কর্পোরেট ডেস্ক : সারা বিশ্বের বাজার থেকে প্রায় ৪৩ লাখ গাড়ি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে মার্কিন গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি জেনারেল মোটরস করপোরেশন (জিএম)। একটি ত্রুটিপূর্ণ সফটওয়্যার মেরামত করার জন্য এ পরিমাণ গাড়ি ফিরিয়ে নিচ্ছে জিএম। সম্প্রতি এক ঘোষণায় কোম্পানিটি জানিয়েছে, ত্রæটিযুক্ত সফটওয়্যার দুর্ঘটনার সময় এয়ারব্যাগ খোলার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এরই মধ্যে এ ত্রæটিজনিত কারণে একজন নিহত ও তিনজন আহত হওয়ার খবর পেয়েছে জিএম।
জিএমের এ পদক্ষেপ সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে সর্বশেষ সবচেয়ে বড় এয়ারব্যাগ-সম্পর্কিত গাড়ি প্রত্যাহারের ঘটনা। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় জাপানের কোম্পানি তাকাতার ত্রæটিপূর্ণ এয়ারব্যাগের কারণে বিপুল সংখ্যক গাড়ি প্রত্যাহারের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া আরো দুটি এয়ারব্যাগ সরবরাহকারী কোম্পানির সঙ্গে জড়িত তদন্তের কারণে এ বছর আরো বহু সংখ্যক গাড়ি প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিশ্বের তিন নম্বর গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি জিএম জানিয়েছে, সাম্প্রতিক ঘোষণা অনুসারে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে নির্মিত ট্রাক, কার ও এসইউভি প্রত্যাহার করে নেয়া হবে। এর মধ্যে বুইক লাক্রসে, শেভ্রলেট করভেট, সিলভেরাডো ১৫০০, শেভ্রলেট টাহোয়ে, সাবআরবান ও সিলভেরাডো এইচডি এবং ক্যাডিলাক এসক্যালাডের কিছু মডেল রয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এয়ারব্যাগজনিত প্রচুর সমস্যা সত্তে¡ও যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হাইওয়ে ট্রাফিক সেফটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনএইচটিএসএ) এক মুখপাত্র ‘এয়ারব্যাগ জীবন বাঁচায়’ বলার মাধ্যমে যন্ত্রাংশ সম্পর্কে গাড়িচালকদের আশ্বস্ত করতে চেয়েছেন।
সংস্থাটির এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সামনের আসনের এয়ারব্যাগের কারণে শুধু ২০১৪ সালেই যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ৪০০টি প্রাণ রক্ষা পেয়েছে। এদিকে জিএমের গাড়ি প্রত্যাহারের বিষয়ে এক বিজ্ঞপ্তিতে এনএইচটিএসএ জানায়, ত্রুটিযুক্ত সফটওয়্যারটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে একটি পরীক্ষা চালু করে, যা দুর্ঘটনার সময় এয়ারব্যাগ খুলতে বাধা দেয়। তবে খুবই বিরল পরিস্থিতিতে এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জিএম জানিয়েছে। এদিকে গাড়ি প্রত্যাহারের ঘোষণার পর জিএমের শেয়ারে পতন দেখা গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন