বেনাপোল অফিস : জিকা ভাইরাস আতঙ্কে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনে আবারো সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গতকাল বিকেল ৫টা থেকে বেনাপোল চেকপোস্টে কাস্টমস ও ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য কর্মীদের অধিক সতর্কতা অবলম্বন করতে দেখা যায়।
সতর্কতা জারির পরপরই সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল ইমিগ্রেশনে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম পাসপোর্ট যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন সূত্র জানায়, জিকা ভাইরাস এডিস মশার কামড় থেকে ছড়ায়। এতে গর্ভবর্তী মায়েরা আক্রান্ত হন। এর আগে চলতি বছরের প্রথমদিকে এ ভাইরাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে নতুন করে কয়েকটি দেশে জিকা ভাইরাসে কয়েকজন আক্রান্ত হওয়ার খবরে নতুন করে এ সতর্কতা জারি করা হয়।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য পরিদর্শক প্রণয় সরকার জানান, বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার হাজার পাসপোর্ট যাত্রী চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের কাজে যাতায়াত করেন। এর মধ্যে তিন থেকে চার শতাধিক থাকছে বিদেশি যাত্রী। জিকা ভাইরাস আক্রান্ত নারীদেও কেউ যাতে কোনোভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারেন এজন্য তারা সতর্ক রয়েছেন।
তিনি জানান, ভারত হয়ে যেসব বিদেশি গর্ভবতী নারীরা আসছেন বাংলাদেশে ঢোকার আগ মুহূর্তে তাদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয়সহ কয়েকটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। এজন্য ইমিগ্রেশনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে থার্মাল স্ক্যানার স্থাপন করা হয়েছে। এতে সহজে এ ভাইরাস শনাক্ত করা যাবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে স্বাস্থ্য কর্মীরা সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছে। তাদের এ কাজে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
ফিরে গেল ভারতীয় ৩ কিশোরী
ঢাকার গাজীপুরের কিশোরী সংশোধনী কেন্দ্রে থাকা প্রেমের টানে নিজ দেশ ছেড়ে বাংলাদেশে আসা তিন ভারতীয় কিশোরী ১ বছর পর আজ সোমবার বিকেলে নিজ দেশে ফিরে গেলেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশ ‘ট্রাভেল পারমিটের’ মাধ্যমে তাদের ভারতের পেট্রাপোল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন।
ফিরে যাওয়া তিন কিশোরী হলো ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার জেলার হাবড়া থানার সালতিয়া পশ্চিম পাড়া এলাকার শিবানী শিকদার (১৮), একই এলাকার হেমা বিশ্বাস (১৫) ও ফুলতলা বিশ্বাস পাড়ার মিতালী অধিকারী (১৭)।
বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির এ্যাডভোকেট নাসিমা খাতুন জানান, দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার ফার্স্ট সেক্রেটারি রমাকান্ত গুপ্ত তাদের নিজ জিম্মায় নিয়ে বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে ভারতের পেট্রাপোল পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেন। সেখান থেকে ‘সংলাপ’ নামের একটি এনজিও তাদেরকে গ্রহণ করে অভিভাবকদের হাতে তুলে দেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন