ইসরাইল অধিকৃত জেরুজালেমে অবস্থিত মুসলমানদের তৃতীয় কেবলা আল-আকসা মসজিদে ইসরা এবং মিরাজের প্রার্থনা করতে চেয়েছিলেন জর্ডানের যুবরাজ হুসেইন বিন আবদুল্লাহ। কিন্তু ইসরায়েলের ‘নিষেধাজ্ঞার’র কারণে সে সফর বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে জর্দান কর্তৃপক্ষ। গতকাল বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আইমান সাফাদি এ তথ্য জানান বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
তবে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর ঘিরে উদ্ভূত কূটনৈতিক সংকট নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি সাফাদি।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেতানিয়াহুর পরিকল্পিত ফ্লাইট নিজেদের আকাশসীমায় প্রবেশ করতে বাধা দেয় জর্ডান।
সাফাদি প্যারিসে মিউনিখ গ্রুপের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘জর্ডান এই সফর নিয়ে ইসরায়েলের সঙ্গে একমত হয়েছিল। কিন্তু, আমরা অবাক হয়েছি, শেষ মুহূর্তে ইসরায়েল নতুন ব্যবস্থা আরোপ এবং সফরের কর্মসূচি পরিবর্তন করতে চেয়েছে।’
বৈঠকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও মিশর, ফ্রান্স, জার্মানি, মধ্যপ্রাচ্য শান্তি প্রক্রিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিশেষ প্রতিনিধি এবং পাশাপাশি শান্তি প্রক্রিয়ার জন্য জাতিসংঘের সমন্বয়কারীও উপস্থিত ছিলেন।
সাফাদি আল-আকসা মসজিদ নিয়ে জর্ডানের অবস্থান পুনরাবৃত্তি করে বলেন, এর পুরো এলাকা ‘শুধুমাত্র মুসলমানদের জন্য একটি উপাসনাস্থল। এই পবিত্র স্থানের ওপর ইসরায়েলের কোনো সার্বভৌমত্ব নেই।’
অপরদিকে এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, জর্ডানের একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে সফরের কথা ছিল। কিন্তু, তারা বড় পরিসরে নিরাপত্তারক্ষী আনার সিদ্ধান্ত নেয়। ইসরায়েল তাদের সম্মত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবিচল থাকলে জর্ডান সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্র : জেরুজালেম পোস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন