শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাশ্মীরে এবার সেনা মোতায়েন

প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতনিয়ন্ত্রিত বিক্ষুব্ধ কাশ্মীরে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। ২০১৪ সালের পর এই প্রথম সেখানে সেনা মোতায়েন করলো ভারত। পুলওয়ামা, সোপিয়ান, কুলগাম এবং অনন্তনাগÑ এই চার জেলায় সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। কাশ্মিরের চার জেলায় বিক্ষোভ-সংঘর্ষে গত দুই মাসে ৭০ জনেরও বেশি মতো মানুষ নিহত হয়েছে। থেমে থেমে সেখানে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের কূটনীতি আবারো চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে পৌঁছেছে। পাল্টাপাল্টি কথার আক্রমণে লিপ্ত রয়েছে দেশ দুটি। কাশ্মির পরিস্থিতিতে দুই প্রতিবেশী পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে কোনো কোনো মহল থেকে।
অব্যাহত সহিংসতা ও বিদ্রোহকবলিত চার জেলায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে ভারতের সেনাপ্রধান দলবীর সিং সুহাগ সেখানে সেনা মোতায়েনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সেনাদের সরকারি প্রশাসনকে সহযোগিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন সেনাপ্রধান। গত দুই মাসের সংঘর্ষে সেখানে কয়েক হাজার মানুষ আহত হয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর বর্বরোচিত ছররা গুলির দেদার ব্যবহারের ফলে কাশ্মিরে ব্যাপক সংখ্যক মানুষ পঙ্গু হয়েছে এবং চিরতরে দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছে বহু নিরপরাধ মানুষ। এই নিয়ে ভারতসহ আন্তজার্তিক পরিম-লে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। এই সমালোচনার প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা বাহিনী ছররা গুলির ব্যবহার বাদ দিতে বাধ্য হয়েছে। অন্যদিকে কাশ্মিরের স্বাধীনতা কামীদের মুখোমুখি হওয়ায় নিরাপত্তাকর্মীদের অনেকে জোয়ানও আহত হয়েছে। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার সমন্বিত সিদ্ধান্তে সেনা মোতায়েন করেছে। সংক্ষুব্ধ জেলাগুলোর প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সেনারা দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে সেনাপ্রধান জেনারেল সুহাগ লাইন অব কন্ট্রোল (এলওসি), উত্তর ও দক্ষিণ কাশ্মীরে মোতায়েন করা সেনা ইউনিট পরিদর্শন করেছেন। তিনি ওই এলাকায় শান্তি ফিরিয়ে আনতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সূত্র : ডন, টাইমস অব ইন্ডিয়া, ওয়েবসাইট।

মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় কিউবার ক্ষতি ৪৭০ কোটি ডলার
ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কিউবার সম্পর্কে বরফ গলার পরও ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৬ সালের মার্চ পর্যন্ত মার্কিন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় হাভানার প্রায় ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। ওয়াশিংটন ও হাভানা ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে অর্ধ শতাব্দীরও বেশি সময়ের  বৈরী সম্পর্কের অবসানের ঘোষণা দেয়। এরই প্রেক্ষাপটে ২০১৫ সালের জুলাই মাসে দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনরায় চালু হয়। প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কিউবার ওপর থেকে সুনির্দিষ্ট কিছু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিলেও ১৯৬২ সালের পর কমিউনিস্ট এ দ্বীপ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরোপ করা সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা সরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে তার বিরোধী রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত কংগ্রেসকে তিনি রাজি করাতে ব্যর্থ হন। কিউবার হিসাব অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের ৫৪ বছরের বাণিজ্যিক অবরোধের কারণে বর্তমান মূল্যে সার্বিকভাবে তাদের ১২৫.৮ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগুয়েজ বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক মূল সমস্যা এ নিষেধাজ্ঞা। আমাদের উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা। রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Infinity ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৬, ২:০৫ পিএম says : 0
Phmneeonal breakdown of the topic, you should write for me too!
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন