বান্দরবান থেকে স্টাফ রিপোর্টার : বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে দুই যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে থুইচিমং মার্মা নামের স্থানীয় এক যুবক। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার আলিখ্যং ইউনিয়নের আঙ্গ্যাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। থুইচিমং মার্মা আঙ্গ্যাপাড়া কারবারীর ছেলে। নিহতরা হলেন লামা উপজেলার রুপসী পাড়ার বামং মার্মার ছেলে উক্যহ্লা মারমা (৩২) ও তার বন্ধু হ্লামং (২৫)। স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় উপস্থিতি নিয়ে বিরোধের জের ধরে মঙ্গলবার বিকালে থুইচিমং মার্মার সাথে উক্যহ্লা মারমার কথা কাটাকাটি হয়। পরে রাতে উক্যহ্লা মারমা মদ্যপ অবস্থায় তার বন্ধুকে সাথে নিয়ে থুইচিমং এর বাড়িতে হামলা চালালে একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে থুইচিমং মার্মা উক্যহ্লাকে আঘাত করে।
এতে ঘটনাস্থলেই উক্যহ্লা মারা যায়। পরে বন্ধু পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকেও হত্যা করা হয়। উক্যহ্লা মার্মা লামা থেকে এসে পরিবার নিয়ে আঙ্গ্যাপাড়ায় বসবাস করছিল। এব্যপারে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অমর আলী জানান, হত্যাকারীকে প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা গেলেও পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যায়নি। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তিনি আরো বলেন, কয়েকদিন আগে লিরাগাঁও ক্যাম্পে সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক একটি সভা হয়। সেখানে থোয়াইচিং মং তার বক্তব্যে নিহত দুজনসহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ তোলেন। এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নিহতরা থোয়াইচিং মং মারমার বাড়িতে গেলে দরজার বাডাম দিয়ে তাদের দু’জনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যাকা-ের পর থেকে থোয়াইচিং মং মারমা পলাতক। পুলিশ বুধবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, সহকারী পুলিশ সুপার রাশেদ, রোয়াংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এসময় জেলা প্রশাসক নিহতের ২ পরিবারকে ২৫ হাজার করে মোট ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। এ ব্যাপারে উক্যহ্লার স্ত্রী মেনুচিং বাদী হয়ে রোয়াংছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন