স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট হাসপাতালসংলগ্ন কাজল শাহ জামে মসজিদে জুমার নামাজের সময় ইসকন ও হরে কৃষ্ণ আন্দোলনের লোকজন কর্তৃক নামাজে গান, বাদ্য বাজিয়ে নামাজ বাধাগ্রস্ত করার প্রেক্ষিতে পুলিশ কর্তৃক শতাধিক মুসল্লি গ্রেফতার এবং মন্দির থেকে মুসল্লিদের ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন জাতীয় তাফসীর পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও মহাসচিব মাওলানা মাকসুদুর রহমান, ইসলমিক বুদ্ধিজীবী ফ্রন্টের আহ্বায়ক শাহসুফী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল হান্নান আল হাদী, হকার্স শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মোঃ ইমাম হোসেন ভূইঁয়া ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন। গতকাল এক বিবৃতিতে তারা এর প্রতিবাদ জানান। প্রতিবাদে তারা বলেন, ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশ বাংলাদেশে নামাজের সময় সকল প্রকার গান, বাদ্য ইত্যাদি বন্ধে আইন করতে হবে। দেশের সকল মসজিদের নিকটবর্তী এলাকায় ও মন্দিরে গান-বাজনা বন্ধসহ মসজিদের জায়গা দখলবাজমুক্ত রাখার জোর দাবি জানান। বিবৃতিতে তারা বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর সিলেট হাসপাতাল সংলগ্ন কাজল শাহ জামে মসজিদে পবিত্র জুমার নামাজের পূর্ব থেকে পার্শ¦বর্তী ইসকন এবং হরেকৃষ্ণ আন্দোলন নামীয় হিন্দু ভক্তরা উচ্চ আওয়াজে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নামাজকে বাধাগ্রস্ত করে। একপর্যায়ে মুসল্লিরা উক্ত মন্দিরে এসে ইসকন ও হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের লোকদের নিকটে এসে উচ্চস্বরে বাদ্যযন্ত্র বাজানোর প্রতিবাদ করেন। এ সময় হিন্দু লোকজন গান বাজনা বন্ধ করবে বলে মুসল্লিদের জানান। তখন মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ শুরু করলে ঐ মন্দির থেকে আরো উচ্চস্বরে গান বাদ্য বাজানো শুরু হয়। এরফলে ইমামের তাকবীর শোনা বাধাগ্রস্ত হলে নামাজে রুকু সিজদায় চরম বিঘœ ঘটে। নামাজশেষে মুসল্লিরা উক্ত মন্দির এসে প্রতিবাদ জানায়। এ পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। একপর্যায়ে ইসকন মন্দিরের পক্ষ থেকে মুসল্লিদের উপর গুলি ছুড়লে ৮/১০ মুসল্লি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে শতাধিক মুসল্লিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল জুমার নামাজের পর মুসল্লিদেরকে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করতে দেয়নি পুলিশ। এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। ঘটনা চলাকালে মন্দিরের পক্ষে ভেনুুচন্দ্র দাস নামে একজন পুলিশ অফিসার মন্দিরের পক্ষে নেতৃত্ব দেয়। উল্লেখ্য কাজল শাহ মসজিদের জমিসহ পাশের ১০ বিঘা জমি দখলের পাঁয়তারা করছিলো ইসকনের লোকজন। এ ঘটনা মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত। এধরনের কর্মকান্ড এদেশে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার পদধ্বনি। তারা বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ অনেকাংশেই বেড়ে গেছে। ফলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কর্তৃক আল্লাহ, রাসূল (সা.) নিয়ে বারবার জঘন্য কটূক্তির ঘটনাও ঘটানো হচ্ছে। এরূপ ঘটনা ৯৫ ভাগ মুসলমানের দেশে চলতে পারে না। এর আশু সমাধান করতে সরকারকে জরুরী ভূমিকা নিতে হবে। অন্যথায় দেশের কোটি কোটি মুসল্লি সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, নামাজের সময় অফিস-আদালতে বিরতি ঘোষণা করা এবং নির্বিঘেœ মসজিদে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা দেশের যেসব এলাকায় মসজিদের পাশাপাশি মন্দির-গির্জা রয়েছে এসব মসজিদে ইবাদাতকালীন সময়ে উচ্চ আওয়াজে গান-বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ করতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন