দেশে যখন করোনা মহামারিতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ মারা যাচ্ছে এবং আশংকাজনকভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তখন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাস্যকর খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। পবিত্র রমজান মাসে স্বনামধন্য এবং প্রবীণ ইসলামিক বক্তাদের দাগী আসামীর মত হাতকড়া এবং দড়ি পড়িয়ে এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের হৃদয়ে আঘাত করেছে সরকার। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের আগেই গ্রেফতারকৃত হেফাজতে ইসলামের নেতৃবৃন্দ ও দেশের শীর্ষ আলেমসহ সকল রাজবন্দির মুক্তি দিতে হবে। জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ আজ বুধবার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, নিম্নবিত্ত এবং স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে ভ্রæক্ষেপ না করে তাঁরা লকডাউনের সুযোগে দেশের প্রথিতযশা আলেমসহ ভিন্নমতের রাজনৈতিক কর্মীদের গণহারে গ্রেফতার করছে। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ দেশের আলেম সমাজের বড় এক অংশকে প্রতিনিধিত্ব করায় সাধারণ মানুষ মনে করছে এই গ্রেফতার আলেম সমাজের বিরুদ্ধে একপ্রকার যুদ্ধের শামিল।
তিনি বলেন,প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যখন পিকে হালদাররা দেশান্তরি হয়ে যায় আর মোবাইল-মানিব্যাগ চুরির মত ঠুনকো অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের প্রভাবশালী নেতাকে সাত দিনের রিমান্ডে যেতে হয়, তখন দেশে আইনের শাসন নিয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ শঙ্কিত হয়। অন্যদিকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সুযোগ নিয়ে ভিন্নমত দমনের নীল নকশায় মেতে উঠেছে সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী। লকডাউনের মধ্যে তাঁদের ক্ষমতার অপপ্রয়োগের অসংখ্য ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে দেশবাসী দেখছে। আমরা মনে করি, পুলিশ আজ জনগণের সেবক না হয়ে শাসকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। অবিলম্বে রাজনৈতিক বিবেচনায় মামলা এবং হয়রানিমূলক গ্রেফতারের সংস্কৃতি থেকে সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন