শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ভারতীয় গরু না আসলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো যাবে-আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী

প্রকাশের সময় : ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী এবং যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী বলেছেন, পত্র-পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী কোরবানি করার জন্য দেশে পর্যাপ্ত গরু রয়েছে।
ইতোমধ্যে অগণিত গরুবাহী ট্রাক ঢাকায় প্রবেশ করতেও শুরু করেছে সুতরাং পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকে গরু না এলে কোরবানিতে তার কোনই প্রভাব পড়বে না । গণমাধ্যমসূত্রে প্রাপ্ত খবরে জানা যায়-সাধারণত ভারতীয় গরুগুলোকে মোটা-তাজা করার জন্য স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন বেশি করে খাওয়ানো হয়। সঙ্গত কারণে এসব গরুর গোশত মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খবরে আরো প্রকাশ, কোন প্রসূতি মা যদি তার দুগ্ধপোষ্য কন্যা সন্তানকে স্টেরয়েড জাতীয় হরমোন খাওয়ানো গরুর গোশত খেয়ে তার কন্যা সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ায়, তাহলে ভবিষ্যতে উক্ত কন্যা সন্তান গর্ভধারণের ক্ষমতা পর্যন্ত হারিয়ে ফেলতে পারে। তাই ভারতের গরু না এলে এক দিকে যেমন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এড়ানো যাবে, অপর দিকে তেমনি এদেশের প্রাণীসম্পদ বৃদ্ধি পাবে এবং দেশের কৃষক জনতা খুব বেশি লাভবান হবে। তৎসঙ্গে আমিষের ঘাটতি পূরণ হবে এবং দুধ ও জৈব সারের সরবরাহ বাড়বে নেতৃদ্বয় গতকাল এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন-সামর্থবান মুসলমানদের উপর ইসলামের দৃষ্টিতে কোরবানি করা একটি আবশ্যক বিধান। সিটি কর্পোরশন থেকে এর জন্য আলাদা জায়গা নির্ধারণ করে কঠোরতা আরোপ করা হলে উক্ত আবশ্যকীয় বিধান পালন করা চরমভাবে বাধাগ্রস্ত হবে এবং কোরবানি দাতাদের দুর্ভোগও পোহাতে হবে। তাই এ জাতীয় হঠকারী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন