স্টাফ রিপোর্টার : কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। নগরবাসীর সহযোগিতায় ঘোষিত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই শতভাগ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা হবে বলে জানান মেয়র সাঈদ খোকন।
কোরবানির অতিরিক্ত বর্জ্য অপসারণে কর্পোরেশনের নিজস্ব সাড়ে ৫ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর সঙ্গে অতিরিক্ত আরও ২ হাজার পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে ডিএসসিসির সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে।
ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নাগরিকদের সচেতন করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ডিএসসিসি’র নিজস্ব পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের নিয়ে প্রস্তুতিমূলক সভাও করেছেন মেয়র। কাউন্সিলররা এলাকায় মাইকিং করে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে সচেতন করেছেন। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রতিটি পশুহাটে একটি করে মনিটরিং সেল স্থাপন করা হয়েছে। এবার কোরবানির জন্য ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে ৫০৪টি স্থান নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য ফেলার জন্য দুই লাখ পলিব্যাগ ও চটের ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। ডিএসসিসি’র ওয়ার্ডগুলোকে ৫টি অঞ্চলে ভাগ করে ৫টি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এ টিমের সদস্যরা সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণে ১৪টি পে-লোডার, ৪টি টায়ার ডোজার, ৬০টি ডাম্পার, ৪টি ট্রেইলর, ২টি প্রাইম মোভার, ২টি ব্যাক-হো-লোডার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, রাজউক, ওয়াসাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পরিচ্ছন্নতা কাজে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছে।
এছাড়া ৮৫টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার এবং ১৬টি কম্পেক্টরসহ নিয়মিত ৩২৫টি কন্টেইনার, ১২৫টি খোলা ট্রাক ব্যবহার করা হবে। প্রয়োজনে আরও কন্টেইনার বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হবে।
এবার ঈদের নামাজের জন্য ৫৭টি ওয়ার্ড ও ৮টি ইউনিয়নের জন্য ৩২৫টি প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। একই সঙ্গে নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানির জন্য ৫৭টি ওয়ার্ড ও ৮টি ইউনিয়নে ৩২৫টি স্থানে বৃষ্টি প্রতিরোধ ত্রিপলসহ সামিয়ানা ও ব্যানার টানানো হয়েছে। কোরবানিকৃত পশুর রক্ত, বর্জ্য ধোঁয়ার জন্য ডিএসসিসি’র নিজস্ব ৯টি পানির গাড়ির পাশাপাশি ঢাকা ওয়াসা, ফায়ার সার্ভিস, সেনা-নৌ ও বিমান বাহিনীর পানির গাড়ি প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডের সরু গলিতে ভ্যানের মাধ্যমে পানি দিয়ে পরিষ্কার করা হবে। এক হাজার লিটার জীবাণুনাশক ওষুধ ছিটানো হবে। পশুরহাট ও কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণের পর ৩০ টন ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন