কর্পোরেট রিপোর্টার : ব্যবসায়িক আস্থার ঘাটতির পাশাপাশি রফতানি ও প্রবাসী আয়ের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির সার্বিক ভারসাম্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। একই সঙ্গে বৈদেশিক বিনিয়োগে পরিলক্ষিত ক্রমহ্রাসমান প্রবণতা ও উৎপাদন শিল্পে কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির অভাব অর্থনীতির বহিঃখাতের সার্বিক কার্যক্ষমতার ওপর প্রতিক‚ল প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে ‘উন্নয়ন অন্বেষণ’। স্বাধীন গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নিয়মিত প্রকাশনা ‘বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পর্যালোচনা’-এর আগস্ট সংখ্যায় এ কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বাজার সম্প্রসারণ ও পণ্যে বৈচিত্র্যের অভাবে রফতানিতে তৈরি পোশাক খাতের ওপর ক্রমবর্ধমান নির্ভরতা বহিঃখাতের সার্বিক কর্মদক্ষতাকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে পারে। সাম্প্রতিক সময়ে আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার নিম্ন প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিতে নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টির অভাব ও উৎপাদন সক্ষমতার ঘাটতিকে নির্দেশ করে। এতে বেকারত্ব ও অপর্যাপ্ত বেসরকারি বিনিয়োগের ফলে সৃষ্ট কাঠামোগত অনড় অবস্থা আরো তীব্রতর হয়ে উঠতে পারে। প্রকাশনায় জানানো হয়, গত জুলাইয়ে দেশে রফতানি আয় ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রফতানি আয় হয়েছে ২৫৩ কোটি ৪৩ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে ২৬২ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার রফতানি আয় হয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে গত জুলাইয়ে রফতানি আয় ২৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি আরো জানিয়েছে, বর্তমান অর্থবছরের শুরুতে রফতানি আয়ের ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধির কারণে জুলাইয়ে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত কমে ৩১ কোটি ৮০ লাখ ডলারে নেমে এসেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাইয়ে চলতি হিসাবের উদ্বৃত্ত ছিল ১০২ কোটি ১০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পর্যালোচনায় জানানো হয়, এক বছরের ব্যবধানে গত জুলাইয়ে দেশে রেমিট্যান্স আসা কমেছে ২৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে ১০০ কোটি ৫৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার আয় দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রকাশনায় আরো জানানো হয়, সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোয় বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কারণে দেশে রেমিট্যান্স আসা আরো কমতে পারে। এতে বহিঃখাতের ভারসাম্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, দেশে সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহ অসন্তোষজনক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন