নগরীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে আরব আমিরাতের এক নাগরিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সাইফ আম্মার মোহাম্মদ হাসেল আলনেয়াদি (৩৯) নামে এই বিদেশি দুইদিন আগে বাংলাদেশে বেড়াতে আসেন। গতকাল বুধবার নগরীর স্টেশন রোডের এশিয়ান এসআর হোটেল থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। হোটেল কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন জানান, আমিরাতের এ নাগরিক অসুস্থতার জন্য হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন।
সালাউদ্দিন নামের এক প্রবাসীর সঙ্গে গত সোমবার আলনেয়াদি বাংলাদেশে এসে স্টেশন রোড এলাকার ওই হোটেলের ৭০৪ নম্বর রুমে উঠেছিলেন। গতকাল ঘুম থেকে না উঠায় সালাউদ্দিন তাকে ডাকতে গিয়ে শরীর ঠান্ডা দেখতে পান। সালাউদ্দিন বিষয়টি হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা পুলিশে খবর দেয়। পরে আমিরাতের ওই নাগরিককে চমেক হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সালাউদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, অসুস্থতার কারণে দেড় বছর ধরে হুইল চেয়ারে চলাফেরা করতেন আলনেয়াদি। এজন্য তাকে অন্যের সহায়তা নিতে হতো। সেজন্য সালাউদ্দিন তার মামাত বোনের স্বামী ও এক বন্ধুকে সঙ্গে রেখেছিল। হোটেলের ওই কক্ষে আলনেয়াদির সঙ্গে সালাউদ্দিনই ছিলেন। আর ৭০৮ নম্বর কক্ষে ছিলেন অন্য দুইজন। মঙ্গলবার ফয়স’লেক ও বিভিন্ন পর্যটন স্থানে ঘুরে বেড়ান।
গতকাল সালাউদ্দিনের সঙ্গে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পদুয়ায় তার বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। সেজন্য আলনেয়াদি সকাল সাতটায় অ্যালার্মও দিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু না ঘুম থেকে ওঠায় সালাউদ্দিন তাকে ডাকতে গিয়ে শরীর ঠান্ডা দেখতে পায়। সালাউদ্দিনের বাবাও একসময় আলনেয়াদির অধীনে আরব আমিরাতে কাজ করতেন। কয়েক বছর ধরে বাবার পরিবর্তে কাজ করছিলেন সালাউদ্দিন। আমিরাতেও আলনেয়াদিকে দেখভাল করতেন তিনি। সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, অসুস্থ হওয়ার আগে আলনেয়াদি আরব আমিরাতের পুলিশে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে আরব আমিরাত দ‚তাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আলনেয়াদি বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। তার পাসপোর্টেও বিভিন্ন দেশের ভিসা দেখা গেছে। আলনেয়াদির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষ লাশ তার দেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন