কর্পোরেট ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভের (ফেড) নীতিনির্ধারণী সভা সামনে রেখে স্বর্ণের বাজার নিম্নমুখী হয়ে উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার স্বর্ণের দর দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্নে চলে এসেছে। আগামী সপ্তাহে ফেডের এ সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে স্বর্ণের দাম কমেছে প্রায় ১ শতাংশ। এদিন প্রতি আউন্স স্বর্ণ ১ হাজার ৩০৯ দশমিক ২৯ ডলারে বিক্রি হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি-সংক্রান্ত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত মাসে দেশটিতে প্রত্যাশার চেয়ে স্বর্ণের খুচরা বিক্রি কমেছে। গত সপ্তাহে দেশটিতে বেকার ভাতা গ্রহণকারী নাগরিকের সংখ্যা যতটা বাড়বে বলে ধারণা করা হয়েছিল ততটা বাড়েনি। এ প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ২০-২১ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় সভায় ফেড সুদহার বাড়ানোর ঘোষণা দিতে পারে বলে বিনিয়োগকারীদের ধারণা। তবে কেউ কেউ বলছেন, ডিসেম্বর নাগাদ সুদহার বাড়ানো হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে ইটিএফ সিকিউরিটিজের বিশেষজ্ঞ মার্টিন আর্নল্ড জানিয়েছেন, সুদহার বাড়ানোর ব্যাপারে ফেডের অনীহা স্বর্ণের বাজারের জন্য মঙ্গলজনক। কিন্তু ডিসেম্বর নাগাদ সুদহার সামান্য পরিমাণ বাড়ানো হলে তা স্বল্পমেয়াদের জন্য স্বর্ণের বাজারকে দুর্বল করে তুলবে। এখন পর্যন্ত আগামী সপ্তাহে ফেডের সুদহার বাড়ানোর সম্ভাবনা ক্ষীণ। কিন্তু সংস্থাটির পরবর্তী সভা-সংক্রান্ত বিবৃতিতে ডিসেম্বর নাগাদ সুদহার বাড়ানোর ইঙ্গিত থাকতে পারে। এতে ডলারের দাম বাড়তে পারে। গত বৃহস্পতিবার ছয়টি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে ডলারের দাম দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। এতে অন্যান্য মুদ্রা ব্যবহারকারীদের জন্য স্বর্ণ ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। শিকাগোভিত্তিক আরজেও ফিউচার্সের বাজার বিশেষজ্ঞ এলি টেসফ্যায়ি মনে করেন, ভারতে বিয়ে ও অন্যান্য মৌসুমি চাহিদার কারণ স্বর্ণের দাম কমার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে কমার্জব্যাংকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আগামীতে স্বল্পমেয়াদে হলেও স্বর্ণের বাজার চাপে থাকবে। এদিকে মধ্য শারদীয় উত্সব উপলক্ষে চীনের বাজার রোববার থেকে বন্ধ হয়ে যাবে। এ কারণে বিশ্বের শীর্ষ ভোক্তা দেশটিতে স্বর্ণের ব্যবহার কমে আসবে। ভারতেও স্বর্ণ আমদানি কমেছে। টানা সাত মাস দেশটিতে মূল্যবান ধাতুটির আমদানি কমতির দিকে রয়েছে। বৃহস্পতিবার স্পট মার্কেটে অন্যান্য মূল্যবান ধাতুর মধ্যে রুপার দাম দশমিক ১ শতাংশ কমেছে। এদিন পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১৮ দশমিক ৯৪ ডলারে বিক্রি হয়েছে। প্লাটিনামের দাম কমেছে দশমিক ১ শতাংশ। এদিন পণ্যটি আউন্সপ্রতি ১ হাজার ৩১ দশমিক ১০ ডলারে লেনদেন হয়েছে। দাম বেড়েছে প্যালাডিয়ামের। গত বৃহস্পতিবার প্রতি আউন্স প্যালাডিয়াম ৬৫৪ দশমিক ৫০ ডলারে বিক্রি হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন