শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চীনের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর

মধুখালী-কামারখালী-মাগুরা নতুন রেল লাইন নির্মাণ

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

১২০২ কোটি ৪৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত হতে যাচ্ছে মধুখালী থেকে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯০ কিলোমিটার রেল লাইন। ফরিদপুর ও মাগুরার মধ্যে এই প্রকল্পের অবস্থান। এই নতুন রেল লাইন নির্মাণের লক্ষ্যে গতকাল রোববার রেলভবনে এক চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুক্তিতে প্রকল্পের পরিচালক মো. আসাদুল হক এবং চীনের দুই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষে লউ জুয়ে বিং এবং ট্যাং শিওজিন স্বাক্ষর করেন।

রেলওয়ে সূত্র জানায়, কামারখালী ও মাগুরা স্টেশন ইয়ার্ডে ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার লুপ লাইন নির্মাণ করা হবে। এছাড়াও কামারখালী ও মাগুরাতে দুটি নতুন স্টেশন নির্মাণ করা হবে। এতে ২৮টি মাইনর ব্রীজ ও কালভার্ট নির্মাণ করতে হবে। এই প্রকল্পটি মাগুরা জেলাকে বিদ্যমান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত করবে। আবার দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে বাস্তবায়নাধীন পদ্মাসেতুর মাধ্যমে ঢাকার সঙ্গে রেল সংযোগ স্থাপন হবে।

চুক্তি অনুযায়ী, প্যাকেজ ডব্লিউডি-১ এর কাজ করবে চীনের সিসিইসি-সিসিসিএল জেভি। এর চুক্তিমূল্য ৪৩৩ কোটি ৭৮ লাখ ৩২ হাজার ৯০৮ টাকা। আর প্যাকেজ ডব্লিউডি-২ এর কাজ করবে সিআরসিসি-এমএএইচএল জেভি। এর চুক্তিমূল্য ৪৪৮ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৯৭৫ টাকা। সুপারভিশন পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করবে ডেভেলপমেন্ট ডিজাইন কনসালটেন্ট (ডিডিসি)। এতে ব্যয় হবে ২৭ কোটি ৭ লাখ টাকা।

প্রকল্পের ট্র্যাক নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ওসিআরইসি-সিসিসিএল জেভি ও সেতু নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ও সিআরসিসি-এমএএইচএল জেভি’র মধ্যে এ চুক্তি অনুষ্ঠিত হয়। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে, এক হাজার ২০২ কোটি ৪৯ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। প্রকল্পের মূল কাজ হচ্ছে, মধুখালী হতে কামারখালী হয়ে মাগুরা শহর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৯০ কিলেমিটার মেইন লাইন; কামারখালী ও মাগুরা স্টেশন ইয়ার্ডে ৪ দশমিক ৯ কিলোমিটার লুপ লাইন; দুটি নতুন স্টেশন (কামারখালী ও মাগুরা); ২টি নতুন স্টেশন প্লাটফর্ম (কামারখালী ও মাগুরা); ২টি নতুন প্লাটফর্ম সেড (কামারখালী ও মাগুরা); একটি আন্ডারপাস, ২টি মেজর সেতু; ১৬৮৩ মিটার ভায়াডাক্ট; ১৩০ একর ভূমি অধিগ্রহণ এবং ২৮টি মাইনর ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ করা। এছাড়া প্রকল্পের সিগন্যালিং ও ইলেকট্রিক্যাল কাজ হবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, একটি দেশের সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা ছাড়া সুষম উন্নয়ন সম্ভব নয়। রেলওয়ে এক সময় অবহেলিত ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রেলকে গুরুত্ব দিয়ে ২০১১ সালে আলাদা মন্ত্রণালয় করে দিয়েছেন। রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, রেলওয়েতে চলমান পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, যমুনা নদীর উপর আলাদা বঙ্গবন্ধু রেল সেতু নির্মাণ, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেল লাইন নির্মাণ যেটি ২০২২ সালে চালু হবে, মোংলা পোর্টে রেল সংযোগসহ রেলওয়েতে এখন অনেক প্রকল্প চলমান আছে।

অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. সাইফুজ্জামান শিখর, যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা ও রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন