কর্তৃপক্ষের আদেশ তোয়াক্কা না করে সার্কুলার ফাইল চাপা
স্টাফ রিপোর্টার : জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোতে (বিএমইটি) কর্মরত কতিপয় কর্মকর্তার বদলির আদেশ ঠেকাতে একটি মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীদের অহেতুক হয়রানি বন্ধ এবং বিএমইটিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র নির্দেশে গত ১ সেপ্টেম্বর বিএমইটি’র ডিজি সেলিম রেজা বিএমটি’র ৬জন কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করেন। এতে বিএমইটি’র কর্মকর্তা ও ভুক্তভোগী রিক্রুটিং এজেন্সির মাঝে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু বিএমইটি’র অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদের ইশারায় গত ১ সেপ্টেম্বর পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আহমদ শামীম আল রাজী স্বাক্ষরিত সূত্র নং ৪৯.০১.০০০০.০০২.১২.৬৪২.১৫-২০৬৫-এর ৬ জন কর্মকর্তার বদলির আদেশ শুধু ২/১ জন কর্মকর্তারা কাছে দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নিকট প্রকাশ না করে ফাইল চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে। বিএমইটি’র বদলিকৃত কর্মকর্তারা হচ্ছে, বর্হিগমন শাখার উপ-পরিচালক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন সরকারকে কর্মসংস্থান শাখায়, কর্মসংস্থান শাখার উপ-পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমানকে বর্হিগমন শাখায়, প্রশাসন শাখার আলোচিত সহকারী পরিচালক মোঃ রেজওয়ানুল হক চৌধুরী (ক্যানেডি)কে কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে, ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আলীকে বিএমইটি’র প্রশাসন শাখায়, কর্মসংস্থান শাখার সহকারী পরিচালক মোঃ এনামুল হককে ঢাকা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসে ও কুমিল্লা জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফুল ইসলামকে বিএমইটি’র প্রশিক্ষণ শাখায় বদলি করা হয়েছে। এসব বদলি’র সরকারী আদেশ অতিকৌশলে ফাইল চাপা দিয়ে রাখায় বদলিকৃত কর্মকর্তারা স্ব স্ব পদে বহাল তবিয়তে রয়েছে। বদলিকৃত উপ-পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন সরকার ও ক্যানেডি সম্প্রতি রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিদের কাছে নানা হুমকি দিয়ে বলেছে তাদের বদলির আদেশ বাতিল করা না হলে তারা দেখে নেবে। গত ৫ সেপ্টেম্বর কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সির প্রতিনিধিকে দিয়ে বিএমইটি’র ডিজি সেলিম রেজার কাছে বদলির আদেশ বাতিলের প্রস্তাব পাঠানো হয়। অত্যন্ত চৌকস ডিজি সেলিম রেজা বদলির আদেশ বাতিলের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেন। উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান রাতে ইনকিলাবের সাথে আলাপকালে বলেছেন, গত ১ সেপ্টেম্বরের বদলির আদেশ গতকাল মঙ্গলবার হাতে পেয়েছি। জানা গেছে সহকারী পরিচালক ক্যানেডি দীর্ঘ দিন মালয়েশিয়া সেলে দায়িত্বে থাকাকালে মালয়েশিয়া গমনেচ্ছু প্রায় ১৪ হাজার কর্মীর ছবি মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনে পাঠিয়ে চড়া মূল্যের বিল দেখিয়ে এবং প্রায় ৮ হাজার কর্মীর বিমানের টিকিট কেটে মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নিয়ে কালো টাকার মালিক বনে গেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সউদী আরবে মহিলা কর্মী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে উপ-পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন সরকার সান ওভারসীজের যোগ্য কর্মীদের অযোগ্য ঘোষণা করে চরম হয়রানি করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন