রাষ্ট্র কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার জন্য নবনিয়োগপ্রাপ্ত প্রকৌশলীদের নির্দেশ দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। কর্তব্য পালনে অবহেলা মেনে নেয়া হবে না বলেও জানান মন্ত্রী ।
গতকাল সোমবার রাজধানীর আগারগাঁও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর-এলজিইডিতে নবনিয়োগ প্রাপ্ত ২৬০ জন সহকারী প্রকৌশলীদের যোগদানের পর ওরিয়েন্টেশনের উদ্বধোনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতি¦ করেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান।
তাজুল ইসলাম বলেন, এলজিইডির মাঠ পর্যায়ের প্রকৌশলীদের মানসম্মত কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে। আমরা যদি আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করি তাহলে ২০৪১ সালের পূর্বেই উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলে অসংখ্য শিল্প-কলকারখানা গড়ে উঠবে এতে করে দেশের জিডিপি এক শতাংশ বৃদ্ধি পাবে। দেশে একশো টি ইকনোমিক জোন করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন এসবের কারণে দেশে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড অনেকগুণ বৃদ্ধি পয়েছে। লক্ষ্যে পৌঁছানো সময়ের অপেক্ষা মাত্র। তিনি বলেন, ভালো কাজের পুরস্কার এবং খারাপ কাজের জন্য তিরস্কারের নীতি অনুসরণের কথা জানিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের মাধ্যমে দেশ ও জাতির কল্যাণ করাই জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। পদোন্নতির জন্য কাজ নয় বরং ভালো কাজ করে পদোন্নতি পাওয়ার অধিকারী হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, দেশকে কাঙিক্ষত উন্নয়নের শিখরে নিতে হলে কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ সবাই মিলে একসাথে দেশের জন্য কাজ করতে হবে। টেকসই রাস্তা-ব্রিজসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করার জন্য ডিজাইন পরিবর্তন করার পাশাপাশি বরাদ্দ আগের তুলনায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অযৌক্তিক নয়। কম খরচে রাস্তা-ব্রিজ করে দেশের সম্পদ নষ্ট করা, গুণগত ও টেকসই কাজ না করা অপরাধ। তাই অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। কাজ আরম্ভ করে দীর্ঘদিনে সম্পন্ন না করে মানুষের জন্য দূর্ভোগ সৃষ্টি করা কোন ভাবেই কাম্য নয়। মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের চলমান ও সমাপ্ত কাজ যাচাই বাছাই করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এলজিইডির নিজস্ব তদন্ত টিমের পাশাপাশি মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত টিমও নিবীড়ভাবে কার্যক্রম তদন্ত করবে।
সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, এলজিইডি একটি বৃহত্তম প্রকৌশল সংস্থা দেশের গ্রামাঞ্চলে ও পৌর এলাকায় আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন করে থাকে। এলজিইডিই পারে গ্রামের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি দিতে। কেননা তারা সঠিকভাবে সড়ক, ব্রিজ নির্মাণ করলে মানুষের যোগাযোগের নব দিগন্তের সূচনা হয়। অচিরেই গ্রামে শহরের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে যাবে।
এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশীদ খান বলেন, এলজিইডি মানুষের কল্যাণে কাজ করে থাকে। আমরা সবাই প্রখর মেধা ও মন দিয়ে মানুষের জন্য কাজ করে যাবো। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, এলজিইডির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আহসান হাবিব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন