ইনকিলাব অনলাইন ডেস্ক : জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী । কানাডায় গ্লোবাল ফান্ড সম্মেলন শেষে নিউইয়র্কে যান তিনি।
স্থানীয় সময় রোববার বিকেল ৩ টায় নিউ ইয়র্ক সিটির লা গার্ডিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাকে স্বাগত জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন।
বিমানবন্দর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মোটর শোভাযাত্রা সহযোগে ম্যানহাটনের হোটেল ওয়ালডর্ফ এস্টোরিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিউ ইয়র্ক সফরে এখানেই তিনি থাকবেন।
বিমানবন্দরের বাইরে আওয়ামী লীগের বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে জড়ো হয়েছিলেন। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে উদ্বাস্তু ও অভিবাসনের ওপর সাধারণ পরিষদের প্লেনারি বৈঠকে ভাষণ দেবেন। এরপর তিনি মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী অং সান সু চির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
স্থানীয় সময় বিকেলে জাতিসংঘে ‘গ্লোবাল কমপ্যাক্ট ফর সেফ, রেগুলার অ্যান্ড অর্ডারলি মাইগ্রেশন : টুওয়ার্ডস রিয়ালাইজিং দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড অ্যাচিভিং ফুল রেসপেক্ট ফর দ্য হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড মাইগ্র্যান্ট’ শীর্ষক গোলটেবিলে কো-চেয়ারের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। পরে হোটেল ম্যারিয়ট ইস্টসাইডে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে আয়োজিত কাউন্টার টেররিজমের ওপর এশিয়ান লিডার্স ফোরামের বৈঠকে যোগ দেবেন।
একই দিনে শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আয়োজিত উদ্বাস্তুবিষয়ক একটি বৈঠক এবং এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বুধবার বিকেলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭১তম অধিবেশনের সাধারণ আলোচনায় বক্তব্য দেবেন তিনি। একই দিন রাতে রাতে নিউ ইয়র্কে হোটেল গ্র্যান্ড হায়াতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এবং পরদিন নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেয়ারও কথা রয়েছে তার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন