দেশের ও দেশের বাইরের আইসিটি খাত সংশ্লিষ্টদের নিয়ে হুয়াওয়ে বিশেষ সম্মেলনের আয়োজন করেছে। হুয়াওয়ে ক্যারিয়ার কংগ্রেস ২০২১’ শীর্ষক এই সম্মেলনে টেলিযোগাযোগ ক্ষেত্রের সম্ভাবনা, নতুন আবিস্কার ও এগুলোর কার্যকারীতা নিয়ে বিভিন্ন মহল মত বিনিময় ও আলোচনা করবেন। এ আয়োজন চলবে মে মাসের প্রায় শেষ পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার এ কংগ্রেসের উদ্বোধন করেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হুয়াওয়ের গ্লোবাল পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট এডওয়ার্ড ঝাও, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী ঝ্যাং ঝেংজুন, হুয়াওয়ের টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা শু ডংজিয়ান, প্রতিষ্ঠানটির সিওও তাও গুয়াংইয়াও ও অন্যান্যরা।
এছাড়াও, অনুষ্ঠানে ‘ন্যাশনাল ব্রডব্যান্ড রেফারেন্স শেয়ারিং’ নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন উইন্ডসোর প্লেস কনসাল্টিং -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কট ডব্লিউ মাইনহেন এবং ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন: এক্সপেকটেশন অ্যান্ড কনসিডারেশন্স ফর আইএমটি ২০২০ রোল আউট’ শীর্ষক আলোচনা করেন আইটিইউ’র এশিয়া প্যাসিফিক অফিসের মুখপাত্র অমিত রিয়াজ। পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন হুয়াওয়ে এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনের ইন্ডাস্ট্রি ইকোসিস্টেম এনগেজমেন্ট ডিরেক্টর কোনেশ কোচহাল।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের টেলিকম অপারেটর, অংশীদার, নিয়ন্ত্রক সংস্থার প্রতিনিধি, চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদগণ কোভিড-১৯ এর সকল সতর্কতা বজায় রেখে এ অনুষ্ঠানে সরাসরি ও ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশগ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো নির্মাণে বৈশ্বিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে হুয়াওয়ে বিভিন্ন শিল্পের ব্যবসা প্রসারে এবং এর উন্নয়নে নতুন উপায় অনুসন্ধানে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে অনুষ্ঠানটি এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেখানে অংশগ্রহণকারী এবং আলোচকগণ প্রযুক্তি বিষয়ক বিভিন্ন ট্রেন্ড এবং ব্যবসার সমাধান সম্পর্কে তাদের মত বিনিময় করবেন। অনুষ্ঠানে হুয়াওয়ে এর গবেষণা ও উন্নয়ন কেন্দ্রের সর্বাধুনিক উদ্ভাবনগুলো তুলে ধরবে যাতে সবাই এগুলো সম্পর্কে জানতে পারে। এর মাধ্যমে খাত সংশ্লিষ্টরা বিভিন্ন ব্যবসাখাতে সম্ভাব্য আইসিটি সমাধান নিয়ে এবং প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তি কীভাবে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষিতে অবদান রাখবে তা নিয়ে জানতে পারবেন। এ কংগ্রেসে টেলিযোগাযোগ খাতের উদ্ভাবন নিয়েও আলোচনা করা হবে।
শ্যাম সুন্দর সিকদার বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক নানা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির মধ্যে জ্ঞানের বিনিময়ের সাধারণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে এ কংগ্রেসের আয়োজন করেছে হুয়াওয়ে। প্রত্যকের চিন্তার জায়গা বিস্তৃত করে এ আয়োজন বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রবৃদ্ধি ত্বরাণ্বিত করতে ভূমিকা রাখবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে হুয়াওয়ের প্রচেষ্টার জন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। ডিজিটাল এবং টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিতে হুয়াওয়ে অন্যতম পথিকৃৎ। এবং আমার বিশ্বাস হুয়াওয়ে ভবিষ্যতেও এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে।
ঝ্যাং ঝেংজুন বলেন, হুয়াওয়েতে আমরা ধারাবাহিকভাবে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ করবো, যা আমাদের পণ্য ও সেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নতুন উদ্ভাবনকে সাহায্য করবে এবং সর্বোপরি আমাদের গ্রাহক ও সমাজে ইতিবাচক অবদান রাখার সুযোগ করে দিবে। এ বছর বাংলাদেশে আমরা মেধাবী ও দক্ষ জনশক্তিতে বিনিয়োগ করবো এবং অংশীদারদের সাথে যৌথ উদ্যোগে উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করবো। প্রবাদে যেমন আছে: যদি দ্রুত যেতে চাও, তবে একা যাও; আর যদি অনেক দূর যেতে চাও, তবে, অন্যদের নিয়ে যাও। তাই, হুয়াওয়ে বাংলাদেশে, বাংলাদেশের জন্য; সবাইকে একসাথে নিয়ে এগিয়ে যাবে। লাইটিং আপ দ্য ফিউচার’ প্রেরণায় উজ্জীবিত এই অনুষ্ঠানটিতে ইনটেলিজেন্ট নেটওয়ার্ক, ডিজিটাল ওঅ্যান্ডএম, ডিজিটাল সেবার ভিত্তি, ফাইভজিটুবি, আরও উন্নত বিশ্ব গড়ে তুলতে প্রযুক্তি শিল্প এবং প্রযুক্তির সমন্বয়ে ভবিষ্যৎ নির্মাণ এসব বিষয়ে আলোকপাত করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন