বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের কাছে বাংলাদেশের প্রমাণ করার কিছুই নেই

ড. মইনুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২১, ৫:২৭ পিএম | আপডেট : ৭:৪২ পিএম, ২১ এপ্রিল, ২০২১

ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কোলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকার সাথে এক সাক্ষাৎকারে আবারো বাংলাদেশকে অহেতুক অপমান করে মন্তব্য করেছেন, ‘বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকার মানুষ খেতে না পেয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। তারা শুধু পশ্চিমবঙ্গে থাকছে না, জম্মু-কাশ্মীর পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে।’ পশ্চিমবঙ্গের চলমান বিধান সভা নির্বাচনে মমতা ব্যানার্জীর তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য বিজেপি তাদের কথিত বাংলাদেশী অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদেরকে প্রধান নির্বাচনী প্রোপাগান্ডা-ইস্যু বানিয়েছে, তারই ‘স্টান্টবাজি’ হিসেবে অমিত শাহ’র এহেন আক্রমণাত্মক গলাবাজি!
এর প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বাংলাদেশ সম্পর্কে ‘অমিত শাহ’র জ্ঞান সীমিত’ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘ভারতের পঞ্চাশ শতাংশ মানুষ এখনো ভালো টয়লেট ব্যবহার করতে পারে না, অথচ বাংলাদেশের নব্বই শতাংশ মানুষ তা করছে। বাংলাদেশের মানুষ এখন আর অনাহারে থাকে না। এখানে এখন মঙ্গাও নেই।’ প্রতিক্রিয়া হিসেবে টয়লেট ব্যবহারকে ইস্যু বানানো হয়তো সুবিবেচনাপ্রসূত বলা যাবে না, তবুও বলবো অভ্যন্তরীণ রাজনীতির নির্বাচনী স্টান্টবাজি হিসেবে বারংবার বাংলাদেশকে অমিত শাহ বা নরেন্দ্র মোদীর অহেতুক টার্গেট করে অপমান যে বাংলাদেশ-ভারতের সুপ্রতিবেশীসুলভ সম্পর্ককে বিনষ্ট করছে সে ম্যাসেজটা দেওয়ার প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু, আমাকে আজ কলম ধরতে হলো ড. মোমেন কর্তৃক অমিত শাহকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো সংক্রান্ত মন্তব্যটিকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য। অমিত শাহদের মত কট্টর হিন্দুত্ববাদী ঘৃণ্য ব্যক্তিদের অ-বিবেকী রাজনৈতিক স্টান্টবাজিকে মোকাবেলা করার জন্য তাদেরকে বাংলাদেশে আসার আমন্ত্রণ জানানো মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তাদের কাছে বাংলাদেশের প্রমাণ করার কিছুই নেই। বরং, আমাদের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানিয়ে যে অচিন্তনীয় ধ্বংসযজ্ঞ ও প্রাণসংহারী মারণযজ্ঞ ডেকে আনা হয়েছিল, অমিত শাহ বাংলাদেশে আসলে তার চাইতেও ভয়ংকর পরিস্থিতির উদ্ভব হবে। অমিত শাহ’র জন্য আরো কত প্রাণ ঝরে যেতে পারে ড. মোমেন কি সেটা ভেবে দেখেছেন?
রাজনীতিবিদ হিসেবে নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ কট্টর হিন্দুত্ববাদী ও চরম দক্ষিণপন্থী অবস্থানের কারণে আমাদের কাছেও ঘৃণিত ব্যক্তি। কিন্তু বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানমালার সমাপ্তিদিবসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মানিত অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো রাষ্ট্রনৈতিক প্রটোকলের দিক থেকে যৌক্তিক। কারণ, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ঐতিহাসিক অবদান আমাদেরকে ভারতের জনগণের কাছে চিরঋণী করে রেখেছে। এই ঋণ অস্বীকার করতে পারে কেবল জামায়াত-শিবির-হেফাজত-বিএনপি’র লেবাসধারী স্বাধীনতা-বিরোধীরাই, সেজন্যই তারা ধ্বংসযজ্ঞের তা-ব চালানোর জন্য বেছে নিয়েছিল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিন ২৬ মার্চকে। নরেন্দ্র মোদীর সফরকে প্রত্যাখ্যান করার ব্যাপারটি ছিল শুধুই খোঁড়া অজুহাত। নয়তো হাটহাজারী কিংবা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেপরোয়া ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হলো কেন? আলাউদ্দিন সংগীত একাডেমী পুড়িয়ে দেওয়া হলো কেন? সরকারি ভূমি অফিস ভস্মীভূত হলো কেন? আমাদের শাসকজোটের শীর্ষ নেতৃত্বকে পুরো বিষয়টা গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে।
বাংলাদেশের জনগণের একটি বিশাল অংশ প্রচ- সাম্প্রদায়িকতার অন্ধকারে নিমজ্জিত বিধায় তারা কট্টর ভারত-বিরোধী। জনগণের এই অংশটি এখনো পাকিস্তান-প্রেমে বুঁদ হয়ে রয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের মত পাকিপ্রেমী রাজনৈতিক দলগুলো প্রকাশ্যে এই প্রেমকে চাগিয়ে তোলায় তৎপর রয়েছে। নরেন্দ্র মোদী ভারতে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে তার মুসলিম-নিধনকারী রাজনীতি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ভারত-বিরোধিতাকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আমার আশঙ্কা, এখন বাংলাদেশের সিংহভাগ মানুষ ভারত-বিদ্বেষী সাম্প্রদায়িকতায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের শাসকমহল ভারতকে অহেতুক তোয়াজ করার আগে বিষয়টা ভালভাবে ভেবেচিন্তে অগ্রসর হওয়াই সমীচীন মনে করছি।
জনগণের মধ্যে একটা ধারণা গেড়ে বসেছে যে বাংলাদেশ ভারতকে অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও ভারত বাংলাদেশের ন্যায্য পাওনা প্রদানে মোটেও আগ্রহী নয়। তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি শুধু মমতা ব্যানার্জীর কারণে আটকে আছে বলে প্রচার-প্রচারণা সত্ত্বেও দেশের জনগণ এ-ব্যাপারে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ভূমিকাকেও গ্রহণযোগ্য মনে করছে না। বিশেষত, প্রস্তাবিত তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ভারতের চাপের কারণে ঝুলে রয়েছে বলে ধারণাটি জনমনে ক্রমশ গেড়ে বসছে।
আমি দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করি, ভারত তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর করবে কি করবে না- এটাকে গুরুত্ব না দিয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়ন অবিলম্বে শুরু করা প্রয়োজন। তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি আর বাংলাদেশের কৃষকদের জীবন-মরণ সমস্যা থাকবে না।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ-এর অব্যাহত হত্যাকা-কে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর যতই অপরাধ-মূলক কর্মকা-ের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন না কেন ঐ ব্যাখ্যা বাংলাদেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কারণ, অপরাধ সংঘটিত হলেই বিনা-বিচারে গুলি করে হত্যা কখনোই সভ্য দেশের একটি সরকারী বাহিনীর আইনসম্মত আচরণ হতে পারে না। বাংলাদেশ ও ভারত নাকি বন্ধুরাষ্ট্র! এই দুটো বন্ধুরাষ্ট্রের সীমান্তে গুলি চালিয়ে নরহত্যা বন্ধ করতে নারাজ ভারত, এটা কিভাবে মেনে নেয়া যায়? জয়শংকর নিজে একজন সাবেক কূটনীতিক হয়েও কেন এই বিচার-বহির্ভূত হত্যাকা-কে হালাল করার অপপ্রয়াস চালাচ্ছেন?
২০১৫ সালে অমিত শাহের পূর্বসূরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ পরিদর্শনে এসে অহেতুক মন্তব্য করেছিলেন,‘এই বেড়া দিয়ে বাংলাদেশীদেরকে গরুর গোশত খাওয়া ভুলিয়ে দেবো’। তার মানে, ভারত থেকে চোরাচালানে গরু পাচার হতে না দিলে বাংলাদেশে গরুর গোশতের দাম এত বেড়ে যাবে যে বেশিরভাগ বাংলাদেশীর ঐ গোশত কিনে খাওয়ার সামর্থ্য থাকবে না। একথা বলে রাজনাথ সিং বাংলাদেশের একটা উপকারই করেছেন, কারণ তার এই বাক্যবাণ বর্ষণের চার বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ ২০১৯ সালে গরু উৎপাদনে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। অবশ্য, সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েও ভারত গরু চোরাচালান পুরোপুরি বন্ধ করতে পারেনি।
এখন নদীর উজান থেকে চোরাচালানের গরু স্রোতে ভাসিয়ে দিয়ে বাংলাদেশের চোরাচালানিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কয়েকদিন আগে এরকম ভেসে আসা গরুর বেশ কয়েকটি বিএসএফ-এর গুলিতে মরে যাওয়ায় নদীর পানিতে মরদেহ ভাসার ছবি দেখে ব্যথিত হলাম। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে নিহত বাংলাদেশীদের প্রায় সবাই গরু-চোরাচালানি, যাদের সাথে লেনদেনের ব্যাপারে সমঝোতা না হওয়ায় বিএসএফ তাদেরকে গুলি করে মেরে ফেলছে। আনন্দবাজার পত্রিকাকে দেওয়া অমিত শাহ’র সাক্ষাৎকারেও এ-চোরাচালান সমস্যাটি এখনো রয়েছে বলে স্বীকার করা হয়েছে। অথচ, তিনি দম্ভোক্তি করছেন বিজেপি পশ্চিমবঙ্গের বিধান সভা নির্বাচনে জিতলে সীমান্ত দিয়ে মশা-মাছিও আসতে দেবেন না। মূর্খতার আস্ফালন আর কাকে বলে!
একটা বাস্তবতা এখনো ভারত সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের মনোজগতে হয়তো দৃঢ়মূল হয়নি যে আজকের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কোন ক্ষেত্রেই ভারতের করুণার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদের অর্থনীতি এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জন করেছে। আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টসের কারেন্ট একাউন্টে এখন আর উল্লেখযোগ্য ঘাটতি হচ্ছে না। যেটুকু বাণিজ্য ভারসাম্যের ঘাটতি রয়েছে সেটুকু আমরা প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রেরিত রেমিট্যান্স এবং ‘সাপ্লায়ারস’ ক্রেডিট’ থেকে অনায়াসে মেটাতে পারছি। ভারত বাংলাদেশকে যে বৈদেশিক ঋণ দেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ওগুলো সবই এমন সব প্রকল্পের জন্যে বরাদ্দ করা হয়েছে, যে প্রকল্পগুলো প্রকৃত প্রস্তাবে বাংলাদেশের চাইতেও ভারতের প্রয়োজনই বেশি মেটাবে।
‘ক্রস-বর্ডার কানেক্টিভিটি’ বৃদ্ধির আবশ্যকতা বাংলাদেশের জন্যে যতখানি প্রয়োজন তার চাইতে অনেক বেশি প্রয়োজন ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্সের’ জন্যে। ভারত কর্তৃক বাংলাদেশের বন্দর ব্যবহারের উপকার যতখানি বাংলাদেশ পাবে তার চাইতে বহুগুণ বেশি পাবে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’। ভারত বাংলাদেশের আমদানি পণ্যের দ্বিতীয়-বৃহত্তম সূত্র হলেও ঐ সূত্র বিঘিœত বা বন্ধ হলে বিকল্প-সূত্র পেতে বাংলাদেশের খুব বেশি অসুবিধে হবে না। একটা কথা ভারতকে মনে করিয়ে দেওয়া দরকার যে পারস্পরিক বাণিজ্য-সম্পর্ক দুই দেশের জন্যে ‘উইন উইন প্রোপোজিশন’ না হলে বাণিজ্য বৃদ্ধি পায় না। যেহেতু বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য প্রবাহ ভারতকেই অনেক বেশি সুবিধে এনে দিচ্ছে এটাকে বাংলাদেশের প্রতি ভারতের দয়া-দাক্ষিণ্য মনে করা চরম মূর্খতা।
ভারতের সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব নিশ্চয়ই চাই আমরা। কিন্তু বন্ধুত্ব হয় দুই সম-মর্যাদাসম্পন্ন প্রতিবেশির মধ্যে, পরস্পরের প্রতি সম্মান ও ভালবাসার ভিত্তিতে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশ মুসলিমদের প্রতি ঘৃণা, তাচ্ছিল্য ও বিদ্বেষ যদি বিজেপি’র নেতাদের মনের মধ্যে গেঁথে থাকে তাহলে বাংলাদেশের জনগণের সাথে ভারতের জনগণের বন্ধুত্ব বিজেপি’র আমলে কখনোই দৃঢ়মূল হবে না।
এজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনুরোধ, ভারতের বিজেপিকে তোয়াজ করার কোন প্রয়োজন নেই আপনার। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশে এসে যতই আমাদেরকে প্রশংসা করুন না কেন তিনিও আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী প্রচারে বারবার অহেতুক বাংলাদেশের জনগণের জন্য চরম অপমানজনক বক্তব্য রেখে চলেছেন, ইন্টারনেটে ওগুলো আমরা নিজেরাই দেখছি-শুনছি। আর, তার ডানহাত হিসেবে বিবেচিত অমিত শাহ যে বাংলাদেশের জনগণকে প্রায় প্রতিদিন নির্বাচনী প্রোপাগান্ডার টার্গেট করে কুরুচিপূর্ণ ও মূর্খতাপ্রসূত বক্তব্য দিয়ে চলেছেন তার পেছনে নরেন্দ্র মোদীর সম্মতি নেই- এটা পাগলেও বিশ^াস করবে না। নরেন্দ্র মোদীর সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ সাগরেদ এই অমিত শাহকে মোদীর ‘পয়েন্টসম্যান’ মনে করা হয়, মানে প্রধানমন্ত্রীর পদে আসীন থাকায় যেসব বক্তব্য বা মন্তব্য মোদীর জন্যে স্পর্শকাতর হতে পারে সেগুলো অমিত শাহের মুখ দিয়ে বলিয়ে নেয়া হয় বলে ভারতের ওয়াকিবহাল মহলের দৃঢ় বিশ^াস।
আপনি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে যেভাবে গতিশীল করে তুলেছেন তার ফলে আমরা পাকিস্তানকে প্রতিটি ক্ষেত্রে পেছনে ফেলে এসেছি। এখন সময় এসেছে ভারতকে টপকে যাওয়ার। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কোনভাবেই ভারতের উপর নির্ভরশীল নয়। অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক কিংবা সামাজিক কোন দৃষ্টিকোণ থেকেই বাংলাদেশ ভারতের কাছে অসহায় অবস্থানে নেই যে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী শাসক দলের নেতা-পাতিনেতাদের বেলাগাম আক্রমণ, অপমানজনক বাক্যবাণ ও তাচ্ছিল্য এবং বিজেপি’র নানাবিধ মুসলিম-বিদ্বেষী কর্মকা-কে বিনা প্রতিবাদে মেনে নিতে হবে!
নরেন্দ্র মোদীর সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফর আপনার সরকারের জন্য একটা বিরাট বিপদ ডেকে এনেছিল, সেখান থেকে শিক্ষা নেয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ভারতের সাথে সৎ প্রতিবেশীসুলভ সুসম্পর্ক অব্যাহত রেখেও সম-মর্যাদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পুনর্মূল্যায়নের সময় এসেছে।
ভারতের শাসকদল বিজেপি ‘আঞ্চলিক দাদাগিরি’ দেখাতে অভ্যস্ত, তারা নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ এবং ভুটানের বন্ধুত্ব-সম্পর্ককে হারিয়েছে এহেন দাদাগিরি দেখানোর কারণেই। বাংলাদেশের উন্নয়নকেও তারা বাধাগ্রস্ত করে চলেছে এই দাদাগিরি প্রতিষ্ঠিত করার খায়েশে। এই আধিপত্যবাদী জবরদস্তিগুলোকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে। আপনার কাছে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

  •  লেখক: ড. মইনুল ইসলাম, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ, বিশিষ্ট কলামিস্ট, সাবেক সভাপতি বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর অর্থনীতি বিভাগ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (33)
Abdul Manan ২০ এপ্রিল, ২০২১, ৭:২৫ পিএম says : 0
প্রথমে লেখার শুরুটা ভাল হয়েছে,পরক্ষনে দেখলাম কোনো বিচার বিশ্লেষন ছাড়াই জামায়াত বিএনপির উপর মিথ্যাচার,তাই বলি এসব না লেখে দিনকে দিন আর রাতকে ভেবে লেখলে লেখার মানের সাথে সাথে লেখকের জনপ্রিয়তাও বাড়ে।
Total Reply(0)
Nurul Alam ২০ এপ্রিল, ২০২১, ৮:১০ পিএম says : 0
মনে হয় লেখক সংবাদিক না বিশেষ রাজনৈতিক দলের কট্রর বিবেক হীন কর্মী।
Total Reply(0)
বিষ্ণু পদ দে ২০ এপ্রিল, ২০২১, ৮:৪৬ পিএম says : 1
লেখাটি অর্থনীতির দৃষ্টিভংগিতে বিচার করলে উপযুক্ত। তবে অনেকে না বুঝে বিরুপ মন্তব্য করছে। এটাই লিখার স্বার্থকতা। আমি বি.বি.এ পড়লেও স্যারের সামষ্টিক অর্থনীতির সরাসরি ছাত্র। অনেক অনেক ভাল থাকবেন স্যার। স্রষ্টার নিকট আপনার সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করি।
Total Reply(0)
টুটুল ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৮ পিএম says : 0
তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি আর বাংলাদেশের কৃষকদের জীবন-মরণ সমস্যা থাকবে না। তাই আমাদেরকে তিস্তা নিয়ে আগ্রাধিকারভিত্তিতে ভাবতে হবে।
Total Reply(0)
গিয়াস উদ্দীন ফোরকান ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৯ পিএম says : 0
ভারতকে আমাদের বন্ধু বা প্রতিবেশি দেশ ভাবতে হবে, মোড়ল বা দাদা ভাবলে হবে না
Total Reply(0)
জুয়েল রানা ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫০ পিএম says : 0
ভারতের আঞ্চলিক দাদাগিরি থেকে নেপাল, শ্রীলংকা, মালদ্বীপ এবং ভুটান বেরিয়ে এসেছে। এখন আমরা কি করবো তা আমাদের ঠিক করতে হবে।
Total Reply(0)
Karim ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫১ পিএম says : 0
অত্যন্ত সুন্দর লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ তার কাছ থেকে এ ধরনের আরো লেখা চাই।
Total Reply(0)
গিয়াস উদ্দিন ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫২ পিএম says : 0
ব্যবসা বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে ভারত নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে হবে।
Total Reply(0)
সাইফ আহমেদ ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৫ পিএম says : 0
সম্প্রতি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর একটি অযাচিত বক্তব্যের বিষয়ে প্রতিবাদের জন্য মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। যদিও আমিও মনে করি তাকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো মোটেও উচিত হয়নি। কারণ উগ্রবাদি বিজেপির একটা নির্দিষ্ট এজেণ্ডা আছে---আমরা যতই তাদের মন পাওয়ার চেষ্টা করি সেটা সম্ভব নয়। ধর্মীয় বিভাজন ও উগ্রবাদই তাদের রাজনীতির হাতিয়ার।
Total Reply(0)
মিনহাজ ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম says : 0
অত্যন্ত যুগোপোযোগি লেখা। লেখককে সুন্দর লেখার জন্য ধন্যবাদ। তার কাছ থেকে এ ধরণের আরো লেখা চাই।
Total Reply(0)
আঃ রাজ্জাক ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম says : 0
আজকের বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক কোন ক্ষেত্রেই ভারতের করুণার ওপর নির্ভরশীল নয়। আমাদেরকে এখন মেরুদন্ড সোজা করে দাঁড়াতে হবে। নিজেদের ন্যায্য হিস্যা বুঝে নিতে হবে।
Total Reply(0)
মুক্তিকামী জনতা ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৯ পিএম says : 0
আমি আপনার সঙ্গে একমত। ৩০ বছর ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এবং তাদের সহযোগী কট্টর হিন্দুত্ববাদী কিছু গোষ্ঠীর একটি প্রিয় বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসা ‘বিপুলসংখ্যক বেআইনি অনুপ্রবেশকারী’, যারা ভারতে এসে দেশটির জনমিতি পাল্টে দিচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন সামাজিক সূচক ঘেটে দেখলে বোঝা যাবে, বাংলাদেশের মানুষের ভারতে যাওয়ার কোনো কারণ নেই। বরং বহু ভারতীয় এদেশে অবৈধভাবে কাজ করছে। আমাদের উচিত তাদের উলটো চাপে রাখা। নতুজানু পররাষ্ট্রণীতির কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না।
Total Reply(0)
নয়ন ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ পিএম says : 0
আমাদের অর্থনীতি এখন নিজের পায়ে দাঁড়ানোর সামর্থ্য অর্জন করেছে। ভারতের তুলনায় আমাদের অবস্থান এখন অনেক ভালো
Total Reply(0)
কামাল মৃধা ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ পিএম says : 0
তিস্তায় পানি না দেয়ার কারণ হিসেবে মমতাকে ব্যবহার করা ভারতের চাণক্যনীতি। তারা চাইলে খুব সহজেই পানি দিতে পারে। কিন্তু দেবে না বলেই মমতাকে অজুহাত হিসিবে খাড়া করেছে।
Total Reply(0)
রফিকুল ইসলাম ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০২ পিএম says : 0
লেকাটি অত্যন্ত সময় উপোযোগী। বিজেপির কট্টর ধারার প্রতিভূ অমিত শাহ। পশ্চিমবঙ্গের কিছু মানুষের মধ্যে সুপ্ত সাম্প্রদায়িক মনোভাব থাকতেই পারে, আর সেটাকে অবিরাম খুঁচিয়ে জাগিয়ে তোলার মধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতার মসনদে যাওয়ার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। দুঃখজনক বাস্তবতা হচ্ছে, বিজেপির এ কৌশল গত ১৫ বছরে ইতিবাচক ফল দিয়েছে। ১৫ বছর আগে পশ্চিমবঙ্গে দলটির অস্তিত্ব ছিল একেবারেই প্রান্তিক। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে ২৯৫ আসনের মধ্যে বিজেপি প্রথমবারের মতো তিনটি আসনে জয়ী হয়। সেই বিজেপি ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ৪২টি আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয়লাভ করে। রাজ্যের ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন তো তারা দেখতেই পারে। তা তারা দেখুক, সেটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু সে অভ্যন্তরীণ লক্ষ্য সাধনে বাংলাদেশ এবং তার মানুষের প্রতি অপমানজনক বাক্যবাণ সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। বাংলাদেশকে এবিষয়ে কৌশলী ও বুদ্ধিদিপ্ত আচরণ করতে হবে।
Total Reply(0)
জসিম উদ্দীন ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৩ পিএম says : 0
মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ ঠিক। কিন্তু চিরঋণী একথা মানতে পারছি না। গত ৫০ বছর ধরে ভারত যেভাবে বাংলাদেশকে শোষণ করেছে তারপরও ভারতের ঋণ শোধ হয় নাই। তাহলে কিভাবে এই ঋণ শোধ হবে?
Total Reply(0)
জমির হোসেন ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৪ পিএম says : 0
সীমান্তে ভারত যাদের গুলি করে মারছে তারা সবাই গরু চোরাচালানি এ কথা আপনি কিভাবে জানলেন?
Total Reply(0)
রুবেল মিয়া ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৬ পিএম says : 0
বাংলাদেশ যতদিন েএই ভারতীয় কৃতজ্ঞতা ও ঋণ মুক্ত হবে, এই আবেগের নাগপাশ থেকে বেরুতে পারবে ততদিন বাংলাদেশ মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারবে না।
Total Reply(1)
২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:২৭ পিএম says : 0
মেঘদূত পারভেজ ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৭ পিএম says : 0
ভারত আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা করছে তার কৃতজ্ঞতা সবাই স্বীকার করে। তার মানে এই না তাদের সাথে আমাদের প্রভু-দাসের সম্পর্ক মেনে নিতে হবে। তাই লেখকের সাথে একমত হয়ে বলবো--সম মর্যাদার ভিত্তিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্স্থাপন করা এখন সময়ের বড় দাবি।
Total Reply(0)
গাজী ফজলুল করিম ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৭ পিএম says : 0
যেহেতু ভারত অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশ থেকে নিয়মিত সুবিধা নিচ্ছে, তাই বাংলাদেশ যদি নিজেদের অবস্থান শক্ত করে তাহলে ভারতের এই দাদগীরি বন্ধ হয়ে যাবে।
Total Reply(0)
আমিন উদ্দিন ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৭ পিএম says : 0
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর জবাবের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এই জবাবটি আরো কড়া হওয়া উচিত ছিলো।
Total Reply(0)
হাদী উজ্জামান ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৮ পিএম says : 0
বাংলাদেশ এখনও কোনো দিক দিয়েই পিছিয়ে নেই। তাই তাদের প্রমাণ করার কিছু নেই। আর আপনি কার কাছে কি প্রমাণ করবেন। উগ্রবাদি বিজেপির এজেন্ডা সম্পর্কে যার ধারণা আছে সে এমনটা বলতে পারে না।
Total Reply(0)
সুলেমান ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:০৯ পিএম says : 0
খোলা মাঠে পায়খানা করার যে সুখ বাংলাদেশের মানুষ তা ভু্লেই গেছে। তাই বাংলাদেশের মানুষ খোলা মাঠে বাতাস লাগিয়ে পায়খানা করার জন্য মাঝে মাঝে ভারত যায় এ কথা ঠিক।
Total Reply(0)
আবদুর রহিম ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:১২ পিএম says : 0
বাংলাদেশের মানুষ ভারতে বসতি গড়তে যায় না। শপিং করতে যায়। বাংলাদেশের মানুষ ভারতে না যাওয়ায় গত একবছরে কোলকাতার শপিং মলের দোকানমালিকদের রাস্তায় বসার উপক্রম। হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে মশা মাছি তাড়ানোর লোকও নেই।
Total Reply(0)
শামীম উদ্দিন ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:১৪ পিএম says : 0
গরুতে বাংলাদেশকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ। মনে রাখতে হবে বাংলাদেশ ভারত থেকে যা আনে তা ডলার দিয়ে কিনে আনে। মাংনা দেয় না। ভারত না দিলে আমরা অন্যদেশ থেকে এনে সহজেই চলতে পারবো। পিয়াজ তার প্রমাণ। কিন্তু ভারত বাংলাদেশের মতো এতে কাছে এতো বিরাট বাজার আর পাবে না- এটা সঠিক।
Total Reply(0)
তারিকুল ইসলাম ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:১৭ পিএম says : 0
ভারতীয় মেডিকেল টুরিজমের ৯ বিলিয়ন ডলারের ৫৫% বাংলাদেশ থেকে আয় হয়, পর্যটনের মোট আয় ৪০ বিলিয়ন ডলারের ২২% বাংলাদেশ থেকে আয় হয়। দ্বিতীয় বৃহত্তম ফরেন রেমিটেন্স বাংলাদেশ থেকে নেয়, তাও আবার কালো বাজারে। তথ্যগুলো ভারতকে স্মরণ করিয়ে দেয়া দরকার।
Total Reply(0)
সুমন মাহবুব ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:১৮ পিএম says : 0
ভারত চায়না সীমান্তে, পাকিস্তান সীমান্তে এমনকি নেপাল সীমান্তে যখন মার খাচ্ছে তখন বাংলাদেশ সীমান্তে তাদের এই আগ্রাসী নীতি সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির পরিচায়ক।
Total Reply(0)
লাকি খান ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:২২ পিএম says : 0
বাংলাদেশের বেক্সিমকো ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের করোনা টিকা উৎপাদনের অংশীদার একঅর্থে। কেননা, টিকা উৎপাদনের অনিশ্চিত সময়ে বেক্সিমকো সেরামকে কোটিকোটি টাকা দিয়েছে। এই টিকা কার্যকর না হলে বেক্সিমকো পুরোটাই ধরা খেতো। কিন্তু সিরাম এই টাকা পেয়ে উৎপাদনে কাজে লাগিয়েছে। কাজেই এখন অন্যান্য বায়ারদের মতো বাংলাদেশের সাথে বিহেভ করতে পারেনা। আমরা এই টিকা উৎপাদনের অংশীদার। আমাদেরকে অবশ্যই টিকা দিতে বাধ্য তারা। সরকারের উচিত এ ব্যাপারে কঠোর হওয়া।
Total Reply(0)
আসলাম সিকদার ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:২৫ পিএম says : 0
গত ১৩ বছরে ভারতের যা যা চাওয়া, দাবী সব মিটিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু পায়নি কিছুই। শূন্যহাতে ভারতের আশ্বাসের উপর ভরসা করে থাকা বোকামি। বরং বাংলাদেশ যা পেয়েছে তাওভারতের স্বার্থেই। চায়না আমাদের ফ্রি টিকা দিতে চেয়েছিল। কিন্তু আমরা চায়না ফ্রি টিকা না নিয়ে ভারতীয় টিকা নিয়েছি। ভারতীয়ঋণে যা কিছু কেনা হয়েছে তা ভারত থেকে বেশী দামে। এগুলো বন্ধুত্ব নয়।
Total Reply(0)
মনিরুজ্জামান ২১ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪৪ পিএম says : 0
এরকম তিক্ত সত্য কথাগুলো তুলে ধরার লোক এখন খুবই কম আছে দেশে। তাই লেখককে মোবারকবাদ জানাচ্ছি আর এরকম লেখা আরও বেশি বেশি প্রত্যাশা করছি
Total Reply(0)
Md salauddin ২১ এপ্রিল, ২০২১, ২:০৫ পিএম says : 0
Thik ace varot chayna bd onnoti hok
Total Reply(0)
সোয়েব আহমেদ ২১ এপ্রিল, ২০২১, ৭:২৬ পিএম says : 0
আমাদের উচিত ভারতের আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে দ্রুত ছীনের সহায়তায় তিস্তা প্রকল্প বাম্তবায়ন করা। েএতে ভারত যথাযথ ম্যাসেজ পাবে বলে মনে করি।
Total Reply(0)
রুবি আক্তার ২১ এপ্রিল, ২০২১, ৭:২৭ পিএম says : 0
বাংলাদেশের ভারতকে যতটা প্রয়োজন আছে তার চেয়ে ভারতের বাংলাদেশ বহুগুন প্রয়োজন আছে। অতএব তাদের কাছে আমাদের ছোট হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন