সদ্য প্রয়াত প্রিন্স ফিলিপের শেষ যাত্রায় তাঁকে সঙ্গ দেবেন তার চার সন্তান। আজ (শনিবার) ডিউক অব এডিনবার্গের কফিনের চার পাশে হাঁটবেন প্রিন্স চার্লস, অ্যান্ড্রু, এডওয়ার্ড ও প্রিন্সেস অ্যানি। তাদের সঙ্গে দেখা যাবে প্রিন্স ফিলিপের দুই নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারিকে, তারা প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানা দম্পতির ছেলে।
আজ একটি ল্যান্ড রোভারে করে প্রিন্স ফিলিপের কফিন উইন্ডসরে জর্জ চ্যাপেলে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানেই অনুষ্ঠিত হবে রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। কফিন নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িটির পাশে হাঁটবেন প্রিন্স ফিলিপের চার সন্তান ও দুই নাতি। প্রায় ১৫ বছর আগে ল্যান্ড রোভার গাড়ির নকশাটি তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন ডিউক অব এডিনবার্গ।
তিনজন জার্মান আত্মীয়সহ মাত্র ৩০ জন ব্যক্তির উপস্থিতিতে প্রিন্স ফিলিপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হবে। অতিথিরা মেডেলসহ মর্নিং কোট বা দিনের পোশাক পরতে পারবেন, তবে সামরিক পোশাক নয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে সবার মুখে মাস্ক থাকবে ও সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলবেন। সে সময় ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ একা চেয়ারে বসে থাকবেন।
বাকিংহাম প্যালেস থেকে জানানো হয়, শনিবার স্থানীয় সময় বেলা তিনটায় উইন্ডসর ক্যাসেলের চ্যাপেলে অনুষ্ঠিত হবে প্রিন্স ফিলিপের রাজকীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। প্যালেসের এক মুখপাত্র বলেন, করোনা সংক্রমণের বিধিনিষেধ অনুসরণ করে পুরো আয়োজন সাজানো হয়েছে, তবে ডিউক অব এডিনবার্গের ইচ্ছা অনুসারে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াটিতে প্রিন্স ফিলিপের জীবন ও সামরিক কর্মজীবন গুরুত্ব পাবে।
অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে থাকবেন ডাচেস অব কর্নওয়েল, ডাচেস অব কেমব্রিজ এবং প্রিন্স ফিলিপের সব নাতি-নাতনি ও তাদের দাম্পত্য সঙ্গীরা। এ ছাড়া রানির বোন প্রিন্স মার্গারেট ও প্রিন্স ফিলিপের ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের একজন দ্য কাউন্টেস মাউন্টব্যাটেন অব বার্মা লেডি ব্রাবোউর্নও উপস্থিত থাকবেন সেখানে।
ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্বামী ডিউক অব এডিনবরা প্রিন্স ফিলিপ গত শুক্রবার উইন্ডসর ক্যাসেলে মৃত্যুবরণ করেন। তার বয়স হয়েছিল ৯৯ বছর। ব্রিটিশ ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি দিন ধরে রয়্যাল কনসোর্ট ছিলেন তিনি। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে প্রিন্স ফিলিপের বিয়ে হয় ১৯৪৭ সালে। এর পাঁচ বছর পর ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণ করেন দ্বিতীয় এলিজাবেথ। গত নভেম্বরে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ও প্রিন্স ফিলিপ তাঁদের ৭৩তম বিবাহবার্ষিকী পালন করেন।
প্রিন্স ফিলিপ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা ছিলেন এবং নৌবাহিনীর আনুষ্ঠানিক প্রধানের পদ লর্ড হাই অ্যাডমিরাল হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ৯৬ বছর বয়সে সরকারি দায়িত্ব থেকে অবসরে যান ফিলিপ। সূত্র : বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন