মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ^ ইজতেমা। ঈমানের রশ্মিতে মানব জীবনকে উদ্ভাসিত করার এক নতুন পয়গাম। হয়তো কারো জন্য অনিশ্চিত জীবনের শেষ বার্তা এটাই। জানা যায় না, কার এক ফোটা চোখের জলে উম্মাহর হেদায়েত লুকিয়ে আছে! ঘুমিয়ে আছে গোটা সাম্রাজ্যের বিজয়। প্রভূ সমীপে হাত তুলে হৃদয়ের সব আকুতি ঢেলে জীবনের ভুলগুলো মার্জনা করার মোক্ষম সময় এটাই। কারণ এ পৃথিবীতে কিছুই থাকবে না, সব শেষ হয়ে যাবে। সন্তান-সন্তুতি কাল কেয়ামতে ¯েœহময়ী মা-কে ছিনবে না। বন্ধু বা জীবন সঙ্গিনী তো দূরের মা-বাবাও ভুলে যাবে আদরের সন্তানকে। সবাই কাল রোজ হাশরে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, ভয়ে কাতর হয়ে যাবে। গলা শুকিয়ে পানির পিপাসা লেগে যাবে। শুধু একজন মানুষ থাকবেন, যিনি নিজেকে নিয়ে ভাববেন না, ভাববেন তার প্রিয় উম্মতকে নিয়ে। যে দিন কারো আবদার কোনো কাজে আসবে না। কেউ কারো সুপারিশ করবে না। সে দিন নিজ হাবীবের সুপারিশ বা আবদার আল্লাহ কবুল করবেন। তিনি দেখবেন এরা তাঁর উম্মত কিনা? শেষ উম্মতের উপর অর্পিত দীনের সুমহান দায়িত্ব তারা আঞ্জাম দিয়েছে কি না? সর্বোপরি তাদের মধ্যে ঈমানের দাওয়াত দেয়ার জযবা এবং প্রেরণা কতটুকু ছিল? সার্বিক দিক থেকে বিবেচনা করে তিনি উম্মতের নাজাতের জন্য সুপারিশ করবেন। কারণ তার সুপারিশ ছাড়া কাউকে জান্নাত দেয়া হবে না।
এজন্য পবিত্র কুরআন বলে দিয়েছে, ‘আমি জি¦ন এবং মানুষকে সৃষ্টি করেছি এক মাত্র আমার ইবাদতের জন্য।’ ইবাদতের প্রথম শর্ত হলো ঈমান। ঈমান ছাড়া যেমন কোনো ইবাদত বা নেক-আমল আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না তেমনি আমল ছাড়াও কেউ আল্লাহর দীন পরিপূর্ণ অন্তকরণ করতে সক্ষম হবে না। আর রাসূলের সুন্নত ছাড়া কেউ উম্মতের কাতারে গণ্য হবে না।
আমলসমূহের মধ্যে দাওয়াতের আমল যার যত মজবুত ও বেশি হবে সে তত সফল ও কামিয়াবী অর্জন করতে পারবে।
-মিযানুর রহমান জামীল
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন