ইনকিলাব ডেস্ক : ডেঙ্গু এবং চিকুনগুনিয়া থাবা বসিয়েছে রাজধানীতে। দিল্লিতে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৫-এ দাঁড়িয়েছে। ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গুতে। চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু ১১ জনের। চিকিৎসার অপ্রতুলতার অভিযোগে চিকিৎসকদের সঙ্গে রোগীর হাতাহাতি হয়েছে। প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে গেছেন চিকিৎসকরা। বিভিন্ন হাসপাতালে উপচে পড়ছে রোগীর ভিড়। চিকিৎসা ব্যবস্থার অপ্রতুলতার অভিযোগে গত বুধবার দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালে চিকিৎসকদের সঙ্গে এক ডেঙ্গু রোগীর হাতাহাতি বেঁধে যায় বলে অভিযোগ। এর জেরে কর্মবিরতি শুরু করেন চিকিৎসকরা।
এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় দিল্লি সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা গত বুধবার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
‘গুগল বলছে, চিকুনগুনিয়ায় মৃত্যু হয় না, দিল্লিবাসীর ভয়ের কারণ নেই’
চিকুনগুনিয়া ইতিমধ্যেই কেড়ে নিয়েছে দশের বেশি প্রাণ। কিন্তু গোঁ ধরে রয়েছেন দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন। তার এখনও দাবি, এই রোগে মৃত্যু হয় না, শুধু শুধু ঘাবড়ে গিয়ে হৈ চৈ পাকাচ্ছেন দিল্লিবাসী। ‘আমআদমি’ স্বাস্থ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, এ তার নিজের কথা নয়, গুগলও নাকি বলছে এমনটাই। দিল্লির মানুষের উচিত, খামোখা ভয় না পেয়ে আগে থেকে সাবধান হওয়া। যদি চিকিৎসকরা বলেন, চিকুনগুনিয়ার লক্ষণ রয়েছে, শুধু তখনই হাসপাতালমুখো হওয়া উচিত।
তা ছাড়া শুধু দিল্লিতেই এভাবে চিকুনগুনিয়া দেখা দেওয়ায় রহস্যেরও বিলক্ষণ গন্ধ পাচ্ছেন সত্যেন্দ্র জৈন। তার প্রশ্ন, গোটা দুনিয়ায় তো চিকুনগুনিয়া হচ্ছে না। শুধু দিল্লির কয়েকটা নির্দিষ্ট হাসপাতালেই বা হচ্ছে কেন। তিনি খবর নিয়ে নাকি জেনেছেন, মৃতদের বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষ, তারা ভুগছিলেন অন্য নানা রোগে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জে পি নাড্ডা বলেছেন, দিল্লির এই সঙ্কট সামলাতে পুরোপুরি তৈরি কেন্দ্র। ওষুধ, চিকিৎসক বা চিকিৎসাগত পরিষেবার অভাব সম্পর্কে কোনও অভিযোগ আসেনি। তিনি জানিয়েছেন, দিল্লি থেকে চিকুনগুনিয়ার খবর এলেও পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা ও কর্নাটক থেকে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে। পশ্চিমবঙ্গে বেশ কয়েকজন ম্যালেরিয়াতেও আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। Ñসূত্র : এবিপি আনন্দ
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন