শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পর্যবেক্ষকেও পরিবর্তন নেই ১৩ ব্যাংকের সুচকের

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

সোহাগ খান : ব্যাসেল-৩ কার্যকর করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে আর্থিক সূচকের অবনতি হওয়ায় গত বছরের ১৮ই নভেম্বর চারটি এবং পরবর্তীতে মোট ১৩টি ব্যাংক ও ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পর্যাবেক্ষক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। একবছর পার হলেও কোন প্রতিষ্ঠানেরই সূচক উর্ধ্বমূখী হয় নি। উল্টো অনেক ব্যাংকের সূচকই নি¤œমূখী।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অনিয়ম, অবৈধ অর্থায়ন ও পর্ষদে আন্তঃকোন্দলের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলিতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন তারা। সরকারি মালিকানাধীন ৭াট ব্যাংক ছাড়াও বেসরকারি মালিকানাধীন ব্যাংক ৬টি ও ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২টি।
তবে ব্যাংকগুলোর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তাদের খবরদারি বাড়াতে গিয়েই প্রতিষ্ঠানগুলিতে নিজস্ব কর্মকর্তা বসিয়েছে। যার ফলে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব স্বাতন্ত্র বলে কিছুই আর নেই। পর্যাবেক্ষক বসানোর কারণে সরকারি ব্যাংকগুলোর পরিচালন মুনাফা ক্রমাগত কমছে। পর্যবেক্ষকেরা এসব প্রতিষ্ঠানের পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থিত থেকে সিদ্ধান্ত নিতে বাধাগ্রস্থ করছেন অথবা নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে ভূমিকা রাখছেন। এসব কারণে ব্যাংকগুলোর পরিস্থিতির উত্তরণ হচ্ছে না। উদাহরণ হিসেবে জানা যায়, নির্বাহী পরিচালক আহম্মেদ জামাল ও আব্দুর রহিমের বিষয়। এদের মধ্যে দুজনকে ডেপুটি গভর্নর নিয়োগের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন দেয়া হলেও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে ঘুষ নিয়ে ঋণ ছাড়করণের অভিযোগ ওঠে। এতে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বাতিল হয়ে যায়।
পর্যবেক্ষক থাকা ১৩টি ব্যাংক হলো সরকারি খাতের সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, বেসিক, বাংলাদেশ কৃষি ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (বিডিবিএল) এবং বেসরকারি খাতের বাংলাদেশ কমার্স, ইসলামী, ফারমার্স, ন্যাশনাল, আইসিবি ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক। আর্থিক প্রতিষ্ঠান দুটি হলো পিপলস লিজিং ও বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফাইন্যান্স কোম্পানি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র শুভঙ্কর সাহা বলেন, সমঝোতা স্মারকের শর্ত পূরণ না হওয়ায় সরকারি ব্যাংকগুলোতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। আর বেসরকারি কয়েকটি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কিছু বিষয়ে প্রশ্ন ওঠায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘদিন পর্যাবেক্ষক থাকলেও এতে প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নতি হচ্ছেনা কেনÑ জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে দীর্ঘদিনের অনিয়মের রীতি ভাঙতে একটু সময় তো লাগবেই।তবে সভাগুলোতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকায় সুশাসন ও ঋণের ঝুঁকি-ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী হচ্ছে।
জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনো ব্যাংকের সার্বিক আর্থিক সূচক ‘ক্যামেলস’ রেটিং ৩ বা তার বেশি হলে পর্যবেক্ষক নিয়োগ দেওয়ার বিধান রয়েছে। সে অনুযায়ী সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর ক্যামেলস রেটিং ৩ বা তার বেশি হওয়ায় পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন