শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দিনাজপুরে আরো একটি লোহা খনির সন্ধান

খনন কার্যক্রমের প্রস্তুতি সম্পন্ন

মাহফুজুল হক আনার, দিনাজপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৫ মার্চ, ২০২১, ১২:০১ এএম

দিনাজপুরে আরো একটি লোহা খনির অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। নতুন খনিটি দিনাজপুরের চিরিরিবন্দর উপজেলার পুনট্টি ইউনিয়নের কেশবপুর এলাকায়। এর আগে হাকিমপুর উপজেলার ইশবপুুরে প্রাপ্ত লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে বের হয়ে এসেছে উন্নতমানের আকরিক লোহা।
ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ভূ-তাত্তি¡ক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) সম্ভাব্য খনির অবস্থান চিহ্নিত করেছে। জরিপকার্য নির্বিঘেœ পরিচালনার জন্য জিএসবির পরিচালক মো. আবদুল আজিজ পাটোয়ারী স্বাক্ষরিত চিঠি দিনাজপুরের জেলা প্রশাসককে দেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে জিএসবির মহাপরিচালক ড. মো. শের আলী আগামী ১ এপ্রিল জরিপ কাজের উদ্বোধন করবেন।

দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি ও মধ্যপাড়া কঠিন (পাথর) শিলা প্রকল্প দুটি থেকে দেশের প্রথম খনিজ পদার্থ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হয়ে আজ পর্যন্ত তা চলমান রয়েছে। সম্ভাবনাময় ফুলবাড়ী কয়লা খনি প্রকল্প উন্মুক্ত পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এলাকাবাসীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে এর কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরপর বাংলাদেশ বাংলাদেশ ভূ-তাত্তি¡ক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)’র সার্বিক অনুসন্ধানে নবাবগঞ্জ উপজেলার দীঘিপাড়া কয়লা খনির জরিপ শেষে খনিটিতে পর্যাপ্ত কয়লা মজুদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
অজ্ঞাত কারণে কয়লা উত্তোলন কার্যক্রম শুরু’র আগে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক কিনা তথা ফাইনাল জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। যার কার্যক্রম চলে মূলত ভারতীয় প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে। এরপরই শুরু হয় হাকিমপুর উপজেলার ইসবপুরে লোহার খনির অনুসন্ধান কার্যক্রম। জিএসবি’র নেতৃত্বে দক্ষ দেশী প্রকৌশলীরা বের করে আনেন উন্নতমানের আকরিক লোহা। এর আগে পার্বতীপুরে আমবাড়ীতে তামার সন্ধানে জরিপ কার্য সম্পন্ন করে জিএসবি। তবে সেখানে আশানুরুপ ফলাফল পাওয়া যায়নি বলে জরিপ অধিদফতরের একটি সূত্র দাবি করেছে।

সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে কূপ খননের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বাংলাদেশ ভূ-তাত্তি¡ক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি)। এজন্য জমি অধিগ্রহণসহ প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চিঠি দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসককে। জরিপ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম পৌঁছে গেছে। এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে খনির সন্ধানে প্রাণচাঞ্চলতার সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, প্রথম তিন মাস কূপ খনন করে চলবে অনুসন্ধান। প্রাথমিক জরিপে নতুন এই খনিতে লোহার (আকরিক) এর পুরত্ব অনেক বেশি। পুরত্ব বেশী হওয়ায় লোহার সাথে তামাসহ অন্যন্য মূল্যবান সম্পদ পাওয়ার আশাও রয়েছে। একটি সুত্র মতে চিরিরবন্দরে কূপ খনন কাজে দল প্রধান হিসাবে রয়েছে জিএসবি’র উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. মাসুদ রানা। তার সঙ্গে রয়েছেন উপ-পরিচালক (ড্রিলিং প্রকৌশলী) মো. নিহাদুল ইসলাম, সহকারী প্রকৌশলীসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন