ইনকিলাব ডেস্ক : সাবেক স্ত্রী ওয়েন্ডি দেং ও টনি ব্লেয়ারের মধ্যে সম্পর্কেও কথা গৃহকর্মীর মাধ্যমে জানার পর রুপার্ট মারডক বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন বলে এ ধনকুবেরের মালিকানাধীন দৈনিক পত্রিকার দীর্ঘদিনের সম্পাদক তার স্মৃতিকথায় জানিয়েছেন। খবর দি টেলিগ্রাফ।
দি অস্ট্রেলিয়ান-এর সাবেক সম্পাদক ক্রিস মিচেল তার নতুন প্রকাশিত স্মৃতিকথায় বলেছেন যে তার তৃতীয় স্ত্রী ও সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ঘনিষ্ঠতার কথা জানার পর মারডক প্রচ- কষ্টে মুষড়ে পড়েন।
মিচেল লিখেছেন, ওয়েন্ডির সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদের পর প্রথম কয়েক মাস তিনি স্পষ্টতই একা হয়ে পড়েছিলেন। তাকে রাতে ঘুমের জন্য লড়াই করতে হত।
তিনি আগের চেয়ে বেশি কথা বলতে শুরু করেছিলেন। ঘুমের সমস্যার কথা তিনি খোলাখুলি বলতেন। ওয়েন্ডি ও টনি ব্লেয়ারের মধ্যে যা ঘটেছিল তা তাকে আহত করেছিল।
তিনি বলেন, এটা সুস্পষ্ট যে আমার বস তার স্ত্রী ও সাবেক বন্ধুর মধ্যে ঘনিষ্ঠতা দেখে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। আমি বিষয়টি জানতে চাইনি, তবে পরিষ্কার যে তার গৃহকর্মীর মাধ্যমে সতর্কবাণী পেয়ে তার অস্ট্রেলীয় পরিবার তিনি যখন শহরের বাইরে থাকতেন তখন কি ঘটত সে ব্যাপারে তাকে জানান।
২০১৪ সালে মারডক ফরচুন সাময়িকীকে বলেন, তিনি প্রথম যখন তার স্ত্রী ওয়েন্ডির ডায়রির লেখা পড়েন তখন দেখতে পান যে তিনি ব্লেয়ারের প্রতি তার উষ্ণ অনুভূতির কথা বলেছেন যা তার কাছে ছিল প্রচ- আঘাত। ২০১২ সালের অক্টোবরে ও ২০১৩ সালের এপ্রিলে রুপার্ট মারডক যখন বাইরে ছিলেন তখন ব্লেয়ার ওয়েন্ডির সাথে তার ক্যালিফোর্নিয়া র্যাঞ্চে ছিলেন।
মারডক ফরচুনকে বলেন, আমি অস্ট্রেলিয়ায় ছিলাম। যখন ফিরে এলাম, স্বাভাবিক ভাবেই গৃহকর্মীকে জিজ্ঞেস করলাম এবং ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ল। তার এক সপ্তাহ পর যত দ্রুত সম্ভব আমি একজন আইনজীবী খুঁজে বের করি।
ব্লেয়ার ওয়েন্ডির সাথে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা জোরের সাথে অস্বীকার করেন। তারা তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আলোচনা করতে অসম্মতি জানান। মারডক বিয়ের ১৪ বছর পর ২০১৩ সালে তার দু’শিশু সন্তানের মা ওয়েন্ডির বিরুদ্ধে বিবাহ-বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেন।
দি ইকোনোমিস্টের সাথে ২০১৪ সালে এক সাক্ষাতকারে কথিত সম্পর্কের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে ব্লেয়ার ঘামতে শুরু করেন বলে খবরে বলা হয় এবং তিনি কোনো অশোভন কাজ করার কথা অস্বীকার করেন। এ সময় তার পিরিচের উপর কাপ থেকে কফি ছলকে পড়ে যার ফলে কক্ষের অন্যরা লাফিয়ে উঠে সরে যান।
গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত স্মৃতিকথার অংশবিশেষে দেখা যায়, মিচেল লিখেছেন যে ৮৫ বছর বয়স্ক ধনকুবের কথিত অভিযোগের কারণে তাদের সম্পর্ক তিক্ত হওয়ার আগে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আর্থিক ও রাজনৈতিক ভাবে উদার ছিলেন।
মিচেলের মতে, মারডক এখন তার চতুর্থ স্ত্রী জেরি হলের সাথে বিবাহ সুখ উপভোগ করছেন।
মিচেলের স্মৃতিকথা বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেন, মারডক একজন প্রেমময় পিতা ও স্বামী। তিনি বামপন্থী মিডিয়ার পছন্দের লোক। তিনি আরো লিখেছেন, ফ্লিট স্ট্রিটে নতুন পাত্রীকে বিয়ে করার মধ্যে অতিরিক্ত লাভের ব্যাপার আছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন