কুমিল্লার মুরাদনগরে প্রায়ই হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ক্ষমতাসীন দলের লোকজন এসব হামলার জন্য দায়ী বলে অভিযোগ বিএনপির। এবার সশস্ত্র হামলার শিকার হয়েছেন কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ফারুক আহমেদ বাদশা। গুরুতর আহত ছাত্রদল নেতা বাদশা বর্তমানে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। গত সোমবার সন্ধ্যায় মুরাদনগরের রহিমপুর আশ্রমের উল্টো দিকের সড়কে এ হামলার ঘটনা ঘটে। মুরাদনগর থানার এএসআই হানিফ জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বাদশাকে উদ্ধার করে মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
ঘটনার বিষয়ে আহত ছাত্রদল নেতা ফারুক আহমেদ বাদশা বলেন, বেশ আগ থেকেই মুরাদনগর আওয়ামী লীগের লোকজন আমাকে ছাত্রদলের রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি দলের লোকজনসহ আমার পরিবার জানে। আর এ কারণেই বাবা-মা আমার নিরাপত্তার কথা ভেবে আমাকে অন্য উপজেলায় থাকার জন্য বলে। আমিও তাদের কথা মেনে চলে যাই। গত সোমবার সন্ধ্যায় বাবা মাকে দেখার জন্য মুরাদনগর আসি। পথে আওয়ামী লীগের আশরাফ মেম্বার ও রুবেলের নেতৃত্বে ১০-১২ জন রহিমপুর আশ্রমের উল্টোদিকের সড়কের উপর ফেলে লোহার পাইপ ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং দেশিয় অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে আমাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে বাদশার উপর হামলার প্রতিবাদে কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রেজাউল করিমের নেতৃত্বে ঢাকা- চট্টগ্রাম মহাসড়কের ইলিয়টগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ। তারা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন