শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে গণধর্ষণ বাধায় ২ জনকে হত্যা

প্রকাশের সময় : ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : ভারতে ধর্মীয় বিদ্বেষ দিন দিন সীমাতিক্রম করেই চলছে। দেশটিতে এবার গরুর গোশত খাওয়ার কাল্পনিক অজুহাত তুলে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা দুই নারীকে গণধর্ষণ করেছে। এখানেই শেষ নয়। এতে বাধা দেয়ার চেষ্টা করায় পিটিয়ে হত্যা করা হয় এক ধর্ষিতার বাবা-মাকে। এর আগে তাদের বেঁধে রেখে তাদের সামনে মেয়ে ও ভাইয়ের মেয়েকে গণধর্ষণ করা হয়। এমন ঘটনা ঘটেছে দেশটির হারিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত জেলা মেওয়াটে। এক নারী (২০) গরুর গোশত খেয়েছেন, এমন সন্দেহে একদল হিন্দু ধর্মীয় উগ্রবাদী ওই নারীসহ তার চাচাতো বোনকে গণধর্ষণ করেছে। গতকাল ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি গণমাধ্যম এনডিটিভি এমন খবর দিয়েছে।
এনডিটিভির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ধর্ষণের পর ধর্ষকরা উল্লাস করে জানায়, এটা গরুর গোস্ত খাওয়ার শাস্তি।
এদিকে দিল্লীতে মানবাধিকার কর্মী শবনম হাসমির উপস্থিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী ওই দুই নারী তাদের ওপর পাশবিক নির্যাতনের বর্ণনা দেন। তারা জানান, গত ২৪ আগস্ট একদল লোক তাদের বাড়িতে ঢুকে তার চাচা-চাচিকে বেঁধে ফেলে। এরপর তাদের সামনেই দু’বোনকে পালাক্রমে ধর্ষণ করতে থাকে। এ বর্বতার প্রতিবাদ করায় তার চাচা-চাচিকে পিটিয়ে হত্যা করে ধর্ষকের দল। এ ঘটনার পর ওই ধর্মীয় উগ্রবাদীদের ভয়ে মুখ খোলেননি তারা।
পরে দিল্লীতে মানবাধিকার কর্মী শবনম হাসমির সহায়তায় সংবাদ সম্মেলনে তাদের উপর চালানো বর্বরতার বর্ণনা দেন। এরপরই পুলিশ তৎপর হয়ে ওই এলাকা থেকে চার বখাটেকে গ্রেফতার করেছে। পরে পুলিশ জানতে পারে, আসলে তারা গো-রক্ষক কমিটির কেউ না। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী তারা।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ধর্ষণের দিন সকালে তারা মদ্যপান করে গরুর গোশত খাওয়ার মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ওই বাড়িতে হানা দেয়। গরুর গোশত খাওয়া হারিয়ানায় সরকারিভাবে নিষিদ্ধ হওয়ায় প্রায়ই সংখ্যালঘু মুসলিমদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ আরোপ করে ক্ষমতাসীনদের নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে।
হারিয়ানা রাজ্য পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, নির্যাতিতারা আগে কোনো অভিযোগ না করায় এতোদিন অপরাধীদের গ্রেফতার করা যায়নি। পুলিশ প্রথমে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আরোপ করে, পরে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল করলে তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা নেয়া হয়।
হারিয়ানায় গরু জবাই, গোশত বিক্রি বা সংরক্ষণ নিষিদ্ধ। এ আইন ভঙ্গ করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের সাজা এবং এক থেকে পাঁচ লাখ রুপি অর্থদ-।
এদিকে, কোরবানির ঈদের আগে হারিয়ানার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মেওয়াটে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। Ñসূত্র : এনডিভি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
md jasim uddin ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ৮:৪৬ পিএম says : 0
a borborotar bicar allah oboshoi korbe.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন