লাখো মুসল্লির মুখে মুহুর্মুহু উচ্চারিত হয়েছে আমিন! আমিন! ধ্বনি। ‘হে আল্লাহ আমাদের বিগত দিনের গোনাহগুলো মাফ করে দিন। সকল প্রকার গোনাহ ও পাপাচার থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক ঈদের খুশি। গতকাল পবিত্র জুমাতুল বিদার পুণ্যময় দিনে সারা দেশের মসজিদগুলোতে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ এবং করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য নামাজ শেষে মোনাজাতে অগণিত মুসল্লি চোখের পানি ঝরিয়েছেন। দেশ জাতির সুখ-শান্তি উন্নতি এবং মুসলিম উম্মার কল্যাণ সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন সাধারণ মুসল্লিরা। রমজানের শেষ দশকে নাজাত বা জাহান্নাম থেকে মুক্তির সময়ে শেষ শুক্রবারে মুক্তিকামী ধর্মপ্রাণ আপামর জনসাধারণ আশা ও উৎসাহের সঙ্গে মসজিদে যান। রাজধানীসহ সারা দেশের মসজিদগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয়। মহাখালীস্থ মসজিদে গাউছুল আজম কমপ্লেক্সেও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রচুর মুসল্লির সমাগম ঘটে। মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিবরা জুমার বয়ানে মুসল্লিদের উদ্দেশে জুমাতুল বিদার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন।
জুমাতুল বিদাসহ মাহে রমজানের প্রত্যেক জুমাবারে ইবাদত-বন্দেগিতে অধিক সওয়াব লাভের সুযোগ থাকে। পবিত্র কোরআনে জুমার নামাজ জামাতে আদায়ের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে, ‘হে মুমিনরা! জুমার দিনে যখন নামাজের জন্য আহ্বান করা হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর। এটাই তোমাদের জন্য শ্রেয়, যদি তোমরা উপলব্ধি কর।’ (সুরা আল-জুমুআ, আয়াত-৯)।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান আজ জুমার বয়ানে বলেছেন, জুমার পুণ্যময় এ দিনে এমন একটি সময় আছে, যে সময় বান্দার মোনাজাত ও দোয়া আল্লাহ বিশেষভাবে কবুল করেন। জুমার দিনের শ্রেষ্ঠত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘সপ্তাহের সাত দিনের মধ্যে জুমার দিন সর্বাধিক মর্যাদাবান।
রমজানের সর্বোত্তম দিবস হলো জুমাতুল বিদা। এ দিবসটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যমণ্ডিত। রমজানের শেষ দশকে নাজাত বা জাহান্নাম থেকে মুক্তির সময়ে শেষ শুক্রবারে মুক্তিকামী ধর্মপ্রাণ আপামর জনসাধারণ আশা ও উৎসাহের সঙ্গে মসজিদে আসেন। সবাই নামাজ শেষে দুহাত তুলে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করে আমিন! আমিন! ধ্বনির সঙ্গে মুহুর্মুহু উচ্চারিত হয়: ‘আল বিদা ইয়া মাহে রমাদান! আল বিদা;’ ‘আল বিদা আয় মাহে রহমাত! আল বিদা’ ‘আল বিদা হে মাহে মাগফেরাত! আল বিদা’ ‘আল বিদা মাহে নাজাত! আল বিদা।’
রমজানের রোজার শেষে এই ঈদ আসে বলে এর নাম ‘ঈদুল ফিতর’। সুতরাং ঈদুল ফিতর বিশ্ব মুসলিমের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মহাউৎসব। রমজানের বরকত লাভের জন্য ত্যাগ-তিতিক্ষা, কষ্টক্লেশ ও আয়াস সাধ্য সাধনার পর যে মাসটি সাফল্যের বার্তা নিয়ে আসবে, তা অবশ্যই মহান। শাওয়াল মাসের প্রথম দিনই ঈদ উৎসব। এই দিন উপলক্ষে জাকাত বা ‘সদকাতুল ফিতর’ তথা ফিতরা প্রদান করা হয়; যেন সমাজের নিম্নশ্রেণির মানুষ ও ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কবুল করুন। আমিন!
ঢাকার বাংলা মটরস্থ বাইতুল মোবারক জামে মসজিদের অনারারী খতিব অধ্যাপক মাওলানা ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ আজ জুমার বয়ানে বলেন, নানা কারণে জুমআতুল বিদ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
মহিমান্বিত রমজানের শ্রেষ্ঠত্বের অন্যতম কারণ কদর রজনী। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, এ মাসে একটি রাত আছে যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। যে ব্যক্তি এ রাতের কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো, সে অবশ্যই প্রত্যেক কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। (নাসায়ী, হাদিস নং-২১০৭) পবিত্র কোরআনেও কদর রজনীকে হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এ ঘোষণার মাঝেই এ রাতে নেক আমলকারীর জন্য অত্যাধিক সাওয়াব লাভ ও মহাপুরস্কার প্রাপ্তির কথাও নিহিত রয়েছে। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াবের আশায় কদর রজনীতে দণ্ডায়মান থাকবে (ইবাদাতে লিপ্ত হয়) তার আগের গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (বোখারি, হাদীস-১৯০১)।
উবাই ইবনে কাআব (রা.) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি অবশ্যই সে রাতটিকে (কদর) জানি যে রাতটিতে কিয়াম করার (নফল সালাত) কথা আমাদের রাসুলুল্লাহ (সা.) নির্দেশ দিয়েছিলেন, তা হলো রমজানের ২৭তম রাত। (মুসলিম, ২৬৬৮) এই মহাপুণ্যময় কদর রজনী নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, দরুদ শরিফ পাঠ, তওবা-ইস্তেগফার, দোয়া-মোনাজাত, মহান আল্লাহর জিকির ও তাসবিহ পাঠ ইদ্যাদি নেক আমল করার মাধ্যমে অতিবাহিত করা যেতে পারে।
খতিব বলেন, ঈদ মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে সিয়াম পালনকারী মুসলিমের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। ঈদের সালাত আদায়ের আগে আবশ্যক কর্তব্য হচ্ছেÑ সাদকাতুল ফিতর আদায়। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসে স্বাধীন, গোলাম, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের ওপর সাদকাতুল ফিতর ফরজ করা হয়েছে। (বোখারি, হাদিস-১৫০৩)।
আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন সমাজের প্রতিটি মানুষের কাছেই ঈদের খুশি পৌঁছে যায়। পথশিশু, দিনমজুর, গরিব, দুঃখী, অসহায় কেউ যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হয়। এ ব্যাপারে আমাদের সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজন কেউ যদি অভাবে থাকে, তার অভাব পূরণের আমাদের চেষ্টা করতে হবে। ঈদের দিনে সবাই যেন আনন্দচিত্তে এ দিনটি উদযাপন করতে পারে, সে ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। মহান আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, যাবতীয় বিপদাপদ থেকে রক্ষা করুন। আমিন!
দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা রেজাউল করিম বলেন, আল্লাহ তায়ালা রমজান দিয়েছিলেন গোনাহমাফের জন্য, জান্নাত অর্জনের জন্য, জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য। আমাদের সামনে সব থেকে বড় আমল লাইলাতুল কদর তালাশ করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি শবেকদরে আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রেখে সওয়াবের আশায় ইবাদত করে, তার আগের সমস্ত গোনাহমাফ করে দেয়া হয়। আরেকটি আমল সদকাতুল ফিতর আদায় করা। রাসুল (সা.) বলেছেন, রমজানের পরে শাওয়াল মাসের ছয়টি রোজা রাখা উত্তম। যারা রমজানের রোজা রাখে এরপরে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখে। তাদের সারা বৎসর রোজা রাখার সওয়াব হয়।
ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান সেন্ট্রাল জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী জুমার খুৎবা পূর্ব বয়ানে বলেন, আজ রমজান মাসের সর্বোত্তম দিন পবিত্র জুমাতুল বিদা ও ঐতিহাসিক আল-কুদস দিবস। এদিনে এমন একটি সময় আছে যে সময় মোমিন বান্দার মোনাজাত ও ইবাদত আল্লাহ বিশেষভাবে কবুল করেন। রমজানের শেষ শুক্রবার তথা জুমাতুল বিদার বিশেষ একটি তাৎপর্য এই যে, এদিনে আল্লাহর নবী হজরত সুলায়মান (আ.) জেরুজালেম নগর প্রতিষ্ঠা করে আল্লাহর মহিমা তুলে ধরতে সেখানে মুসলমানদের প্রথম কিবলা ‘মসজিদুল আকসা’ পুনর্নির্মাণ করেন। মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববির পর তৃতীয় পবিত্রতম স্থান হচ্ছে- মসজিদুল আকসা বা বায়তুল মোকাদ্দাস। রাসুলুল্লাহ (সা.) যে তিনটি মসজিদের উদ্দেশ্যে সফরকে বিশেষভাবে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন, এর অন্যতম হচ্ছে- বায়তুল মোকাদ্দাস। ইসলামের ইতিহাসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সঙ্গে এর সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। ১৯৭৯ সাল থেকে প্র্রতি বছর এদিনে সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বায়তুল মোকাদ্দাসে ইহুদিদের অবৈধ দখল দারিত্বের বিরুদ্ধে ঘৃণা প্রকাশ করেন এবং ইহুদি রাষ্ট্র ইসরাইলের কবল থেকে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র ও বাইতুল মোকাদ্দাসকে মুক্ত করার জন্য নতুন শপথগ্রহণ করে থাকেন। তাই মাহে রমজানের ‘জুমাতুল বিদা’ তথা শেষ শুক্রবারকে আল-কুদস দিবসও বলা হয়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সামনে লাইলাতুল কদরের সম্ভাবনাময় মাত্র তিন রাত বাকি আছে। পঁচিশ, সাতাশ ও উনত্রিশতম রাত। এ রাতগুলো বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে কাটানো দরকার। লাইলাতুল কদরের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো, এ গৌরবময় রজনীতে মানবজাতির পথপ্রদর্শক ও মুক্তির ঐশীগ্রন্থ ‘আল-কোরআন’ অবতীর্ণ হয়েছে। সুতরাং কদরের সম্ভাবনাময় রাতে তারাবি-তাহাজ্জুদসহ অধিক পরিমাণে নফল নামাজ, কোরআন তেলাওয়াত, একাগ্রচিত্তে দোয়া-দুরুদ, তাসবিহ-তাহলিল এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে অতীত পাপমোচনে বিনীতভাবে ক্ষমা প্রার্থনার জন্য পরিবার-পরিজনসহ সবার উদ্বুদ্ধ হওয়া উচিত। আল্লাহ সবাইকে কবুল করুন। আমিন!
চট্টগ্রাম ব্যুরো জানায়, বারো আউলিয়ার চট্টগ্রামে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমাকে ঘিরে এক ভাবগম্ভীর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। মাসজুড়ে রোজা আর ইবাদত বন্দেগির মধ্যে পবিত্র এই মাসকে বিদায় জানাতে মুসল্লিরা হাজির হন মসজিদে। আজানের আগেই প্রতিটি মসজিদ কানায় কানায় ভরে যায়। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পবিত্র জুমার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। উপচে পড়া মুসল্লির ভিড়ে জুমার জামাত মসজিদ ছাড়িয়ে আশপাশের সড়ক ও খোলা মাঠ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। কয়েকটি এলাকায় মসজিদের সামনের সড়কে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে দেখা যায়। এসময় ওইসব সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ঐতিহাসিক আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, লালদীঘি জামে মসজিদ, জমিয়াতুল ফালাহ, এনায়েত বাজার শাহী জামে মসজিদ, বায়তুশ শরফ জামে মসজিদ, চন্দনপুরা তাজ মসজিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদসহ বন্দর নগরী ও আশপাশের সব মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, বরিশাল মহাগরীর চকবাজার জামে এবাদুল্লাহ মছজিদে নামাজ শেষে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে করোনাভাইরাস সহ সবধরনের বালা মুসিবত থেকে মহান আল্লাহ রাবাবুল আল-আমীনের রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মছজিদের খতিব আলহাজ হজরত মাওলানা মির্জা নুরুর রহমান বেগ ছাহেব নামাজে ইমামতি ও মিলাদ শেষে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। দক্ষিণাঞ্চলে সবচেয়ে বড় জামাত অনুষ্ঠিত হয় ফরিদপুরের বিশ^ জাকের মঞ্জিলে। দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থায় মুসল্লিরা এ জামাতে অংশ নেন। জুমার নামাজ শেষে মিলাদ ও দোয়াসহ বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের পীর ছাহেব হজরত মাওলানা শাহ সুফি সৈয়দ খাজাবাবা ফরিদপুরী এর রওজা শরিফ জিয়ারতেও জাকেরান-আশেকান সহ মুসল্লিয়ানরা অংশ নেন।
বগুড়া ব্যুরো জানায়, বগুড়ার মহাস্থান মাহী সাওয়ার (রহঃ) এর মসজিদ, বগুড়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বগুড়া জামিল মাদরাসা মসজিদ, নিশিন্দারা কারবালা মসজিদ ও বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে সবচেয়ে বড় বড় জুম্মাহর জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সম্মানিত খতিবরা তাদের মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহ তথা সারাজাহানের মানুষের কল্যাণ কামনা এবং আসমান ও জমিনের বালা দুর করার জন্য আল্লাহর কাছে রোনাজারি করেন।
খুলনা ব্যুরো জানায়, নগরীর টাউন হল মসজিদ, খুলনা আলিয়া মাদ্রাসা জামে মসজিদ, নিরালা কবরস্থান জামে মসজিদ, ইসলামাবাদ জামে মসজিদ, ডাক-বাংলা জামে মসজিদ, নিউমার্কেট বায়তূন নূর জামে মসজিদসহ পাড়া মহল্লার মসজিদগুলোতেও মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। অনেক মসজিদের ভিতরে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় মসজিদ সংলগ্ন সড়কে জায়নামাজ বিছিয়ে কাতারবন্দি হয়ে নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
জুমার নামাজের আগে প্রতিটি মসজিদে জুমাতুল বিদার তাৎপর্য নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়। নামাজ শেষে করোনাভাইরাস থেকে দ্রুত মুক্তি (শেফা) চেয়ে আল্লাহর কাছে বিশেষ দোয়া করা হয়। তাছাড়া, মুসলিম উম্মাহর শান্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় বিশেষ মোনাজাত করেন মসজিদের খতিবরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন