ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকা শহরে বাঙের ছাতার মত মার্কেট, শপিং মল গড়ে উঠেছে। গাড়ি পাকিংয়ের জায়গায় মার্কেট বানিয়ে ভাড়া দেয়া হয়েছে। আর গাড়ি রাস্তায় রেখে যানজট বাড়াচ্ছে। তিনি আরো বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দোকানপাট ও শপিংমলসমূহে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মানতে হবে, অন্যথায় কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। এমনকি স্বাস্থ্যবিধি না মানলে সংশ্লিষ্ট দোকানপাট ও শপিংমল বন্ধ করে দেওয়া হবে। মেয়র বলেন, শিশুদের নিয়ে মার্কেটে যাবেন না। বেঁচে থাকলে জীবনে বহুবার কেনাকাটা করতে পারবেন। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, শিশু সাথে থাকলে সেই ক্রেতাতে দোকানে ঢুকতে দিবেন না।
গতকাল রাজধানীর উত্তরা ৬ নম্বর সেক্টর কমিউনিটি সেন্টার এলাকায় পথশিশু, হতদরিদ্র, রিকশাচালক ও খেটে খাওয়া মানুষের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করতে গিয়ে ডিএনসিসির মেয়র এসব কথা বলেন। মেয়র আতিকুল ইসলামের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘বিডি ক্লিন’ এর মাধ্যমে ডিএনসিসির ৬, ৭, ১৫, ১৭, ১৯, ২০ ও ৩২ নম্বর এই ৭টি ওয়ার্ডের প্রতিটির জন্য ৪ শত প্যাকেট করে সর্বমোট ২ হাজার ৮০০ প্যাকেট ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আজ থেকে প্রতিদিন ৯টি ওয়ার্ডের প্রতিটির জন্য ৪ শত প্যাকেট করে সর্বমোট ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হবে।
ডিএনসিসি মেয়র ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেন, প্রত্যেককে সিটি করপোরেশন থেকে লাইসেন্স ও আইডি কার্ড দেয়া হবে। ফলে ফুটপত কেন্দ্রিক যে চাঁদাবাজি হয় তা আর হবে না। সময় ও সিডিউল করে ফুটপাতে দোকান করতে দেয়া হবে যাতে অসহায় পরিবারগুলো খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির সবগুলো ওয়ার্ডেই ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তিনি আরও বলেন, করোনাকালে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের জন্য সাধারণ ও সংরক্ষিত আসনের ৭২ জন কাউন্সিলরের প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ওয়ার্ড প্রতি ৫০০ জন অসহায়-হতদরিদ্র মানুষকে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণের জন্য ৭২ জন কাউন্সিলরের প্রত্যেককে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন