শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী বিশ্ব

যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়ছে সিরিয়ায়

প্রকাশের সময় : ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:৫০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : আলেপ্পোতে এখনও শিশুরা মরছে। খোদ দামেস্কর কেন্দ্রস্থলের কাছেই সংঘর্ষ চলছে। মনে হচ্ছে সিরিয়ার প্রতি ইঞ্চি জুড়েই বিমান হামলা চলছে। গত শনিবার সিরিয়ার সেনাদের উপর নিজেদের যুদ্ধবিমান যে হামলা চালিয়েছে তা স্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এক সপ্তাহও হয়নি। এরই মধ্যে সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি ভেঙে পড়তে শুরু করেছে। ত্রাণবহর চলাচলের সুযোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল সিরিয়া সরকার। কিন্তু তা এখনও পূরণ না করায় যেসব মানুষের জরুরি সাহায্য প্রয়োজন তাদের কাছে এখনও সাহায্য পৌঁছেনি। হোমাম আল আসাদ একজন ২৮ বছর বয়সী সিরীয়। ইদলিব প্রদেশের সারাকেব এলাকার বাসিন্দা তিনি। এখানে লাগাতার লড়াই চলছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দিহান তিনি। হোমাম বলেন, বিভিন্ন এলাকা থেকে কিছু বেসামরিক মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে আমাদের গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে তারা এতটা খুশি যে এতদিন যারা বিয়ের ব্যাপারে সবর করছিলেন তারা এখন বিয়ে করছেন। কিন্তু সামরিক জায়গা থেকে বলতে গেলে পরিস্থিতির ব্যাপারটা আগের মতোই অনুভূতি হচ্ছে। যুদ্ধবিমানগুলো এখনও বোমা ফেলে যাচ্ছে এবং রাতেও মেশিনগানের গুলিবর্ষণ থামছে না। সাধারণ মানুষ টার্গেট হওয়ার ভয়ে এখনও বাতি নিভিয়ে গাড়ি চালায়। যোদ্ধারাও যে যার ময়দানে অবস্থা করছে। তারা কেউই যুদ্ধবিরতিতে বিশ্বাস করছে বলে মনে হয় না। তবে আমি মনে করি এই যুদ্ধবিরতি বা যেকোনো যুদ্ধবিরতিই ভালো, কারণ জনগণ যুদ্ধের কারণে অনেকটাই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। আমি বলছি না যে যুদ্ধবিরতি আসলেই কোনও সমাধান। কিন্তু যুদ্ধবিরতি অন্তত পক্ষে সাধারণ মানুষকে জরুরি প্রয়োজনগুলি মিটানোর একটু ফুরসত তো দেয়। উত্তর সিরিয়ার সীমান্ত শহর কোবানি। এটি নিয়ন্ত্রণ করছে কুর্দি মিলিশিয়ারা। এই শহরের ৩৮ বছর বয়সী একজন কুর্দি বাসিন্দা হলেন ফাতাহ ইসা। তিনিও একজন কুর্দি, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর দামেশকের সরকারি চাকরি ছেড়ে তিনি এ শহরে চলে এসেছেন। কোবানির সীমান্ত থেকে একটি ভিডিও বার্তা শেয়ার করেছেন ফাতাহ। যাতে দেখা যাচ্ছে কোবানিকে কার্যত অবরুদ্ধ করে রেখেছে তুরস্ক। ফাতাহ বলেন, সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলের আলেপ্পো শহরে যুদ্ধ চলছে। ফলে যুদ্ধবিরতি কোবানির জনজীবনের পরিস্থিতির হেরফের ঘটাতে তেমন একটা ভূমিকা রাখছে না। আপাতত কোবানির পরিস্থিতি শান্তই আছে। কিন্তু এখানকার মূল সমস্যা হলো খাদ্য সঙ্কট এবং তুরস্কের অবরোধ। এর ফলে আমাদের প্রাত্যহিক জীবন শোচনীয় হয়ে গেছে। ফাতাহ বলেন, গোটা অঞ্চলজুড়েই সব পক্ষ মিলে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করবে এবং সিরিয়াতে কুর্দিদের অধিকারের স্বীকৃতি দিয়ে একটি রাজনৈতিক সমাধান পৌঁছানো সম্ভব। এমনটি হলেই তবে সিরিয়ার অন্য বাসিন্দাদের মতোও আমরা নিজেদের সাংস্কৃতিক অধিকার লাভ করতে পারব। নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়েবসাইট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন