সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গযব দিয়েছে হানা, তবু তুমি জাগলে না তবু তুমি জাগলে না

রূহুল আমীন খান | প্রকাশের সময় : ১ এপ্রিল, ২০২১, ৫:৫৩ পিএম | আপডেট : ১২:১৭ পিএম, ২ এপ্রিল, ২০২১

‘তিনি মহাস্রষ্টা, সর্বজ্ঞ। তার (আল্লাহর) ব্যাপার শুধু এই, তিনি যখন কোনো কিছু করতে ইচ্ছা করেন, তখন তাকে কেবল বলেন, ‘হও’ তখনই তা হয়ে যায়। অতএব, পবিত্র তিনি, যাঁর হাতে সব কিছুর রাজত্ব এবং তারই দিকে তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে।’ (সূরা ইয়াসীন: আয়াত: ৮১, ৮২, ৮৩)

হ্যাঁ, আল্লাহই সব কিছুর মালিক। সৃজন, পালন, রক্ষণ, ধ্বংসসাধন, পুনর্গঠন সব কিছু তাঁর ইখতিয়ার, তাঁর ইচ্ছাধীন। মহাবিশ্বের যেখানে যা কিছু আছে, মুহূর্তের মধ্যে সব কিছুই তিনি ফানা করে দিতে পারেন। আর এমন কোনো শক্তি নেই যে, তা রোধ করতে পারে। মানবের জ্ঞান-বিজ্ঞান, হুনর-হিকমত, তাঁর শক্তি, ক্ষমতা, ইচ্ছার সামনে সকলই অসার। এই যে কোভিড-১৯, আমাদের চোখের সামনে, তাও তাঁরই এক জ্বলন্ত উদাহরণ। মুহূর্তের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়ল বিশ্বময়। যারা জ্ঞান-বিজ্ঞানে সবার চেয়ে উন্নত, সবদিক থেকে ক্ষমতাবান, তারাই আক্রান্ত হলো সবার চেয়ে বেশি। মরণের কোলে ঢলে পড়ল সবার তুলনায় অধিক। প্রতিষেধক ভ্যাকসিন হয়তো আজ বের হয়েছে, কিন্তু কালই এর চেয়েও হাজার গুণ ক্ষমতাসম্পন্ন অন্য কোনো ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কি ঘটতে পারে না? অবশ্যই পারে। তাই সারেন্ডার করতে হবে তাঁরই কাছে। নাজাত চাইতে হবে তাঁরই সমীপে। বর্জন করতে হবে অহঙ্কার, আত্মম্ভরিতা। হ্যাঁ, প্রতিষেধকের জন্য চেষ্টাও জারি রাখতে হবে। ‘আমরাই সব পারি’, বর্জন করতে হবে এই দেমাগ।

আল্লাহ করুণাময়, দয়ার সিন্ধু, এই বিশ্বাস, এই অনুভূতি, এই চৈতন্য জাগ্রত করতে হবে মন-মানসে। প্রত্যাবর্তন করতে হবে তাঁরই দিকে। আল্লাহ আমাদের ধ্বংস চান না, চান সংশোধন। তিনি পছন্দ করেন অনুতাপ, অনুশোচনা। এই গযব আমাদেরই কৃত কর্মের ফল। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন: ‘জলে ও স্থলে মানুষের কৃতকর্মের দরুন বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে, আল্লাহ তাদেরকে তাদের কৃতকর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান। যাতে তারা ফিরে আসে।’ (সূরা রূম: আয়াত: ৪১)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের ওপর যে বিপদ-আপদ আপতিত হয়, তা তোমাদেরই কৃতকর্মের ফল। আর অনেক পাপ তো আল্লাহ মার্জনাই করে দিয়েছেন।’ (সূরা শুরা: আয়াত: ৩০)। হ্যাঁ, আল্লাহ পাক তাঁর অপার করুণায় বান্দার অনেক পাপ মার্জনা করে দেন। প্রতিটি পাপের জন্যই গযব পাঠান না। তা যদি পাঠাতেন তবে মানবজাতি ধ্বংস হয়ে যেত। অবশ্য কিছু কিছু পাপ ক্ষমা না করে শিক্ষা দেয়ার জন্য গযব নাজিল করেন।

আমাদের পরম সৌভাগ্য যে, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যমানায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। তিনি রহমাতুল্লিল আলামীন। তিনি হায়াতুন্নবী। তিনি এই পৃথিবীতে মদীনায়ে তাইয়্যেবার পাক যমীনে শুয়ে আছেন। তাঁর উসিলা ও বরকতে পূর্ববর্তী যমানার মতো পাপের দরুন ব্যাপক প্রলয় ও ধ্বংসলীলা হচ্ছে না। যে সব অপরাধের দরুন আল্লাহর গযবে অতীতে অনেক জাতি ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে, সে সব পাপ এখন সংঘটিত হওয়া সত্ত্বেও আমরা উদ্ধার পেয়ে যাচ্ছি। হযরত নূহ আ. এর কওমের অবাধ্য লোকেরা মহাপ্লাবনে ধ্বংস, নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। হযরত লূত আ. এর কওমকে যমীন উল্টে দিয়ে প্রস্তর বর্ষণ করে নাস্তানাবুদ করে দেয়া হয়েছে। খোদায়ী গযবে চিরতরে ধরা পৃষ্ট থেকে বিলীন হয়ে গেছে কওমে আদ, কওমে সামুদ, আসহাবে উখদুদ, আসহাবে হিজর, আসহাবে আইকার মতো শক্তিমদমত্ত অনেক কওম। ধ্বংস হয়েছে হামান, সাদ্দাদ, কারুন এবং আরও অনেক দাম্ভিক জালিম। পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে আছে এর অসংখ্য নিদর্শন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সে সব স্থান পরিভ্রমণ করে খোদাদ্রোহিতা ও জুলুমবাজির ভয়াবহ পরিণতি দর্শন করে তা থেকে শিক্ষা গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন। বলেছেন: ‘তাদের বৃত্তান্তে বোধশক্তি সম্পন্ন লোকদের জন্য রয়েছে শিক্ষা।’ (সূরা ইউসুফ: আয়াত: ১১১)। ‘পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর। অতঃপর দেখ, যারা সত্যকে অস্বীকার করেছে তাদের পরিণাম কী হয়েছিল!’ (সূরা আনআম: আয়াত: ১১)। ‘তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ কর এবং দেখ, তোমাদের পূর্ববর্তী (জালিমদের) পরিণাম কী হয়েছে।’ (সূরা নমল: আয়াত: ৬৯)। ‘এরাও কি সেই চরম দুর্দিনের জন্য অপেক্ষা করছে, তাদের পূর্ববর্তীদের জন্য যে দিনের আবির্ভাব ঘটেছিল? যদি তাই হয়, তা হলে তাদের খুব করে অপেক্ষা করতে বলে দাও। আমিও তোমাদের মতো অপেক্ষায় রইলাম।’ (সূরা ইউনুস: আয়াত: ১০২)। আল্লাহপাক অন্যত্র বলেছেন: ‘তোমরা কি এও দেখতে পাচ্ছ না যে, এমন কোনো বছর যায় না যখন তাদের একবার কিংবা দু’বার বিপদে ফেলা হয়, তখন তারা তওবা করে না এবং বিপদ থেকে উপদেশ গ্রহণ করে না।’ (সূরা তওবা: আয়াত: ১২৬)।

মাওলানা আবুল কালাম আযাদ লিখেছেন: খোদায়ী হুঁশিয়ারী অলসনিদ্রাবিভোর বান্দাদের সজাগ করে দেয়ার জন্য। তাতেও যদি ঘুম না ভাঙে তবে চারদিকে অদৃশ্য হাত এসে জানিয়ে দেয়া- ওঠো, আর ঘুমিয়ো না, অনেক আগে প্রভাত হয়েছে। কিন্তু হায় এ ধাক্কাতেও চোখ মেলে না। এতোটুকু পাশ ফিরেও শোয় না। তখনই হয় ভূমিকম্প ও অগ্নুৎপাত। পৃথিবী ফেটে চৌচির হয়, ভয়াবহ শব্দে গগন, পবন সকরুণ হয়ে ওঠে।

যিন্দানবী আল্লাহর প্রিয় হাবীব এ যমীনে থাকায় যদিও পূর্ববর্তী নাফরমান উম্মতদের উপর গযব নাযিল হওয়ার মতো ব্যাপকভাবে ভয়াবহ গযব নেমে আসছে না, তবে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে গেছেন। বলে গেছেন: ‘যখন গনীমতের মালকে (রাষ্ট্রীয় সম্পদকে) ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করা হবে, আমানতের মালকে গনীমতের মাল মনে করা হবে, যাকাতকে জরিমানার মতো মনে করা হবে, দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের জন্য দ্বীনী শিক্ষালাভ করা হবে, পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে আর জন্মদাত্রী মাতার নাফরমানী করবে, বন্ধুদেরকে সমাদর করবে, কাছে স্থান দেবে আর পিতাকে অবহেলা করবে, অবজ্ঞায় সরিয়ে দেবে দূরে, মসজিদে হৈহুল্লোর করা হবে; নিকৃষ্টতম ব্যক্তিরা অধিষ্ঠিত হবে শাসন ক্ষমতায়; একে অপরকে সম্মান করবে অনিষ্টের আশঙ্কায়; গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রাদির ঘটবে ব্যাপক প্রসার; চলতে থাকবে মদ্যপান ও মাদক সেবন; উম্মতের পূর্ববর্তীদের পরবর্তীরা দোষারোপ-অভিসম্পাত করতে থাকবে; সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো রক্তিম বর্ণের ঝড়ের, ভূমিকম্পের, ভূমিধসের, রূপ-আকৃতি বিকৃতির, তখন মালার সূতা ছিড়ে গেলে যেমন দানা একটির পর একটি ঝরে পরতে থাকে, অপেক্ষায় থাক, তেমনি একের পর এক বিপদ আসার।’ (তিরমিযি)।

আমরা কি এ আলামতগুলি আমাদের পরিবারে, সমাজে, রাষ্ট্রে, সর্বত্র দেখতে পাচ্ছি না? বিশ্বের সর্বত্র কি প্রকট রূপে দৃশ্যমান হয়ে উঠেনি এ সব আলামত? খোদায়ী গযব আসতে থাকলে তা ঠেকানো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তাই গযব নাযিল হওয়ার কারণগুলো দূর করতে হবে। খালেস তওবা করে আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলতে হবে। কিন্তু আমরা তো চলছি বিপরীত দিকে। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ইতোপূর্বে কিছুটা হ্রাস পেলেও তা আবার আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলছে। ভাইরাসের রূপ পরিবর্তিত হচ্ছে। এটা শেষ হতে না হতে আবার কোনটা এসে হাজির হবে তা আমরা জানি না। আল্লাহকে ভয় করতে হবে। তাঁর কাছে পরিত্রাণ চাইতে হবে। আল্লাহ চাইলে এরূপ ভাইরাস কেন, আমাদের যা কল্পনায়ও আসে না তেমন শত শত প্রকারের গযব তো নাযিল করতে পারেন। যেই আল্লাহ নমরুদ, ফিরাউন, সাদ্দাদ, হামান, আবু লাহাব, আবু জাহেলদের ধ্বংস করেছেন, তাঁর বিদ্রোহী কওমসমূহ হালাক করেছেন, সেই আল্লাহ চির অব্যয়, চির অক্ষয়, চিরন্তন, চিরঞ্জীব। সেই আল্লাহ পূর্ণ শক্তি নিয়ে, পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে বিদ্যমান আছেন, বিদ্যমান থাকবেন। কোনো কিছু করার জন্য তাঁর সামান-আসবাবের চিন্তা করতে হয় না। তিনি ‘কুন-ফাইয়্যাকুনের’ মালিক। হও বললেই সব হয়ে যায়। তাঁর অনন্ত করুণায় সব যথানিয়মে চলছে। আবার যখন চাইবেন না, তখন কোনো কিছুরই অস্তিত্ব থাকবে না।

‘ভূ পৃষ্টে যা কিছু আছে সবই নশ্বর, অবিনশ্বর কেবল তোমার প্রতিপালকের সত্তা, যিনি মহিমাময়, মহানুভব।’ (সূরা রহমান: আয়াত: ২৬, ২৭)। ‘মহাপ্রলয়, মহাপ্রলয় কী? মহাপ্রলয় সম্বন্ধে তুমি কী জান? সে দিন মানুষ হবে বিক্ষিপ্ত পতঙ্গের মতো এবং পর্বতসমূহ ধূনিত রঙিন পশমের মতো।’ (সূরা ক্বারিয়া: আয়াত: ১-৫)। ‘বল, তিনিই আল্লাহ, এক অদ্বিতীয়, আল্লাহ কারও মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী।’ (সূরা ইখলাস: আয়াত: ১, ২)। তাঁর নির্দেশ হচ্ছে, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে যথার্থভাবে ভয় কর আর তোমরা অবশ্যই মুসলমান না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।’ (সূরা আল ইমরান: আয়াত: ১০২)।

যথার্থ ভয় করার ব্যাখ্যা হাদীসে আছে। আল্লাহর অনুগত হবে, অবাধ্য হবে না। আল্লাহকে স্মরণ করবে, ভুলবে না, আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ হবে, কৃতঘ্ন হবে না। আল্লাহর ভয় না করা তাঁর আজাব গযব থেকে বেপরোয়া হয়ে শয়তানের ফেরেবে প্রবৃত্তির গোলামী করে চলা কুফুরী বৈ কিছুই নয়। সূরা বুরুজে আল্লাহর ফরমান: ‘নিসঃন্দেহে তোমার পালনকর্তার পাকড়াও অত্যন্ত কঠিন।’ (আয়াত: ১২)।

যার ঈমান যত মজবুত আল্লাহর ভয় তার তত অধিক। আল্লাহর হাবীব ঝড়ো মেঘ দেখলে পেরেশান হয়ে পড়তেন। এসে পড়ল নাকি আল্লাহর গযব! বুখারী ও মুসলিম শরীফে আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রা. থেকে বর্ণিত, তাবুক অভিযানকালে প্রিয় নবী সা. যখন (আল্লাহর গযবে ধ্বংস হয়ে যাওয়া) সামুদ গোত্রের আবাসস্থল অতিক্রম করছিলেন, তখন তাঁর বাহিনীকে বললেন, ঐ জালিমদের অবস্থান স্থলে প্রবেশ করো না। ওদের যে বিপদ এসেছিল সে বিপদ যেন তোমাদের ওপর না আসে। তবে হ্যাঁ, কাঁদতে কাঁদতে প্রবেশ করতে পারো। এরপর তিনি নিজের মাথা আবৃত করলেন এবং দ্রুত সে স্থান অতিক্রম করে গেলেন।

সাহাবায়ে কেরাম সামুদ জাতির কূপ থেকে পানি উত্তোলন করেছিলেন। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বললেন, তোমরা এ জায়গার পানি পান করো না, এ পানি ওযুর জন্যও ব্যবহার করো না, এখানের পানি দিয়ে যে আটা মেখেছ সে সব পশুদের খেতে দাও, নিজেরা খেয়ো না।

নবীজী এবং সাহাবায়ে কেরামদের অবস্থা ছিল যেখানে এই। সেখানে আমাদের খোদায়ী গযবের বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই। আমাদের তওবা নেই, অনুতাপ নেই, অনুশোচনা নেই। এক দিকে মহাগযবের মধ্যে অবস্থান করছি, অপরদিকে কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া চরিত্রে কী কিছু পরিবর্তন এসেছে? একদিকে হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে, সনাক্ত হচ্ছে লাখে লাখে, অপরদিকে মদখুরি, মাতলামী, পরস্বহরণ, আত্মসাৎ, লুণ্ঠন, অন্যায়-অত্যাচার, অশ্লীলতা, যেনা ব্যাভিচার-সম্মানহানি চলছে বেপরোয়া গতিতে। দুর্নীতি, দুষ্কৃতি চলছে লাগাম ছাড়া। আল্লাহ তো বলে দিয়েছেন: ‘তোমাদের প্রভু কারো মুখাপেক্ষী নন; মহামহীম তিনি। যদি তিনি ইচ্ছা করেন তোমাদের সাথে সম্পর্কছেদ করে পরবর্তী আরেক দলকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করে নেবেন। যেভাবে তিনি আরেক জাতির সাথে সম্পর্কচ্ছেদ করে তোমাদের বেছে নিয়েছেন।’ (সূরা আনআম: আয়াত: ১৩৪)।

আর আমরা যদি আল্লাহর ভয়ে ভীত হই, তওবা করি, আল্লাহর নির্দেশিত পথে চলি, তবে আমাদের জন্য রয়েছে সুসংবাদ। আল্লাহ বলেন: ‘যে জন আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য নিষ্কৃতির পথ বের করে দেবেন এবং তাকে ধারণাতীত উৎস থেকে রিযিক দান করবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তওবা করে তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট’। (সূরা তালাক: আয়াত: ২, ৩)।

এখানে ২টি বিষয় ঘোষণা করা হয়েছে ১, নিষ্কৃতি ২, রিযিক। নিষ্কৃতি দেবেন দুনিয়ার যাবতীয় সংকট ও বিপদ থেকে, তার প্রতিটি সমস্যার সহজসাধ্য সমাধান করে দিয়ে। আর তার সকল অভাব-অনটনের দায়িত্ব আল্লাহ নিজে গ্রহণ করে এমন পন্থায় তার যাবতীয় প্রয়োজনাদির ব্যবস্থা করে দেবেন, যা সে ধারণাও করতে পারেনি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (18)
milon ১ এপ্রিল, ২০২১, ৭:০০ পিএম says : 2
যিন্দানবী আল্লাহর প্রিয় হাবীব এ যমীনে থাকায় যদিও পূর্ববর্তী নাফরমান উম্মতদের উপর গযব নাযিল হওয়ার মতো ব্যাপকভাবে ভয়াবহ গযব নেমে আসছে না, তবে তিনি হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে গেছেন। বলে গেছেন: ‘যখন গনীমতের মালকে (রাষ্ট্রীয় সম্পদকে) ব্যক্তিগত সম্পদে পরিণত করা হবে, আমানতের মালকে গনীমতের মাল মনে করা হবে, যাকাতকে জরিমানার মতো মনে করা হবে, দুনিয়াবী স্বার্থ হাসিলের জন্য দ্বীনী শিক্ষালাভ করা হবে, পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে আর জন্মদাত্রী মাতার নাফরমানী করবে, বন্ধুদেরকে সমাদর করবে, কাছে স্থান দেবে আর পিতাকে অবহেলা করবে, অবজ্ঞায় সরিয়ে দেবে দূরে, মসজিদে হৈহুল্লোর করা হবে; নিকৃষ্টতম ব্যক্তিরা অধিষ্ঠিত হবে শাসন ক্ষমতায়; একে অপরকে সম্মান করবে অনিষ্টের আশঙ্কায়; গায়িকা ও বাদ্যযন্ত্রাদির ঘটবে ব্যাপক প্রসার; চলতে থাকবে মদ্যপান ও মাদক সেবন; উম্মতের পূর্ববর্তীদের পরবর্তীরা দোষারোপ-অভিসম্পাত করতে থাকবে; সে সময় তোমরা অপেক্ষা করো রক্তিম বর্ণের ঝড়ের, ভূমিকম্পের, ভূমিধসের, রূপ-আকৃতি বিকৃতির, তখন মালার সূতা ছিড়ে গেলে যেমন দানা একটির পর একটি ঝরে পরতে থাকে, অপেক্ষায় থাক, তেমনি একের পর এক বিপদ আসার।’ (তিরমিযি)।
Total Reply(0)
Hasanuzzaman Hasan ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৩ পিএম says : 1
মহান আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন
Total Reply(0)
Shoriful Islam ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৩ পিএম says : 1
আল্লাহ তুমি আমাদের সবাইকে মাফ করে দাও সবাইকে হেদায়েত দাও আমিন
Total Reply(0)
বদরুল সজিব ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৪ পিএম says : 1
আল্লাহ তুমি আমাদের রক্ষা করো
Total Reply(0)
মিরাজ আলী ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৫ পিএম says : 1
‘যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে বা গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অনুপযুক্ত লোককে বসানো হবে, তখন তোমরা অপেক্ষা করো কেয়ামত অতি সন্নিকটে।’ এ কথাটির দু’টি অর্থ হতে পারে। আপনার একটি প্রতিষ্ঠান আছে, আপনার দেশ আছে, আপনি মসজিদের সাথে যুক্ত আছেন অথবা আপনি কোনো স্কুলের সাথে যুক্ত আছেনÑ তখন দেখবেন ওই সব স্থানে বসে আছে অনুপযুক্ত লোক। বড় বড় প্রতিষ্ঠানে বড় চেয়ারটি দখল করে আছে তারা, যারা ওই পদের যোগ্য নয়। এভাবে ওই অযোগ্য লোকের মাধ্যমে পুরো প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হবে। এটাই কেয়ামতের আলামত।
Total Reply(0)
তোফাজ্জল হোসেন ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৬ পিএম says : 1
কেয়ামতের আরো আলামত আমরা দেখতে পাচ্ছি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে লক্ষ করলে দেখবেন, যিনি দেশ চালাচ্ছেন, তিনি দেশ চালাতে কতটা যোগ্য। আপনি তাকে একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলেন, যার উত্তর তিনি জানেন না। আজকের দিনে দেখেন, গণতন্ত্রের নাম করে মূর্খ লোকদের ক্ষমতায় বসানো হচ্ছে। কেননা তিনি জনপ্রিয়। অথচ তিনি জানেন না ইরাক কোথায়। অথচ তিনি পৃথিবীর শক্তিশালী রাষ্ট্রের প্রধান। এটাই ঘটছে। আর দেখেন ওই অযোগ্য লোকদের মাধ্যমে কত ধ্বংসযজ্ঞ চলছে।
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৭ পিএম says : 1
বর্তমানে আমরা দেখছি, একজন সক্রিয় আলেমের মৃত্যু হয়ে শূন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। সেই শূন্যতা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তিনি দ্বীনি কাজ যে কঠিনভাবে করতেন, তার মৃত্যুর পর সবাই মিলেও ওই আলেমের শূন্যতা পূরণ করতে পারছেন না। দ্বীনের খেদমতকারী একজন ভালো আলেম যখন মারা যান, সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে দরকার পড়ে দশজন আলেমের এবং তারা সবাই মিলেও ওই বিজ্ঞ আলেমের সমতুল্য হতে পারেন না।
Total Reply(0)
সাইফুল ইসলাম ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৮ পিএম says : 1
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লেখা। আজ ঈমান ধরে রাখা বড় কঠিন। আপনি দাঁড়ি রাখছেন, আপনার স্ত্রী আপনাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। হিজাব পরছেন, নিজের লোকেরাই আপনাকে বাঁকা চোখে দেখবে। আজ যদি আপনি কোনো পার্টিতে যেতে না চান তা হলে আপনার আত্মীয়রাই বলবেন, মানুষটা বড় সেকেলে, বড় কট্টরপন্থী হয়ে যাচ্ছে। এটাই হলো কেয়ামতের আলামত।
Total Reply(0)
নাজনীন জাহান ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৮ পিএম says : 1
কেয়ামতের যেসব আলামত আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি, সেসব আলামত চিনুন এবং বুঝে চলার চেষ্টা করুন যেন আলামতগুলো আমাদের সমাজে ফুটে না উঠে। আল্লাহর সন্তুষ্টিকেই প্রাধান্য দেয়ার চেষ্টা করুন।
Total Reply(0)
সৈকত ফকির ১ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৯ পিএম says : 1
আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে কিয়ামতের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের তাওফীক দান করুন।
Total Reply(0)
Kader sheikh ২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩৪ এএম says : 0
Coronar voyaboho thabar por o amader shikkha holo na.
Total Reply(0)
Faruk ২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩৫ এএম says : 0
May Allah save us from any Type of Gojob.
Total Reply(0)
Haidar Ali ২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩৭ এএম says : 0
Jajhakallah khairan. Article ta pore onek valo laglo. Allah amader soth pothe cholar towfik din
Total Reply(0)
Haidar Ali ২ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩৭ এএম says : 0
Jajhakallah khairan. Article ta pore onek valo laglo. Allah amader soth pothe cholar towfik din
Total Reply(0)
মানিক মুনতাছির ২ এপ্রিল, ২০২১, ৪:২৬ পিএম says : 0
করোনা ভাইরাস মহামারিতে বিপর্যস্ত হওয়ার পরও যদি আমরা মহান রবের দিকে ফিরে না আসতে পারি তাহলে আমাদের জন্য মহা গজব অপেক্ষা করছে। ধন্যবাদ ইনকিলাবকে এই ধরনের লেখা উপহার দেয়ার জন্য।
Total Reply(0)
হাদী উজ্জামান ২ এপ্রিল, ২০২১, ৪:২৭ পিএম says : 0
আজকে বিশ্বের সর্বত্র ঐশি আজাব নেমে এসেছে মানুষের কৃতকর্মের জন্য। তবুও কি মানুষ ভেবে দেখছে!!!
Total Reply(0)
মেহের জান্নাত ২ এপ্রিল, ২০২১, ৪:২৮ পিএম says : 0
হে আল্লাহ তুমিই আমাদের হেফাজতকারী। আমরা গুনাহগার বান্দা।
Total Reply(0)
Ahmed hossain khan ২ এপ্রিল, ২০২১, ৮:১৬ পিএম says : 0
Aros a tumi moha ason a number one ason a. Jai asoner dabidar onno keho nai kunu vubon a. Sosuhag a tumai sori mui moril a mur a jalaiona agon a.bohuu jonoom jae a O jogot poti tumar moto mui kawke paini aapoon a . Kudro kotin kulahol a kahiil ami mon dite parini tumar gan a.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন