ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের বিরুদ্ধে কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সম্প্রতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মোহাম্মদ রাসেল মোল্লা এ চার্জশিট দাখিল করেন। গতকাল বুধবার পুলিশ ও আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলার সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূর পাপিয়া বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগ বিষয়টি জানার পর সঙ্গে সঙ্গে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এরপর আসামি শফিকুল ইসলাম কাজল তার ফেসবুক আইডি থেকে অসত্য তথ্য প্রচার করতে থাকেন। অনলাইন মাধ্যম থেকে এসব অসত্য তথ্য দিয়ে খবর প্রচার করেন আসামি কাজল।
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, বাদীকে পাপিয়ার সঙ্গে জড়িয়ে যৌন সম্রাজ্ঞী হিসেবে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে তীর চিহ্ন দিয়ে শনাক্ত করেন। পাশাপাশি বাদীকে নারী ব্যবসা ও মাদক ব্যবসায় পাপিয়ার অন্যতম সহযোগী হিসেবে অপমানকর মিথ্যা তথ্য ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
এ ঘটনায় বাদী সুমাইয়া চৌধুরী বন্যা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে মোট নয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলায় কাজলকে জামিন দেন হাইকোর্ট। গত ২৪ নভেম্বর রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা অপর মামলায় ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। গত বছরের ৯ মার্চ কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শেখর। এরপর ১০ ও ১১ মার্চ রাজধানীর হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গীরচর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাজলের বিরুদ্ধে আরও দুটি মামলা হয়। গত বছরের ১৮ মার্চ রাতে কাজলকে অপহরণ করা হয়েছে অভিযোগ এনে চকবাজার থানায় মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক। ঢাকা থেকে নিখোঁজের ৫৩ দিন পর গত ২ মে রাতে যশোরের বেনাপোলের ভারতীয় সীমান্ত সাদিপুর থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ফটোসাংবাদিক ও দৈনিক পক্ষকালের সম্পাদক শফিকুল ইসলাম কাজলকে আটক করে বিজিবি। এরপর গত বছরের ৩ মে অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবির করা মামলায় আদালতে সাংবাদিক কাজলের জামিন মঞ্জুর হলেও পরে কোতোয়ালি মডেল থানায় ৫৪ ধারায় অপর একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন