স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, করোনা মোকাবিলায় দীর্ঘমেয়াদি উপায়সমূহ নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলাসহ সকল ধরণের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। তিনি বলেন, করোনা মোকাবিলায় লকডাউন একমাত্র সমাধান নয়। এটা স্বল্পতম সময়ের জন্য প্রযোজ্য। গবেষণার মাধ্যমে করোনা থেকে মুক্তির দীর্ঘতম সমাধানের উপায়সমূহ খুঁজে বের করতে হবে।
গতকাল শহীদ ডা. মিল্টন হলে আজ ৩০ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪তম প্রতিষ্ঠা দিবস সামনে রেখে এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন ও অগ্রগতি ছাড়া কোনো কিছুরই উন্নয়ন সম্ভব নয়। স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নে আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ আরো বাড়াতে হবে। করোনাকালীন মহামারীর এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসাসেবায় মানুষের আস্থার প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় এছাড়াও উদ্বোধক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এতে ভার্চুয়ালি বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রধানমন্ত্রীর স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ডা. এম. ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিক্যাল এসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ প্রমুখ।
ডা. দীপু মনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয় আগামী দিনে শুধু দেশে নয়, সমগ্র বিশ্বে চিকিৎসা শিক্ষা, চিকিৎসা সেবা ও গবেষণায় সেন্টার অব এক্সিলেন্স হিসেবে গড়ে উঠবে বলে আমার বিশ্বাস।
ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্ব দরবারে চিকিৎসা শিক্ষা, সেবা ও গবেষণার মানদন্ডে রোল মডেলে পরিণত করতে এখানে কর্মরত সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। চিকিৎসার জন্য রোগীদের যাতে দেশের বাইরে যেতে না হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তার সব ধরণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বি বøকের সামনে গোলচত্ত¡রে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করেন ভিসি ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। এরপর বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে পরিচালক (হাসপাতাল) অফিসের মাধ্যমে রোগীদের জন্য উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন