাক্তের ঘটনা জানানোর পর তা দ্রুত বেড়ে গত শুক্রবার ১৮ তে পৌঁছে। মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সিঙ্গাপুরে আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন মালয়েশিয়ার। গর্ভবতী মহিলারা জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে নানা মাইক্রোসেফালি ধরনের জটিলতা নিয়ে তাদের শিশুরা জন্ম নেয়। শিশুদের মাথা ও মস্তিস্ক হয় হয় ছোট আকৃতির। মাইক্রোসেফালির সাথে জিকা ভাইরাসের যোগসূত্র প্রথম আবিস্কৃত হয় গত বছর ব্রাজিলে। সেখানে এ যাবৎ মাইক্রোসেফালির ১৮শ’ ঘটনা চিহ্নিত করা গেছে। এ যাবৎ জিকার কোন টিকা আবিস্কৃত হয়নি। ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগের কাছাকাছি এ রোগের অবস্থান। জিকা আক্রান্ত রোগীর দেহে জ্বর দেখা দেয় এবং চোখ লাল হয়ে যায়। তবে শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের মধ্যে কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে আরো বেশি কঠিন যে, তিনি জিকায় আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। -সূত্র : রয়টার্স

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন