ভয়াবহ দূষণে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা এখন মৃত। একই অবস্থা এর চারপাশের তুরাগ ও বালু নদীর। বাষট্টি রকমের রাসায়নিক বর্জ্য ও অন্যান্য বর্জ্যরে দূষণে বুড়িগঙ্গার পানি তার স্বাভাবিক রঙ ও গন্ধ অনেক আগেই হারিয়ে ফেলেছে। বুড়িগঙ্গার পানি এতটাই বিষাক্ত হয়েছে যে এতে মাছ, পোকা-মাকড়সহ কোনো প্রাণীই বেঁচে থাকতে পারে না। বুড়িগঙ্গা নদীর এই দূষণ এখন দেশের অন্যসব নদীর জন্যও কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুড়িগঙ্গার বিষ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে দেশের অন্য ছয়টি নদীতে। বুড়িগঙ্গার বিষে আক্রান্ত হচ্ছে দেশের বৃহৎ নদী পদ্মা, মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, গোমতী, ধলেশ্বরী আর শীতলক্ষ্যা। বর্ষাকালে এই দূষিত পানি বিভিন্ন নদী হয়ে গিয়ে পড়ছে বঙ্গোপসাগরে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ভয়াবহ এই দূষণ রোধ করতে না পারলে আগামী এক দশকের মধ্যে এসব নদীর পানিও বিষাক্ত হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাবে।
প্রতিদিন যেভাবে বুড়িগঙ্গাকে দূষিত করা হচ্ছে তা জোয়ার-ভাটার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, গোমতী এবং ধলেশ্বরীতে। এতে আগামী এক দশক পর হয়তো এই দূষণ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়বে এসব নদীতে। এছাড়া নদীতে চলা নৌযানগুলো কোনো ধরনের নিয়মকানুন না মেনে পানি দূষিত করছে। বাংলাদেশে চলাচলকারী কোনো নৌযানেই মানব বর্জ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় এই দূষণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে অন্য নদীতে। রাজধানী ঢাকার আশপাশের নদীগুলো দখল আর দূষণে আজ বিপন্ন। বুড়িগঙ্গার পর বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যাও দূষণের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এভাবে দূষণ চলতে থাকলে মেঘনা, পদ্মা, আড়িয়াল খাঁ, গোমতী এবং ধলেশ্বরীর অবস্থাও বিপন্ন হবে।
এ বিষয়ে পানিসম্পদ ও জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞ এবং ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত ইনকিলাবকে বলেন, নদীদূষণ প্রতিরোধে সরকার খুব আন্তরিক বলে মনে হয় না। দিন যায়, মাস যায়, বছর থেকে এখন দশক পার হলেও বুড়িগঙ্গা নদীর পানিদূষণ রোধে সর্বোচ্চ আদালতের রায় কার্যকর হয়নি। মানব বর্জ্যরে পাশাপাশি শিল্পবর্জ্য, হাসপাতালের বর্জ্য, ইটভাটা, পলিথিন ইত্যাদির কারণে বুড়িগঙ্গা দূষিত বর্জ্যরে ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। আমরা এগুলো বলেই যাচ্ছি কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। সরকার মাঝে মাঝে এটা সেটা প্রকল্প নেয় এবং তাতে লুটপাট হয়। নদীর কোনো উপকার হয় না। নদীকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। বিছিন্নভাবে নানা প্রকল্প হাতে নিলে কোনো কাজ হবে না। নদীদূষণ রোধে প্রথমেই নজরদারি বাড়াতে হবে। যেসব কারণে নদীর পানি দূষিত হচ্ছে তার উৎস থেকে নজরদারির মাধ্যমে বন্ধ, দূষিত তরল নদীতে ফেলা রোধ করতে হবে। এর জন্য যে আইনগুলো আছে সেগুলোর যথাযথ প্রয়োগ জরুরি। নদীর প্রাণপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য, নদীগুলোর রাসায়নিক ও জীববৈচিত্র্যগত মান বজায় রাখার জন্য বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। তা না হলে আগামী দশ-বার বছরের মধ্যে বুড়িগঙ্গার দূষণের মতো অন্যান্য নদীগুলোও দূষিত হয়ে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে।
ঢাকার হাজারীবাগ, তেজগাঁও ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরার নদী রক্ষা বাঁধ ঘিরে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের প্রায় সাত হাজার কারখানা। এসব শিল্প-কারখানার শিল্পবর্জ্য সরাসরি পড়ছে বুড়িগঙ্গা নদীতে। বুড়িগঙ্গা থেকে এ শিল্পবর্জ্যগিয়ে মিশছে তুরাগ, টঙ্গী খাল, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরীতে। এর বাইরে রাজধানীর গৃহস্থালি বর্জ্যরেও গন্তব্য হচ্ছে বুড়িগঙ্গা। কোনো ধরনের পরিশোধন ছাড়াই এসব বর্জ্য এসে নদীটিতে মিশছে। সেখান থেকে তা আবার বিভিন্ন মাত্রায় ছড়াচ্ছে আশপাশের অন্যান্য নদীতে। একইভাবে দূষিত হচ্ছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রধান নদী কর্ণফুলীতেও। আর এ দূষণ বিভিন্ন মাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে পার্শ্ববর্তী হালদা, বাকখালী, সাঙ্গু, মাতামুহুরী, নাফ, কাসালং ও চিংড়ি নদ-নদীতে। কর্ণফুলীর দূষণ ছড়িয়েছে বঙ্গোপসাগরেও। করতোয়া, তিস্তা, আত্রাই, পদ্মাসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান-অপ্রধান নদ-নদীগুলোর স্বাস্থ্যও খুব একটা ভালো নয়। ফারাক্কার বাঁধ ওই অঞ্চলের নদীগুলোর প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন মাত্রার দূষণের হাত থেকেও কোনো নদী রেহাই পাচ্ছে না।
কেরানীগঞ্জে ছোট-বড় পাঁচ হাজারেরও বেশি গার্মেন্টস কারখানা ছাড়াও রয়েছে শতাধিক ওয়াশিং কারখানা। ওয়াশিং মালিক সমিতির দেয়া তথ্য বলছে, প্রতিদিন ২৪ থেকে ৩০ লাখ লিটার বর্জ্য পানি সরাসরি অপরিশোধিত অবস্থায় গিয়ে পড়ছে বুড়িগঙ্গায়। পাশেই শ্যামপুর শিল্প এলাকার শতাধিক প্রিন্টিং অ্যান্ড নিট-ডায়িং কারখানা থেকে প্রতিদিন বের হয় ৩০ হাজার ঘনমিটারেরও বেশি অপরিশোধিত তরল বর্জ্য যা সরাসরি মিশছে নদীটিতে। এর সঙ্গে প্রতিনিয়ত ক্ষতিকর রাসায়নিক ও ভারী ধাতু যাচ্ছে পানিতে। দূষণ রোধে হাজারীবাগের ট্যানারি কারখানাগুলো হেমায়েতপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অবশ্য সেখানে গিয়ে এ শিল্পখাত নতুন করে দূষিত করছে ধলেশ্বরী নদীকে। কেন্দ্রীয় বর্জ্য পরিশোধনাগার (সিইটিপি) নির্মাণ করা হলেও তা সঠিকভাবে পরিশোধন করতে পারছে না। একই অবস্থা ইপিজেডগুলোর সিইটিপিরও। টঙ্গী এলাকায় থাকা ডায়িং ও ওয়াশিং কারখানার অপরিশোধিত বর্জ্য দূষিত করেছে তুরাগ নদকে।
সাম্প্রতিক আরবান রিভার পলিউশন ইন বাংলাদেশ ডিউরিং লাস্ট ফরটি ইয়ারস: পটেনশিয়াল পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইকোলজিক্যাল রিস্ক, প্রেজেন্ট পলিসি অ্যান্ড ফিউচার প্রসপেক্টস টুওয়ার্ডস স্মার্ট ওয়াটার ম্যানেজমেন্ট’ শীর্ষক গবেষণায় গত ৪০ বছরে দেশের বিভিন্ন নদীর দূষণের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়। গবেষণায় যেসব নদী, হ্রদ বা খালের দূষণের তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্রহ্মপুত্র, বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা, ধলেশ্বরী, বংশী, ধলাই বিল, মেঘনা, সুরমা, কর্ণফুলী, হালদা, খিরু, করতোয়া, তিস্তা, রূপসা, পশুর, সাঙ্গু, কাপ্তাই লেক, মাতামুহুরী, নাফ, বাকখালি, কাসালং, চিংড়ি, ভৈরব, ময়ূর, রাজখালি খাল। আর এসব জলাধারের পানিতে গ্রহণযোগ্য মাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণে জিংক, কপার, আয়রন, লেড, ক্যাডমিয়াম, নিকেল, ম্যাঙ্গানিজ, আর্সেনিক, ক্রোমিয়াম, কার্বন মনোক্সাইড ও মার্কারির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ৪০ বছরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ আশপাশের অবিচ্ছিন্ন নদীগুলো চরম মাত্রার দূষণের শিকার হয়েছে। বিশেষ করে বড় নদীগুলো থেকে দেশের প্রায় সব নদীতেই বিভিন্ন মাত্রায় দূষণ পৌঁছে গিয়েছে। গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের শিল্পের প্রায় ৬০ হাজার টন বর্জ্য মিশছে বুড়িগঙ্গায়। সেখান থেকে তা বিভিন্ন মাত্রায় ছড়াচ্ছে তুরাগ, টঙ্গী খাল, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরীতে। আর এই দূষণ পর্যায়ক্রমে মেঘনা মোহনায় এবং পদ্মাও পৌঁছে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীগুলোকে জীবন্ত সত্তা বিবেচনায় নিয়ে ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন আইন-২০২০’-এর খসড়া তৈরি করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। মূলত দেশের জলাধারগুলোকে দখল-দূষণের হাত থেকে বাঁচাতেই আরো বিধিবিধান দিয়ে এ আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তবে গবেষকসহ সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, নদী রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কেবল শাস্তি দিয়ে বা সরকারের একার পক্ষে নদীগুলোকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব না। এজন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে হবে। তাদের কাছে নদীর উপযোগিতার কথা ব্যাখ্যা করতে হবে। পাশাপাশি দূষণের সঙ্গে জড়িতরা যাতে যথাযথ শাস্তি পায়, তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে নিশ্চিত করতে হবে।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এস এম আলী কবীর এ বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, বুড়িগঙ্গাকে বাঁচাতে, এর পরিবেশ রক্ষায় এবং যাত্রীবাহী নৌযানের বর্জ্য সংরক্ষণের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এর সুফল পাওয়া যাবে। তবে নদীদূষণ রোধে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি জনসচেতনতা সব চেয়ে বেশি জরুরি। নদীর পানিতে বর্জ্য বা যে কোনো ধরনের ময়লা ফেলা অন্যায়। আমাদের দেশের মানুষের মধ্যে এ সচেতনতা এখনো তৈরি হয়নি। এ ধরনের সচেতনতা সবার মধ্যে তৈরি হলে নৌযানগুলোরও নদীতে ময়লা ফেলা বন্ধ হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) এক রিপোর্টে বলছে, নদীপথে সদরঘাট থেকে বরিশাল অঞ্চলে প্রতিদিন ৭ শতাধিক নিবন্ধিত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করছে। এসব যানে প্রতিদিন প্রায় তিন লাখ মানুষ যাতায়াত করে। এদের ত্যাগ করা কমপক্ষে তিন হাজার ঘনমিটার বর্জ্য প্রতিদিন বুড়িগঙ্গাসহ এসব নদীতে সরাসরি ফেলা হচ্ছে। দেশে নিবন্ধিত আরো ২০ হাজার ৮০০ মালবাহী নৌযানেও একই অবস্থা। ময়লা সংরক্ষণ বা ডিসপোজ করার ব্যবস্থা না থাকায় সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নদীতে। এতে নদীর পানি হয়ে উঠছে ব্যবহারের অনুপযোগী। শুধু মানব বর্জ্যই নয়, শিল্পকারখানার বর্জ্য, নগরবাসীর বর্জ্য, দোকানপাটের ময়লা-আবর্জনা এবং নৌযানের সব ধরনের ময়লা-আবর্জনা নির্বিচারে ফেলা হচ্ছে বুড়িগঙ্গাসহ সংশ্লিষ্ট নদীগুলোতে।
বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশে যেভাবে লঞ্চ, জাহাজ বা যে কোনো ধরনের নৌযানের নকশা করা হয় এবং তৈরি করা হয় তাতে কোনো ধরনের সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড বিচার করা হয় না। ফলে এসব নৌযানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থা থাকে না। নদীদূষণ বন্ধ করতে হলে প্রতিটি নৌযানে বর্জ্য ডিসপোজ করার ব্যবস্থা থাকা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
বুড়িগঙ্গা থেকে দক্ষিণাঞ্চল অভিমুখে যে সব নৌযান চলাচল করে সেগুলোতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোনো ব্যবস্থা নেই। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লঞ্চ বা অন্য নৌযান বানানোর আগে যে নকশা করা হয় সেই নকশাতেও এ ধরনের কোনো নির্দেশনা থাকে না। ফলে মানব বর্জ্য সংরক্ষণ এবং অন্য ময়লা ধরে রেখে তা ডিসপোজ করার কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি নৌযানে কিংবা ঘাটে। এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএর এককর্মকর্তা বলেন, বুড়িগঙ্গার দূষণ ঠেকাতে একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। লঞ্চ বা যাত্রীবাহী নৌযানের বর্জ্য ডিসপোজালের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ জন্য সদরঘাট সংলগ্ন এলাকায় সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে একটি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে। এ ছাড়া পরবর্তীতে যেসব লঞ্চ তৈরি করা হবে সেগুলোতে যেন মানব বর্জ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয় সে ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল বলেন, বাংলাদেশের নদীপথে চলাচলকারী কোনো নৌযানই তৈরির সময় এমন ব্যবস্থা রাখা হয় না, যাতে মানব বর্জ্য সংরক্ষণ করা যায়। কিংবা অন্য ময়লা-আবর্জনা ফেলারও কোনো ব্যবস্থা নেই। অথচ বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশে যাত্রীবাহী কি মালবাহী সব নৌযানে সে ব্যবস্থা রয়েছে। তিনি বলেন, নদী দূষণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে। মানুষের একটা ধারণাই সৃষ্টি হয়েছে যে, নদীতেই ময়লা ফেলতে হবে। অথচ আগে কিন্তু এমন ধারণা ছিল না। আগে নদীকে পবিত্র ভাবা হতো। নদী বাঁচাতে না পারলে আমরাও বাঁচব না। জাহাজ মালিকরা শুধু তাদের স্বার্থের কথা ভাবেন কিন্তু নদীর কথা ভাবেন না। এই নদীই যদি না থাকে তাহলে তারা জাহাজ কোথায় চালাবেন এটা ভাবা উচিত। এ ছাড়া নদী রক্ষায় যে আইন আছে তারও সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় সরকার যথেষ্ট উদ্যোগ যেমন নিচ্ছে না তেমনি আমরাও কেউ সচেতন হচ্ছি না। সরকার যদি অতি দ্রুত এসব নদ-নদী ও তার জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উদ্যোগ গ্রহণ না করে তাহলে পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটবে। যেটা আমাদের জন্য ভয়াবহ হুমকি হয়ে র্দাড়াবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন