শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কর্পোরেট

আরো পোশাক কারখানাকে সতর্কবার্তা

প্রকাশের সময় : ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কর্পোরেট রিপোর্টার : ইউরোপীয় ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড অন ফায়ার অ্যান্ড বিল্ডিং সেফটি ইন বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ে ত্রæটি সংশোধন না করায় ৫৫৩টি পোশাক কারখানাকে সতর্কবার্তা দিয়েছে। ত্রæটি আগেই শনাক্ত করা হয়েছিল। সংশোধনের জন্য সময়ও দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ত্রæটি সংশোধন না করায় সতর্কবার্তা পাঠানো হলো। শিল্প-কারখানা মূল্যায়নে নিয়োজিত এ সংস্থা এসব কারখানাকে স¤প্রতি দুই ধাপে সতর্ক করে। কারখানা পরিদর্শনে শনাক্তকৃত ত্রæটি সংশোধনে অনগ্রসরতা ও সংশোধনমূলক কর্মকাÐে অ্যাকর্ডকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা না করায় এসব কারখানাগুলোকে সতর্ক করা হয়। অ্যাকর্ডের কার্যবিধি অনুযায়ী, ত্রæটি সংশোধনে অকার্যকারিতার জন্য বিভিন্ন কারখানার বিরুদ্ধে তিন ধাপে ব্যবস্থা নেয় সংস্থাটি। প্রথম ধাপে নন-কমপ্লায়েন্স বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে সতর্কতার বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আর শেষ ধাপে ব্যবসায়িক সম্পর্ক বাদ দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের ৫৫৩টি পোশাক কারখানাকে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে অ্যাকর্ড। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ত্রæটি সংশোধনে অকার্যকারিতার জন্য প্রথম ধাপে ৪৪৯টি কারখানার বিরুদ্ধে নন-কমপ্লায়েন্স বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কারখানা ত্রæটি সংশোধনে যথাযথ সহযোগিতা না করা ও সংশোধনমূলক পদক্ষেপের ঘাটতিতে এ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। দ্বিতীয় ধাপে আরো ১০৪টি কারখানাকে সতর্কতার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংশোধন কার্যক্রম সম্পন্নের সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। দুই ধাপ মিলিয়ে মোট সতর্কবার্তা পাওয়া কারখানার সংখ্যা ৫৫৩। এরপরও কাজ না হলে সর্বশেষ ধাপে ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছেদের ঘোষণা দেয়া হবে। তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাÐ ও রানা প্লাজা ধসের পরিপ্রেক্ষিতে পোশাকশিল্প মূল্যায়নে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এরই অংশ হিসেবে ইউরোপীয় ক্রেতা জোট ছাড়াও কাজ করছে উত্তর আমেরিকাভিত্তিক অ্যালায়েন্স ফর বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স সেফটি। জাতীয় উদ্যোগে মূল্যায়ন কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)। অ্যাকর্ডের চিহ্নিত ত্রæটিগুলোর ৪৪ শতাংশ এখনো সংশোধন হয়নি। অ্যাকর্ডে স্বাক্ষরকারী ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বর্তমানে ২১০-এর বেশি। আর চুক্তির আওতায় তালিকাভুক্ত পোশাক কারখানা রয়েছে প্রায় ১ হাজার ৬০০টি। ২০১৩ সালের নভেম্বরে শুরু হয়ে তালিকাভুক্ত কারখানাগুলোর মধ্যে মোট ১ হাজার ৫৫০টি কারখানা পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শনে অগ্নি, বৈদ্যুতিক ও কাঠামোগত অনেকগুলো কারখানার ত্রæটি চিহ্নিত করা হয়। পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, অ্যাকর্ডের সতর্কতা বার্তার বিষয়টি সংগঠনকে জানানো হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধন কার্যক্রমে গতি আনতে সংগঠনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ আশা করে কারখানাগুলোকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিজিএমইএ দ্বিতীয় ধাপের সতর্কবার্তা পাওয়া ১০৪টি কারখানার বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই মধ্যে বেশকিছু কারখানাকে সংশোধন কার্যক্রম গতিশীল করতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে সংশোধন কার্যক্রমে ধীরগতির কারণ ও গুরুত্বপূর্ণ কোনো সমস্যা থাকলে তা সংগঠনকে জানাতে বলা হয়েছে। বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, অ্যাকর্ড নিয়মিত পদক্ষেপগুলোর বিষয়ে সংগঠনকে অবহিত করে। সে অনুযায়ী আমরা কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন