স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা এক চিঠিতে তিনি এ শুভেচ্ছা জানান। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণও জানিয়েছেন ইমরান খান।
শুভেচ্ছা বার্তায় ইমরান খান বলেন, ‘আমার পক্ষে এবং পাকিস্তানের সরকার ও জনগণের পক্ষে আমি বাংলাদেশের ৫০তম বার্ষিকীতে আমাদের অভিনন্দন জানাতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। মরহুম প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন তার প্রতি আপনার এবং বাংলাদেশের মানুষের গভীর আবেগ এবং শ্রদ্ধার প্রতিফলন’।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ভ্রাতৃসূলভ সম্পর্ককে পাকিস্তান গভীরভাবে অনুধাবন করে। তার মতে, এই সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল ইতিহাস, বিশ্বাস এবং অভিন্ন স্বার্থের ভিত্তিতে। এই সম্পর্কের উদ্দেশ্য টেকসই শান্তি, নিরাপত্তা এবং এই অঞ্চলসহ সমগ্র বিশ্বের উন্নয়ন। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী আমাদের দু’দেশের মধ্যে বোঝাপড়া ও বন্ধুত্বের দূরদর্শিতার কথা মনে করিয়ে দেয়, এ কারণেই পাকিস্তান ও বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ এতটা প্রিয়। এ দৃষ্টিভঙ্গির সম্পূর্ণ উপলব্ধিতে পাকিস্তান অকৃত্রিম অংশীদার হিসাবে রয়েছে। আমরা ভ্রাতৃপ্রতিম বাংলাদেশের সাথে আমাদের বিদ্যমান বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য নতুন করে গড়ে তুলতে চাই, কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, আমাদের দুই দেশের ভাগ্য জড়িত রয়েছে’।
তিনি বলেন, ‘এ উপলক্ষে আসুন আমরা আমাদের জনগণের উন্নত ভবিষ্যতের জন্য এবং আমাদের দুই দেশের মধ্যে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য যৌথভাবে কাজ করার আমাদের সংকল্পকে নবায়ন করি’।
প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দু’দেশের গভীরতর সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব দ্রæততম সময়ে পাকিস্তান সফরের আমন্ত্রণ জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এ সফর দু’দেশের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘ জীবন, স্বাস্থ্য ও সুখ এবং ভ্রাতৃত্বকামী বাংলাদেশিদের অবিচ্ছিন্ন শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
২৬ শে মার্চ ডেটলাইনে পাঠানো চিঠিটি গতরাতে ঢাকায় পৌঁছেছে বলে পররাষ্ট্র দপ্তর, ইসলামাবাদের বাংলাদেশ হাই কমিশন। তাছাড়া ঢাকাস্থ পাকিস্তান মিশনের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রæপে চিঠিটির কন্টেন্ট শেয়ার করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন