কর্পোরেট রিপোর্টার : দীর্ঘ বন্ধের কবলে পড়ে স্থবিরতা বিরাজ করছে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যে। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সবগুলো সরকারি অফিস এখন বন্ধ। তবে চট্টগ্রাম বন্দর পণ্য ওঠানামা স্বাভাবিক রাখতে শুধুমাত্র ঈদের দিন ১২ ঘণ্টা বন্ধ ছিল। কিন্তু কাস্টমস, সিএন্ডএফসহ অন্যান্য অংশীদাররা সরকারি বন্ধে ছুটিতে যাওয়ায় বন্দর চালু রেখেও তা কোনো কাজে আসছে না।
এ অবস্থায় চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজের পাশাপাশি কন্টেইনার জট ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা। এমনিতেই অন্তত চার মাস ধরে কন্টেইনার এবং জাহাজ জট থেকে মুক্তি পাচ্ছে না চট্টগ্রাম বন্দর। বাজেট এবং ঈদের আগে আমদানির পরিমাণ বেড়ে যায় কয়েকগুণ। গত ঈদের আগে শ্রমিকদের টানা ধর্মঘট, এরপর ঈদের নয় দিনের বন্ধ। সব মিলিয়ে দেখা দেয় মারাত্মক জাহাজ এবং কন্টেইনার জট। সে জট কাটতে-না কাটতেই কোরবানির ঈদের আগে আবারো শ্রমিকদের পাঁচ দিনের ধর্মঘট। এখন তার সাথে যুক্ত হয়েছে ঈদের সাত দিনের বন্ধ। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রাম বন্দরে দেশি-বিদেশি জাহাজ অবস্থান করছে ১১৩টি। এরমধ্যে বন্দরের প্রধান জেটিতে ১৬টি জাহাজের অবস্থান থাকলেও বহির্নোঙ্গরে রয়েছে ৯০টি জাহাজ। এছাড়া কন্টেইনার রয়েছে ৩৩ হাজারের বেশি। চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রমকে স্বাভাবিক রাখতে বন্দর কর্তৃপক্ষ, কাস্টমস, ব্যাংক, সিএন্ডএফ এজেন্ট, শিপিং লাইন, বার্থ অপারেটরসহ অন্তত ১০টি পক্ষের কার্যকর ভ‚মিকা দরকার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন