দিকে কয়লার দর : কর্পোরেট ডেস্ক : বিশ্ববাজারে বাড়তির দিকে রয়েছে কয়লার দাম। তবে এর পেছনে চাহিদা বৃদ্ধি নয়, দায়ী করা হচ্ছে চীনে পণ্যটির উৎপাদন হ্রাস পাওয়াকে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। এদিকে বিশ্ববাজারে পণ্যটির মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানি কমিয়ে অভ্যন্তরীণ উত্তোলনের দিকে জোর দিয়েছে ভারত। দেশটি কয়লার পাশাপাশি প্রাকৃতিক গ্যাসেরও উত্তোলন বাড়িয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি ফিচ রেটিংস জানিয়েছে, চলতি বছরের শুরুতে কয়লার চাহিদা বাড়ানোর লক্ষে সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ নীতি গ্রহণ করে চীন সরকার, যার ফলে বিশ্ববাজারে পণ্যটির সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে দেশটি। চীনের এমন উদ্যোগে প্রতি টন কয়লার দাম বেড়ে ৫০ ডলারের কাছাকাছি চলে এসেছে। ফিচ রেটিংসের তথ্যানুযায়ী, চীনে চলতি বছরের প্রথমার্ধে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে কয়লার উৎপাদন। দেশটির কয়লা খনিগুলোয় কর্মদিবসের পরিমাণ কমিয়ে আনা হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিলের আগে চীনের কয়লা খনিগুলোয় বছরে ৩৩০ দিন উৎপাদন কার্যক্রম চালানো হতো। এপ্রিলের পর সংখ্যাটি ২৭৬ কর্মদিবসে নেমে এসেছে। কয়লার বাজার নিয়ন্ত্রণে চীনের এ নীতির পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক বাজারে সরবরাহ কমেছে পণ্যটির। বর্তমানে চাহিদার তুলনায় বাজারে পণ্যটির সরবরাহ কম রয়েছে ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এদিকে কয়লার বাড়তি দামের কারণে ভারত যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে লক্ষে অভ্যন্তরীণ উত্তোলন বাড়িয়েছে দেশটি। বর্তমানে ভারতে অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য ২০ দিনের কয়লা মজুদ আছে। পাশাপাশি দেশটি প্রাকৃতিক গ্যাসের উত্তোলনও বাড়িয়েছে। চীনের পাশাপাশি
কয়লার উত্তোলন ও রফতানি কমেছে ইন্দোনেশিয়ায়ও। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন কমেছে ১০ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সময়ে রফতানি কমেছে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন