আল আকসা শুধু ফিলিস্তিনবাসীদের নয়, বরং গোটা বিশ্বের সকল মুসলমানদের ঈমান ও রক্তের সাথে সম্পর্কিত একটি পবিত্র ভূমি। পবিত্র রমজান মাসে মসজিদে আকসায় নামাজরত মুসল্লিদের উপর ইসরায়েলী দখলদার হায়েনাদের নির্মম হামলায় আজ মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। ইসরায়েলী সৈন্যরা মুসলমানদের উপর নির্বিচারে বৃষ্টির মতো গুলি, বোমা হামলা, বিমান হামলা আজ ফিলিস্তিনবাসীদের মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে।

বাংলাদেশ জমিয়তে তালাবায়ে আরাবিয়ার কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ও প্রধান সম্পাদক মুহাম্মদ আহসান হাবীব এহেন নেক্কার জনক কর্মকাÐের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিবৃতিদে তিনি বলেন, দখলদার ইসরায়েলী বাহিনী বার বার ফিলিস্তিনিদের উপর এবং মুসলমানদের প্রথম কেবলা বাইতুল মুকাদ্দাস এর উপর হামলা করেছে। পবিত্র রমজান মাসেও তাদের হাত থেকে এ পূর্ণ ভ‚মি নিরাপদ নয়। তাদের এ বর্বরতা চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ইসরায়েল যে আগুন নিয়ে খেলা করছে, সে আগুনে নিজেরাই সমূলে ভস্মীভূত হবে ইনশাআল্লাহ। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, মুসলমানদের বিজয় সুনিশ্চিত ইনশাআল্লাহ। নেতৃদ্বয় ইসরায়েলের উপর্যপুরি ঔদ্ধত্য কর্মকাÐের বিরুদ্ধে ওআইসি, জাতিসংঘ এবং সারা বিশ্বের মুসলিম নেতাদের জোড়ালো পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবি জানান। ইসরায়েলী বাহিনীর বর্বর নির্যাতন পৃথিবীর কোনো ধর্মই সমর্থন করেনা। এ নিষ্ঠুর আচরণ অনতিবিলম্বে বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। তা না হলে বিশ্ব শান্তি বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে; প্রস্তুত থাকতে হবে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের। নেতৃদ্বয় মুসলিম নেতাদের ঐক্যের আহŸান জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যা যা করা দরকার সময়ক্ষেপণ না করে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। প্রয়োজনে মুসলিম সেনাবাহিনী গঠন করে হলেও আল আকসা পুনরুদ্ধারের জন্য জোড়ালো ব্যবস্থাগ্রহণ করুন। নেতৃত্বদয়, দেশবাসীসহ গোটা মুসলমানদেরকে ইসরায়েলী সকল পণ্য বর্জন করার জন্য অনুরোধ করেন এবং কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ফিলিস্তিনবাসীদের সর্বাত্মক সহযোগীতা করার আহŸান করেন।