শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

তিতাস নদীতে নৌকাবাইচ

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : নদীমাতৃক দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। আবহমান গ্রামবাংলার শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রয়েছে নদীর নিবির প্রভাব। ভাটি অঞ্চল খ্যাত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নানান লোকজ ক্রীড়ার মধ্যে বেশীর ভাগই এই নদীকে ঘিরে। এমনই একটি লোকজ ক্রীড়ার নাম নৌকা বাইচ।
যা যুগ যুগ ধরে এই এলাকার মানুষকে বিনোদন দিয়ে আসছে। ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদীতে এমনই একটি আয়োজনে উৎসবে মেতে উঠেছিল শহর ও এর আশপাশ এলাকার প্রায় লাখো মানুষ। ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ যখন হারিয়ে যাওয়ার পথে ঠিক তখনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহায়তায় তিতাস নদীতে হয়ে গেল এই নৌকাবাইচ। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন এলাকার ১৩টি দল তাদের সুসজ্জিত নৌকা আর রং বে-রঙের বাহারি পোশাক পড়ে এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। উৎসব আমেজে নৌকা বাইচ দেখতে তিতাস পাড়ে ভিড় জমায় এই অঞ্চলের নারী-পুরুষ শিশু বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মানুষ। নীরব নিস্তব্দ তিতাস পাড় হয়ে উঠে হাজার হাজার মানুষের কোলাহলে মুখরিত। এ নৌকা বাইচকে কেন্দ্র করে দুুপুরের পর থেকে শহরে দু’একটি অটোরিকশা ছাড়া আর কোন যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। শহরের পূর্ব পার্শ্বে অবস্থিত তিতাস পাড়ে জমায়েত হয়ে নৌকা বাইচ দেখার জন্য। নৌকা বাইচ এর উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র. আ. ম. উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী। পুরস্কার বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনির কামাল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহরিয়ার আল মামুন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু। প্রতিযোগিতায় জেলার সরাইলে উপজেলার খেমতাপুরের শাপলা বয়েজ ক্লাব প্রথম স্থান, নাসিরনগর উপজেলার হবিপুরের ফারুক মিয়ার দল ২য় স্থান, বিজয়নগর উপজেলার বুলাগ্রামের মফিজ মিয়ার দল ৩য় স্থান অধিকার করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন