চট্টগ্রাম ব্যুরো : বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে বিরাজমান লঘুচাপ ও বর্ষার মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এর দ্বিমুখী প্রভাবে দেশের বেশিরভাগ জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। সেই সাথে উত্তর বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় দেশের সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩নং সতর্ক সংকেত দেখানো হচ্ছে। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফে ৬৪ মিলিমিটার। এ সময় ঢাকায় ৪, চট্টগ্রামে ৫ মি.মি. বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া বিভাগ আরও জানায়, মৌসুমি বায়ুর অক্ষ বা বলয় ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল এবং বাংলাদেশের মধ্যাংশ হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে জোরালো অবস্থায় রয়েছে।
আজ (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে। বর্ধিত ৫ দিনে আবহাওয়ার অবস্থার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
সর্বশেষ আবহাওয়া সতর্কবার্তায় জানা গেছে, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি বর্তমানে উত্তর, উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এলাকায় গভীর সঞ্চালনশীল মেঘমালা তৈরি অব্যাহত আছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৩নং স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন