গরিব দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিতে গঠিত আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিন অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনের (গ্যাভি) কাছ থেকে ফাইজারের তৈরি এক লাখ ছয় হাজার ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা আগামী বুধবার (২ জুন) আসবে। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) টিকাটি জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, জুনের ২ তারিখে গ্যাভির কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটি থেকে ফাইজারের অন্তত এক লাখ ছয় হাজার কোভিড ভ্যাক্সিন বাংলাদেশে পাঠাবে বলে নিশ্চিত করেছে। আর তাই ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর বৃহস্পতিবার এটি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়।
প্রাণঘাতী ও সংক্রামক ব্যাধি থেকে দরিদ্র দেশগুলোর শিশুদের জীবনরক্ষায় টিকা প্রদানে ভূমিকা রাখা গ্যাভি বিশ্বের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ৯২টি দেশকে করোনাভাইরাসের টিকা সরবরাহের উদ্যোগ নিয়েছে। গরিব দেশগুলোর টিকাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে গঠন করা হয়েছে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্স।
বাংলাদেশ করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় ১৩ কোটির বেশি মানুষকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে। কোভ্যাক্স থেকে ছয় কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার আশা করছে বাংলাদেশ।
গত জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারির মধ্যেই কোভ্যাক্স থেকে টিকা পাওয়া শুরু হওয়ার কথা ছিল। তবে মহামারীর দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিশ্বজুড়ে টিকার সঙ্কট তৈরি হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়।
সূত্র মতে, জুনের মধ্যে সাড়ে পাঁচ কোটি ডোজ টিকা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছিলেন। এর মধ্যে ভারত থেকে কেনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি তিন কোটি এবং কোভ্যাক্স থেকে আড়াই কোটি ডোজ পাওয়ার কথা। সরকার এ পর্যন্ত ভারত থেকে সিরামের ক্রয়কৃত ৩ কোটি থেকে ৭০ লাখসহ এক কোটি ২ লাখ ডোজ টিকা পেয়েছে। এর বাইরে চীন থেকে সিনোফার্মের ৫ লাখ ডোজ টিকা উপহার পাওয়া গেছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে টিকাদান কর্মসূচী শুরু করলেও টিকা স্বল্পতায় এপ্রিলে এসে প্রথম ডোজ দেয়া স্থগিত করে সরকার। দ্বিতীয় ডোজ টিকাদান কার্যক্রম এখনও চলছে। সরকারের তথ্য অনুযায়ী, টিকার ঘাটতি আছে ১৬ লাখ ডোজেরও বেশি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন