ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের এক প্রকৌশলীকে মারধর করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় অস্ত্রধারী দুর্বৃত্তরা ২৫ নং গ্যাস কূপ খনন বন্ধ করে দেয়। ঘটনার পর পর কর্মরত বিদেশী শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে অন্যত্র পালিয়ে যায়। গত রোববার রাত ৮টায় একদল দুর্বৃত্ত ৪০টি মোটরসাইকেলে কমপক্ষে ৮০/৯০ জন সশস্ত্র যুবক সদর উপজেলার শহরতলীর বুধলগ্রামের তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের ২৫ ও ২৬ নং কূপ এলাকার নিরাপত্তা বেষ্টনী টপকে ভিতরে প্রবেশ করে নিরাপত্তা কর্মী তৈয়বুর রহমানকে বেধড়ক মারধর করে।
পরে মূল ফটক খুলে ফেলে। দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র অবস্থায় কূপ খনন এলাকায় প্রবেশ করে কূপের খনন কাজ বন্ধ করে দেয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মী জানান, দুর্বৃত্তরা প্রকৌশলী জাহিদ হোসেনকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। ওই কূপ খনন কাজের সাথে জড়িত ঠিকাদারদের নাম-পরিচয় জানতে চায়। পরিচয় না বলায় তাকে কয়েকজন দুর্বৃত্ত শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করতে করতে অনেক দূর পর্যন্ত নিয়ে যায়। ওই সময় ২৫ নং গ্যাস কূপে চীনা, অস্ট্রেলিয়ান ও আমেরিকার শ্রমিকরা খনন কাজ করছিল। অস্ত্র দেখে ও হামলায় বিদেশী শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে পালিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেয়। এ ঘটনায় অন্তত আধাঘণ্টা তিতাস গ্যাস ক্ষেত্রের খনন কাজ বন্ধ থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব, এনএসআই, ডিজিএফআইসহ আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ পুনরায় খনন কাজ শুরু হয়। বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডের সিনিয়র কর্মকর্তারা ঘটনাস্থালে পৌঁছে বিদেশী শ্রমিকদের কাজে যোগদানের ব্যবস্থা করে। বিজিএফসিএল’র পক্ষ থেকে ৬০/৭০ জন অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তের বিরুদ্ধ গতকাল (সোমবার) সদর থানায় মামলা হয়েছে। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মইনুর রহমান বলেন, অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে গ্যাস ফিল্ড থেকে অভিযোগ দিয়েছে। বিজিএফসিএল’র প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা (জিএম নিরাপত্তা) জুলফিকার আলী আনসারী বলেন, ঘটনার সময় সশস্ত্র আনসার মোতায়েন ছিল। তাদের লোকসংখ্যা বেশি হওয়ায় আনসাররা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা। ঘটনার পর থেকে বিদেশী শ্রমিকরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা এবং আতংকে রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্বীকার করেছেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন