ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় দুই দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, দুই ইঞ্জিনবিশিষ্ট দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এক ইঞ্চিনের ছোট লঞ্চ চলাচল এখনো বন্ধ।
এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর সদরঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। নির্ধারিত কাউন্টার ছাড়াও লঞ্চ থেকে টিকেট দেওয়া হচ্ছে। তবে হঠাৎ এ ঘোষণা আসায় যাত্রী সংখ্যা নেহাতই কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। দূরপাল্লার লঞ্চগুলো মূলত বিকালে সদরঘাট থেকে ছেড়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্মীরা জানিয়েছেন, দুপুরের পর থেকে যাত্রীদের সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে।
ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-পটুয়াখালী নৌ রুটে চলাচল করা সুন্দরবন লঞ্চের কর্মী শরিফুল হক জানান, করোনার কারণে যাত্রী কম পরিবহন করতে হয়। তাছাড়া দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অনুমতি পাওয়ার একদিনের মাথায় আবার ঘুর্ণিঝড়ের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হলো। এখন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হলো হঠাৎ করেই। অনেক যাত্রী জানেন না লঞ্চ চলাচল করছে কী না। সেজন্য যাত্রী সংখ্যা কম।
গত মঙ্গলবার বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‹ ইয়াস› ভারতের ওডিশা- পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিকে ধেয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া দেখা দেয়। সে কারণে ঘুর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে ওদিন দুপুর থেকে সব ধরনের লঞ্চ চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ। এরপর গত ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করলে বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কমে যায়। যে কারণে অধিক সাবধানতা অবলম্বন করে দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচলে অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ।
উল্লেখ্য, আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী গতকালও সাগর উত্তাল ছিল। চট্টগ্রাম, কক্সববাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে মাছ ধরার সকল ট্রলারসহ ছোট লঞ্চ চলাচল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন