আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় হাবের
স্টাফ রিপোর্টার
চলতি বছর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ও সাউদিয়া এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটযোগে হজযাত্রী পরিবহনের সফল সমাপ্তি ঘটেছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের শেষ হজ ফ্লাইট তিন শতাধিক হজযাত্রী নিয়ে জেদ্দার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ১৮১ জনসহ ৪৮৩টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে সর্বমোট প্রায় ১ লাখ ১ হাজার ৩শ’ জন হজযাত্রী সউদী আরবে গেছেন। সউদী-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক হজ চুক্তি অনুযায়ী এবার হজযাত্রীর কোটা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন। বিভিন্ন হজ এজেন্সির ৪৩১ জন হজযাত্রীর পাসপোর্ট ভিসার জন্য সউদী দূতাবাসে জমা হয়নি। হজযাত্রী পরিবহনের সফল সমাপ্তি হওয়ায় হাবের সভাপতি আলহাজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম বাহার মহান আল্লাহর দরবারে শোকরিয়া আদায় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান, ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ বজলুল হক হারুন এমপিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। যেসব হজযাত্রী কোটার অভাবে প্রাক-নিবন্ধন করেও হজে যেতে পারেননি তাদের দীর্ঘায়ু কামনা করে আগামী বছর সিরিয়াল অনুযায়ী তারা আগে হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন বলে হাব সভাপতি ইব্রাহিম বাহার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে, সাউদিয়ার শেষ হজ ফ্লাইটে সিট না পাওয়ায় ২০-২৫ জন হজযাত্রী হজে যেতে না পেরে নিরাশ মনে বাড়ি ফিরে গেছেন। এসব হজযাত্রীর অনেকেই গতকাল সকাল থেকে সোনারগাঁও হোটেলস্থ সাউদিয়া এয়ারলাইন্সের অফিসে ধরনা ধরে অপেক্ষা করেও কোনো সিট না পেয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। হজ এজেন্সি ইমাম ট্রাভেলস (৮৩৫)-এর স্বত্বাধিকারী প্রতারক নূর আলম সিদ্দিক হজযাত্রী খলিলুর রহমান ও তার মা আমেনা বেগমসহ ৬ জনকে বিমানের টিকিট না দিয়েই সউদী আরবে পালিয়ে গেছে। গতকাল তার সউদীর মোবাইল ফোনে দফায় দফায় যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখিত ৬ হজযাত্রী সারাদিন সাউদিয়ার অফিসে বসে থেকে বিকেলে নিরাশ মনে বাড়ি ফিরে গেছেন। হজ এজেন্সি ফারুক ট্রাভেলসের হজযাত্রী শিহাব উদ্দিন, মোর্শেদ আলম ও হাসিবুল ইসলাম, চট্টলা হজ গ্রুপ ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রী খাইরুল ইসলাম, মদিনা স্টার ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলসের হজযাত্রী সাত্তার ভূইয়া, আবুল বাশার ও আব্দুল কাইয়ূমসহ অন্য হজযাত্রীরা সাউদিয়ার অফিসে টিকিট ক্রয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চলতি বছর হজযাত্রীদের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম থেকে নির্ধারিত ১০ হজ ফ্লাইট এবং সিলেট থেকে ৪টি হজ ফ্লাইটযোগে হজযাত্রী পরিবহন করা হয়েছে। বিমানের কর্মকর্তাদের অদক্ষতার এবং পরিচালক হজ আবু সালেহ মোস্তফা কামাল হজ ভিসার ডিও লেটার ইস্যুতে অহেতুক বিলম্ব করায় এবার বিমানের ২০টি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে। পরবর্তীতে আরো ২০টি হজ ফ্লাইটের স্লট পাওয়ায় হজযাত্রী পরিবহনে ভয়াবহ বিপর্যয় থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। বিমানের ফিরতি হজ ফ্লাইট আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে আগামী ১৬ অক্টোবর শেষ হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন