কর্পোরেট রিপোর্টার : ঈদুল আযহায় কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন চার বাণিজ্যিক ব্যাংক ৬১০ কোটি টাকা ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে এ খাতে ৩৬০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ঋণের বাকি অর্থ ঈদের পর বিতরণ করা হবে। দেশে চামড়ার বড় সরবরাহ আসে কোরবানির ঈদে। এ ঈদেই বেশি চামড়া সংগ্রহ করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এ কারণে প্রতিবছর এ খাতে ব্যবসায়ীদের বিশেষ ঋণ দেয়ার উদ্যোগও থাকে ব্যাংকগুলোর। যেসব ব্যবসায়ী গত কোরবানীতে নেয়া ঋণ পরিশোধ করেছে, সেসব গ্রাহক এবার অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ পাচ্ছেন। বরাবরের মত এবারও চামড়া কেনায় সবচেয়ে বেশি ঋণ দেবে জনতা ব্যাংক। ব্যাংকটি চামড়া কিনতে ২০ ব্যবসায়ীকে ২৫০ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে। এ খাতে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন রুপালী ব্যাংক ১৬০, অগ্রণী ১৩০ এবং সোনালী ব্যাংক ৭০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ট্যানারী এসোসিয়েশনের সভাপতি শাহীন আহমেদ বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলো গত তিনদিনে চামড়া খাতে ৩৬০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। ঈদের পর ঋণের বাকী অর্থ ব্যবসায়ীরা পাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, চামড়া খাতে দেয়া এবারের ঋণের সুদের হার নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ থেকে ১২ শতাংশ। এটি একটি রফতাতিমুখী শিল্প, সেই হিসেবে এর সুদহার আরো কমানোর প্রয়োজন। কোরবানীর পশুর চামড়া কেনার জন্য বিশেষ এই ঋণ গত মঙ্গলবার থেকে বিতরণ শুরু হয়। আজ বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগে শেষ ব্যাংকিং কর্মদিবস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন