গোয়ালন্দ উপজেলা সংবাদদাতা : দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দৌলতদিয়া ঘাটে কর্মমুখী মানুষকে বয়ে আনা যানবাহনের চাপ বাড়তে শুরু করে। এতে দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় দুপুরের পর থেকে নদীপারের অপেক্ষায় আটকা পড়া বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকারের সারি দীর্ঘ হতে থাকে।
এই জরুরী সময় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া রুটে চলাচলকারী ১৯টি ফেরির মধ্যে ৩টি রোরো (বড়) ফেরি তীব্র ¯্রােতের কারণে চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া ইউটিলিটি ফেরি মধবীলতা যান্ত্রিক ত্রুটিতে বিকল হয়ে মেরামতে আছে। অপরদিকে দৌলতদিয়া ঘাটের চারটি ফেরি ঘাটের মধ্যে ২নং ঘাটটি নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে বন্ধ আছে। অপর তিনটি ফেরি ঘাট চালু আছে। এক দিকে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ অপরদিকে ঘাট পন্টুন ও ফেরি সংকটের কারণে দৌলতদিয়া শুক্রবার দুপুর নাগাদ ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে মহাসড়কের বাংলাদেশ হ্যাচারিচ পর্যন্ত অন্তত ৪ কিলোমিটারজুড়ে সৃষ্টি হয় গাড়ির দীর্ঘ সারি। দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে আটকে থাকা সাধারণ বাসযাত্রীরা এসময় চরম দুর্ভোগ পোহান।
অপরদিকে বাইপাস সড়কে নদী পারের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে আছে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাস। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে বাড়ছে যানবাহনের চাপ।
আটকেপড়া দূরপাল্লার বিভিন্ন পরিবহনে যাত্রীরা জানান দীর্ঘ সময় নদী পাড়ের অপেক্ষায় মহাসড়কে সিরিয়ালে আটকে আছে। তাদের গাড়ি কখন ফেরির নাগাল পাবে তা তারা বলতে পারছেন না। এদিকে দীর্ঘ সময় সিরিয়ালে আটকে থাকায় সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ সময় সবচেয়ে বেশী দুর্ভোগ পোহান নারী ও শিশু যাত্রীরা।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির পিপিএম জানান, শুক্রবার সকাল থেকে যানবাহনের চাপ কমথাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বারতে থাকে গাড়ির চাপ। তবে সকলে যাতে নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরতে পারে সে জন্য রাজবাড়ীর ট্রাফিক ব্যাবস্থা জোরদ্বার করা হয়েছে। নদীপাড়ের অপেক্ষায় সিরিয়ালে আটকে থাকা যানবাহন দ্রুত নদী পাড় করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন
বর্তমান এই নৌরুটে মোট ১৫টি ফেরি সার্বিক্ষণিকভাবে সচল রয়েছে। তীব্র ¯্রােতে বড় তিনটি ফেরি চলাচল করতে না পারায় সিরিয়ালে কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন